![]() ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের শিরোপা জয়ের পর আনন্দের আতিশয্যে ক্রন্দনরত পেলের সাথে গিলমার | |||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গিলমার দস সান্তোস নেভেস | ||
জন্ম | ২২ আগস্ট ১৯৩০ | ||
জন্ম স্থান | সান্তোস, ব্রাজিল | ||
মৃত্যু | ২৫ আগস্ট ২০১৩ | (বয়স ৮৩)||
মৃত্যুর স্থান | সাও পাউলো, ব্রাজিল | ||
উচ্চতা | ১.৮১ মিটার (৫ ফুট ১১+১⁄২ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | গোলরক্ষক | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৪৫–১৯৫১ | জাবাকুয়ারা | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
১৯৫১–১৯৬১ | করিন্থিয়ান্স | ৪৮৬ | (০) |
১৯৬১–১৯৬৯ | সান্তোস | ২৬৬ | (০) |
মোট | ৭৫২ | (০) | |
জাতীয় দল | |||
১৯৫৩–১৯৬৯[১] | ব্রাজিল | ৯৪ | (০) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
গিলমার দোস সান্তোস নেভেস (ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ: [ʒiwˈmaɾ duˈsɐ̃tus ˈnɛvis]; পর্তুগিজ: Gylmar dos Santos Neves; জন্ম: ২২ আগস্ট, ১৯৩০-২৫ আগস্ট, ২০১৩) ব্রাজিলের সান্তোসে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড়। গিলমার নামেই সর্বাধিক পরিচিত ছিলেন। ব্রাজিল দলের পক্ষ হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল জয়ী ব্রাজিল দলের অন্যতম খেলোয়াড় ছিলেন তিনি।[২] মাঠে তিনি গোলরক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। ঘরোয়া ফুটবলে করিন্থিয়ান্স ও সান্তোসের পক্ষাবলম্বন করে খেলেছন।
বিংশ শতাব্দীতে ব্রাজিলের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন তিনি। এছাড়াও, শান্তিপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে চীরস্মরণীয় হয়ে আছেন। অ্যালেক্স বেলোসের ফুতবল:দ্য ব্রাজিলিয়ান ওয়ে অফ লাইফ গ্রন্থে গিলমারের নাম সম্বন্ধে জানা যায় যে, বাবা [গিল]বার্তো এবং মাতা [মার]ইয়া থেকে গিলমারের নাম এসেছে। ষাটের দশকে পেলে’র বিশ্ব-খ্যাত দল সান্তোস ও ব্রাজিল জাতীয় দলের সাথে একত্রে খেলেছেন। ফলে, তিনি বিশ্বব্যাপী পেলে’র গোলরক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি পান।
ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে ৯৪ খেলায় অংশ নেন গিলমার। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৬ সালের মধ্য পরপর তিনটি বিশ্বকাপ ফুটবলে জাতীয় দলের সদস্য ছিলেন। তন্মধ্যে মূল একাদশে খেলে ব্রাজিল দলকে ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালের দু’টি বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিশ্বকাপের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র গোলরক্ষক, যিনি মূল একাদশে খেলে এ সাফল্য লাভে পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছেন।