গিরিজা প্রসাদ কৈরালা गिरीजाप्रसाद कोइराला | |
---|---|
![]() | |
নেপালের রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৫ জানুয়ারি ২০০৭ – ২৩ জুলাই ২০০৮ | |
উত্তরসূরী | রাম বরন যাদব |
নেপালের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকাl | |
কাজের মেয়াদ ২৫ এপ্রিল ২০০৬ – ১৮ আগস্ট ২০০৮ | |
পূর্বসূরী | শের বাহাদুর দেউবা |
উত্তরসূরী | পুষ্প কমল দাহাল প্রচন্ড |
কাজের মেয়াদ ২২ মার্চ ২০০০ – ২৬ জুলাই ২০০১ | |
পূর্বসূরী | কৃষ্ণ প্রসাদ ভাত্তারী |
উত্তরসূরী | শের বাহাদুর দেউবা |
কাজের মেয়াদ ১৫ এপ্রিল ১৯৯৮ – ৩১ মে ১৯৯৯ | |
পূর্বসূরী | সূর্য বাহাদুর থাপা |
উত্তরসূরী | কৃষ্ণ প্রসাদ ভাত্তারী |
কাজের মেয়াদ ২৬ মে ১৯৯১ – ৩০ নভেম্বর ১৯৯৪ | |
পূর্বসূরী | কৃষ্ণ প্রসাদ ভাত্তারী |
উত্তরসূরী | মন মোহন অধিকারী |
কাজের মেয়াদ ১১ মে ১৯৯৬ – ২০ মার্চ ২০১০ | |
পূর্বসূরী | কৃষ্ণ প্রসাদ ভাত্তারী |
উত্তরসূরী | সুশীল কৈরালা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | Saharsa, Bihar, British Raj (present-day India) | ৪ জুলাই ১৯২৪
মৃত্যু | ২০ মার্চ ২০১০ কাঠমান্ডু, নেপাল | (বয়স ৮৫)
রাজনৈতিক দল | নেপালি কংগ্রেস |
দাম্পত্য সঙ্গী | সুষুমা কৈরালা (মৃত) |
সন্তান | সুজাতা কৈরালা |
গিরিজা প্রসাদ কৈরালা (নেপালি: गिरीजाप्रसाद कोइराला ; ৪ জুলাই ১৯২৪- ২০ মার্চ ২০১০),[১][২] সাধারণত জি পি কৈরালা নামে পরিচিত, একজন নেপালী রাজনীতিবিদ ছিলেন। গিরিজা প্রসাদ কৈরালা তিনি নেপালি কংগ্রেস এর নেতৃত্ব দেন এবং চার বার নেপালের প্রধানমন্ত্রীত্ব করেন। তিনি ১৯৯১-১৯৯৪, ১৯৯৮-১৯৯৯, ২০০০-২০০১, ২০০৬-২০০৮ মোট চারবার প্রধানমন্ত্রীত্ব করেন। তিনি জানুয়ারি ২০০৭ থেকে জুলাই ২০০৮ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। কৈরালা প্রায় ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি নেপালীয় শ্রমিক আন্দোলনের পথিকৃৎ ছিলেন। ১৯৫৯ সালের পর তওনি ১৯৯১ সালে সর্বপ্রথম গণতান্ত্রিকভাব প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
কৈরালা ব্রিটিশ ভারতের বিহারের সাহারসায় ১৯২৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কৃষ্ণ প্রসাদ কৈরলা নেপালে নির্বাসিত হয়েছিলেন। [৩] ১৯৫২ সালে কৈরালা সুষুমা কৈরালার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সুষুমা কৈরালা বিরাটনগর মমহিলা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন।[৪] তাদের কন্যা সুজাতা ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার স্ত্রী ১৯৬৭ সালে আগুনের চুলার বিস্ফোরনে মারা যান।[৫]
কৈরালা ১৯৪৭ সালে বিরাটনগর জুট মিল আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনীতিতে যুক্ত হন। [৩] ১৯৪৮ সালে কৈরালা নেপাল মাজদুর কংগ্রেস দল গঠন করে। ১৯৫২ সালে তিনি নেপালীয় কংগ্রেসের মোরঙ জেলার চেয়ারম্যান হন এবং ১৯৬০ সালে নেপালের রাজা মাহেন্দ্র ককর্তৃক আটক ও ককারারুদ্ধ হওয়া পর্যন্ত তিনি ঐ পদে বহাল ছিলেন। [৩][৬] ১৯৬৭ সালে দলের অন্যান্য নেতা ও কর্মীসহ কৈরালা জেল থেকে মুক্তি পেলে তাদেরকে ভারতে নির্বাসিত করা হয়। [৩] ১৯৭৯ সালে নেপালে ফেরা পর্যন্ত তিনি ১৯৭৫ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত নেপালি কংগ্রেস এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।[৭]
১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম বহুদলীয় গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কৈরালা মুরং ১ এবং সুনসারি ৫ নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নেপালীয় কংগ্রেস পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ প্রতিনিধি সভার ২০৫টি আসনের ১১০টি আসন লাভ করে। পরবর্তীকালে তিনি নেপালীয় কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন এবং রাজা বিরেন্দ্র ডাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন।[৬]
শ্বাসকষ্ট ও ফুসফসের পীড়াজনিত কারণে কৈরালা তার মেয়ে সুজাতা কৈরালার বাসায় ২০ মার্চ ২০১০ সালে ৮৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[৩] ২১ মার্চ কাঠমান্ডুর পশুপতিনাথ মন্দির এ তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।[৬] তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর অসংখ্য রাজনীতিবিদ শোকবারতা প্রকাশ করেন।
|acce ssdate=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)