Mangifera 'গির কেসর' | |
---|---|
গণ | Mangifera |
প্রজাতি | Mangifera indica |
চাষকৃত উদ্ভিদ | 'গির কেসরr' |
উৎস | ভারত |
গিরনারের কেসর আম হলো পশ্চিম ভারতের গুজরাতের গিরনারের পাহাড়ের পাদদেশে জন্মানো এক ধরনের আম। এই আমটির নাম গির কেসর বা অনেক সময় কেসর নামেও পরিচিত। এই আমের শাঁস উজ্জ্বল কমলা রঙের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। ২০১১ সালে এই আমটিকে বিশেষ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল।
১৯৩১ সালে গির কেসর আমটির প্রথম ফলন হয়। বনথালীর জুনাগড় উজির সেল ভাই এই আমটি প্রথম ফলিয়েছিলেন। এরপর গিরনার পাদদেশে জুনাগড় লাল ডোরি খামারে প্রায় ৭৫ টি জোড় কলমের চারা রোপণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, ১৯৩৪ সালে থেকে আমটি "কেশর" নামে পরিচিত ছিল যখন জুনাগড়ের তৃতীয় নবাব মুহাম্মদ মহাবত খান এই আমের শাঁসের কমলা রঙ দেখে বলেছিলেন যে "এটিই কেসর"। জাফরানের হিন্দি হলো কেশর।[১][২]
ভারতের গুজরাত প্রদেশের সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের জুনাগড় ও আমরেলি জেলার প্রায় ২০,০০০ হেক্টর জমিতে কেসর আমের চাষ হয়, যার আনুমানিক উৎপাদন বছরে প্রায় দুই লক্ষ টন। তবে, কেবল গির অভয়ারণ্য এলাকার আশেপাশের থেকে আমের যে উৎপাদন হয় সরকারীভাবে সেটাই "গির কেসর আম" নামে পরিচিত।[১]
সাধারণত বর্ষাকালের পর অক্টোবর মাসের কাছাকাছি থেকে এই প্রজাতির আমের চাষ চাষ শুরু হয় এবং এপ্রিল মাসে গির কেশর আম বাজারে চলে আসে।[৩] গির কেশর আম ফলের মধ্যে বেশ দামি।[৪]
গুজরাত অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (জিএআইসি) লিমিটেড গির কেসর আমটিকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসাবে নিবন্ধনের প্রস্তাব দিয়েছে। ২০১০ সালে জুনাগড় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করার পরে, ২০১১ সালে চেন্নাইয়ের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) রেজিস্ট্রি দ্বারা গির কেশর আম ভৌগোলিক নির্দেশক সামগ্রী হিসেবে স্বীকৃতি পায়। "গির কেশর" নামটিকে এই অঞ্চলে জন্মানো আমের পণ্য বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এটি গুজরাতের প্রথম কৃষি পণ্য এবং ভারতের দ্বিতীয় আমের জাত (উত্তর প্রদেশের দশেরি আমের পরে) হিসাবে জিআই পণ্য বলে স্বীকৃতি অর্জন করেছেI[৫][৬]