ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গিলবার্ট লেয়ার্ড জেসপ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | চেল্টেনহাম, ইংল্যান্ড | ১৯ মে ১৮৭৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১১ মে ১৯৫৫ ডরচেস্টার, ইংল্যান্ড | (বয়স ৮০)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি (১.৭০ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১২২) | ১৫ জুন ১৮৯৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১০ জুলাই ১৯১২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৯৪–১৯১৪ | গ্লুচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৯৬–১৮৯৯ | কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯০০–১৯০২ | লন্ডন কাউন্টি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো.কম, ৩ জানুয়ারি ২০১৯ |
গিলবার্ট লেয়ার্ড জেসপ (ইংরেজি: Gilbert Jessop; জন্ম: ১৯ মে, ১৮৭৪ - মৃত্যু: ১১ মে, ১৯৫৫) গ্লুচেস্টারশায়ারের চেল্টেনহামে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৯৯ থেকে ১৯১২ সময়কালে ইংল্যান্ড দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন ‘ক্রুচার’ ডাকনামে পরিচিত গিলবার্ট জেসপ।
১৮৯৬ সালে কেমব্রিজের ক্রাইস্ট কলেজে পৌরহিত্য করার লক্ষ্যে ভর্তি হন। তবে, ডিগ্রী লাভ না করেই শিক্ষাজীবন ত্যাগ করেছিলেন তিনি।[১][২] চার মৌসুমে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দলে খেলেছিলেন। তন্মধ্যে, সর্বশেষ বছরে ১৮৯৯ সালে দলের অধিনায়কত্ব লাভ করেন। ১৮৯৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় প্রথম ইনিংসে ৬/৬৫ পান। ১৮৯৮ সালে প্রথম ইনিংসে পেয়েছিলেন ৬/১২৬।
১৮৯৪ থেকে ১৯১৪ সময়কালে দীর্ঘ ২০ বছর প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল গিলবার্ট জেসপের। ১৮৯৪ সালে প্রথমবারের মতো গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলতে নামেন। ৩০ রানের স্বল্পমানের ইনিংস খেললেও আর্থার মোল্ড ও জনি ব্রিগসের ন্যায় উদীয়মান খেলোয়াড়ের মারাত্মক বোলিং মোকাবেলা করতে হয়েছিল তাকে।
১৮৯৭ সালটি গিলবার্ট জেসপের স্বর্ণালী বছর ছিল। ১০০০ রান ও ১০০ উইকেট লাভের ন্যায় ডাবলের কৃতিত্ব লাভ করেন। ফলশ্রুতিতে, ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৯৮ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেন তিনি।[৩] দুই বছর বাদে বেডফোর্ডে ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে মধ্যাহ্নভোজনের পূর্বেই সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন। প্রথম ইনিংসে মাত্র চল্লিশ মিনিটে ১০৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৯ রান করেন। এক ঘণ্টারও কম সময়ে এ অর্জনের সাথে নিজ নামকে সংশ্লিষ্ট করেছিলেন তিনি।
দুইটি মাঝারিমানের বছর কাটানোর পর ১৮৯৯ সালে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। ১৯০০ সালে গ্লুচেস্টারশায়ারের অধিনায়কত্বসহ সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন। ঐ বছরে চমৎকার মৌসুম অতিবাহিত করেন গিলবার্ট জেসপ। ২২১০ রানসহ ১০৪ উইকেট লাভ করেন। তন্মধ্যে, এসেক্সের বিপক্ষে খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৮/২৯ দাঁড় করান। পরের বছর পেসের কার্যক্ষমতা হারান ও দূর্বল বোলিংয়ের কারণে ত্রিশ উইকেটেরও কম পান।[৪] তবে, তার ব্যাটিংয়ের উন্নতি ঘটে। এ পর্যায়ে ১৯০২ সালে ওভালের পঞ্চম টেস্টের ব্যাটিং উল্লেখযোগ্য ছিল।
১৯০৩ সালে খেলোয়াড়ী জীবনের সর্বোচ্চ ইনিংসের দেখা পান। সাসেক্সের বিপক্ষে ১৮০ মিনিটে ২৮৬ রান তুলেন। পাশাপাশি গ্লুচেস্টারশায়ারের প্রধান ব্যাটিং মেরুদণ্ডের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তবে, ১৯০১ সালের পর খুব কমই দ্রুততর পেস বোলিং কার্যে অগ্রসর হতেন। ১৯০৯ সালে মারাত্মক আঘাতের কারণে দুই মাসেরও অধিক সময় মাঠের বাইরে অবস্থান করতে হয়েছিল তাকে। ১৯১২ সালে গ্লুচেস্টারশায়ারের সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের পূর্ব-পর্যন্ত ব্যাটসম্যানের প্রধান দায়িত্ব পালন করতেন। শেষ দুই মৌসুমে তিনি মাঝে-মধ্যেই অনুপস্থিত থাকতেন ও মাঝারিমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করতেন। ৪৫ বছর বয়সে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ক্রিকেট খেলায় আর তাকে দেখা যায়নি।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৮টি টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার। ১৫ জুন, ১৮৯৯ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে গিলবার্ট জেসপের।
আগস্ট, ১৯০২ সালে ওভালে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সিরিজের পঞ্চম টেস্টে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে স্বীয় সক্ষমতা দেখান। ঐ খেলাটি ‘জেসপের খেলা’ নামে ব্যাপক পরিচিতি পায়। খুবই দ্রুততার সাথে খেলে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলকে অপ্রত্যাশিতভাবে এক উইকেটে জয় এনে দিয়েছিলেন। সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দল ইংল্যান্ডকে ২৬৩ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করে। এক পর্যায়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৪৮/৫ থাকা অবস্থায় তিনি মাঠে নামেন। ৪৩ মিনিট ৫০ রান ও ৭৫ মিনিটে সেঞ্চুরি করেন। ৭৭ মিনিটে ১০৪ রান তুলে আউট হন। তার ইনিংসটিতে ১৭টি চার ও দৌঁড়ে একটি পাঁচ রান তুলে নেন। অনেকগুলো চারই ছক্কা ধরনের ছিল। কিন্তু, ১৯০২ সালের প্রচলিত ক্রিকেটের আইনে ছক্কার জন্যে মাঠের বাইরে বল ফেলার রেওয়াজ ছিল। একটি চার খেলোয়াড়দের বারান্দায় কট হয়েছিল। একটি সংবাদপত্রে তার ইনিংসের বিস্তারিত রেকর্ড রাখা হয়। এতে দেখা যায় তিনি ৭৬ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছিলেন। সর্বকালের দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরির এটি অন্যতম ছিল।
গ্লুচেস্টারশায়ারের চেল্টেনহামে জন্মগ্রহণকারী গিলবার্ট জেসপ ‘ক্রুচার’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি ও ১১ স্টোন ওজনের মজবুত গড়ন থাকা সত্ত্বেও ক্রিজে অস্বাভাবিকভাবে ব্যাট ধরে বল মোকাবেলা করতেন। এ উচ্চতা নিয়েও সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ফাস্ট বোলারের মর্যাদা পান। আক্রমণধর্মী ব্যাটিংয়ে ড্রাইভ, কাট ও হুক শটের সংমিশ্রণ ছিল। দ্রুতলয়ে রান সংগ্রহের কারণে বেশ পরিচিত ছিলেন তিনি।
প্রকৃত অল-রাউন্ডার ছিলেন গিলবার্ট জেসপ। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুর দিনগুলোয় তিনি পর্যাপ্ত মাত্রায় পেস বোলিং করতেন। সেলক্ষ্যে প্রচুর দম ধরে রাখতেন। তবে, টেস্ট অভিষেকেই পিঠের ব্যথায় কাবু হয়ে যান। এরফলে তার খেলোয়াড়ী জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এছাড়াও, দ্রুতগতিসম্পন্ন ফিল্ডার হিসেবেও প্রভূতঃ সুনাম কুড়ান। এরফলে, গ্লুচেস্টারশায়ারের ফিল্ডিংয়ের শক্তি বৃদ্ধিতে বেশ ভূমিকা রাখতেন। ফিল্ডিংয়ের কারণে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন। শুরুরদিকে কভার-পয়েন্ট অঞ্চলে ফিল্ডিং করতেন। পরবর্তীতে এক্সট্রা মিড-অফ এলাকায় নিজেকে স্থির রাখেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৫৩টি সেঞ্চুরি করেছেন। তন্মধ্যে, দুই শতাধিক রানের ইনিংস ছিল পাঁচটি। ১৯০৩ সালে ব্রাইটনে সাসেক্সের বিপক্ষে ৩৩৫ রানের মধ্যে একাই তুলেন ১৭৫ মিনিটে ২৮৬ রান। তন্মধ্যে, ষষ্ঠ উইকেটে জে. এইচ. বোর্ডের সাথে ৩২০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। সেঞ্চুরিগুলো করাকালে জেসপের রান সংগ্রহের হার ছিল ঘণ্টায় ৮২.৭ রান।[৫]
১০-১২ জুন, ১৯০৭ তারিখে গ্লুচেস্টারশায়ার ও নর্দান্টসের মধ্যকার অসাধারণ খেলাটি হয়েছিল। নর্দান্টসরা তাদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২ রানে গুটিয়ে যায়। দলীয় এ সংগ্রহটি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডরূপে পরিগণিত হয়ে আসছে। ডেনেটের সাথে একাধারে বোলিং করেন ও ২/৩ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। পুরো ইনিংসে বোলিং করে সর্বনিম্ন রান দেয়ার অন্যতম ঘটনা এটি।
বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার রিচি বেনো মন্তব্য করেছিলেন যে, একদিনের খেলায় নিঃসন্দেহে সেরা খেলোয়াড় হতেন। তবে, দূর্ভাগ্যবশতঃ ঐ ধরনের ক্রিকেট খেলায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাননি তিনি। স্যার জ্যাক হবসের মতে, সন্দেহাতীতভাবে ধারাবাহিকভাবে সর্বাপেক্ষা দ্রুততম রান সংগ্রাহকের ভূমিকায় আসীন ছিলেন তিনি। বড় ধরনের মারে অভ্যস্ত ছিলেন। খুব কম বলই তার ব্যাটকে এড়িয়ে যেতো। আমি আনন্দিত যে আমি কোন বোলার নই। গিলবার্ট জেসপ নিশ্চিতভাবেই দর্শকদের নয়নের মণি ছিলেন। এমনকি ডন ব্র্যাডম্যানের তুলনায়ও তিনি এগিয়ে রয়েছেন।[৬]
ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি গিলবার্ট জেসপ সর্বক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করে স্বীয় প্রতিভার কথা জানান দেন। হকি খেলায় গোলরক্ষক হিসেবে ব্লু লাভ করেন। তবে, অসুস্থতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় মাঠে নামতে পারেননি তিনি। ফুটবল খেলায়ও ব্লু লাভের দ্বারপ্রান্তে ছিলেন। ক্যাজুয়ালসের পক্ষে হাফ-ব্যাক কিংবা গোলরক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। গ্লুচেস্টার আর.এফ.সি’র উইং-থ্রিকোয়ার্টার এলাকায় অবস্থান করতেন। অক্সফোর্ডের বিপক্ষে বিলিয়ার্ড খেলায় তাঁকে রাখা হলেও অংশগ্রহণ করা থেকে তাঁকে বিরত রাখা হয়েছিল।
১০.২ সেকেন্ড সময় নিয়ে ১০০ গজ দৌঁড়াতে পারতেন। নিয়মিতভাবে ক্রীড়া সভায় তাঁর উপস্থিতি ছিল। গল্ফার হিসেবে ১৯১৪ সালের অ্যামেচার চ্যাম্পিয়নশীপে অংশ নেন। ক্রিকেটার্স গল্ফিং সোসাইটির সম্পাদকসহ কয়েক বছর এজওয়ার ক্লাবের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন গিলবার্ট জেসপ।
১৯১৬ সালে লিঙ্কনশায়ায় রেজিম্যান্টে যুক্ত হন। এ সময়ে কোমরের ব্যথায় আক্রান্ত হন। ফলে বাথ দ্য র্যাডিয়ান্ট হিট ট্রিটমেন্টে তাঁকে প্রেরণ করা হয়েছিল। চিকিৎসার এক পর্যায়ে ৩০ মিনিট তাঁকে ২১০-৩১০ ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রায় রাখা হয়। পরবর্তী ৩৯ বছর গিলবার্ট জেসপের শারীরিক সক্ষমতা বেশ সীমিত পর্যায়ের ছিল। নভেম্বর, ১৯১৭ সালে সেনাবাহিনী থেকে তাঁকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়।
এরপর তিনি সাংবাদিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েন ও ‘দ্য ক্রিকেটার্স লগ’ শীর্ষক গ্রন্থ প্রকাশ করেন। ১৯২৪ সালে এজওয়ার গল্ফ ক্লাবের সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৩৬ সালে গৃহ আবাসনের জন্যে জমি বিক্রয়ের পূর্ব-পর্যন্ত এ পদে ছিলেন। ১৯৩৬ সালে ডরচেস্টারের ফর্ডিংটন সেন্ট জর্জ ভিকারেজে চলে যান। সেখানে স্বীয় পুত্রের সাথে বসবাস করতে থাকেন। অতঃপর ১১ মে, ১৯৫৫ তারিখে ৮০ বছর বয়সে ডরচেস্টারে গিলবার্ট জেসপের দেহাবসান ঘটে।
ক্রিকেটের পাশাপাশি গ্লুচেস্টার এ.এফ.সি. ও চেল্টেনহাম টাউন এফ.সি.র পক্ষে ফুটবল খেলেছেন তিনি। জেসপ তনয়ও গিলবার্ট নামে পরিচিত ছিলেন। তিনিও ওয়েমাউথ কলেজ, কেমব্রিজের ক্রাইস্ট কলেজ, এমসিসি, হ্যাম্পশায়ার, কেমব্রিজশায়ার ও ডরসেটের পক্ষে খেলেছেন।