গীতা মহালিক | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ১৯৪৮ (বয়স ৭৬–৭৭) |
পেশা | ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী |
পুরস্কার | পদ্মশ্রী কেন্দ্র সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কার ওড়িশা সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কার গ্রামীণি পুরস্কার |
ওয়েবসাইট | http://about.me/GeetaMahalik |
গীতা মহালিক (জন্ম: ১৯৪৮)[১] একজন ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী, ভারতের শাস্ত্রীয় নাচ ওড়িশির বহিঃপ্রকাশক হিসাবে পরিচিত। [২] ওড়িশি হলো ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের আট প্রকারের মধ্যে প্রাচীনতম। [৩][৪] শিল্প ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য ২০১৪ সালে ভারত সরকার তাঁকে চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করেন। [৫]
'ওডিসি, ওড়িশি নামেও পরিচিত (ওড়িয়া: ଓଡିଶୀ ওডিসি), ভারতের আটটি শাস্ত্রীয় নৃত্যের মধ্যে একটি। এটি পূর্ব ভারতের ওড়িশা রাজ্য থেকে উদ্ভূত। এটি প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে ভারতের প্রাচীনতম বেঁচে থাকা নাচের একটি রূপ।'
গীতা মহালিক খ্যাতিমান গুরু, দেব প্রসাদ দাশের কাছ থেকে খুব অল্প বয়সেই নাচ শিখতে শুরু করেছিলেন। [৬] এরপরে তিনি মায়াধর রাউতের অধীনে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন, যাঁর তত্বাবধানে গীতা এমন একটি নৃত্যশৈলী বিকাশ করতে সক্ষম হন যাকে বোদ্ধারা চলমান নিছক কবিতা হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। [২]
গীতা নৃত্য প্রদর্শন করার জন্য ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, চীন, ইতালি, স্পেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, পর্তুগাল, গ্রীস এবং আফ্রিকা মহাদেশের অনেক দেশ জুড়ে বিস্তৃত ভ্রমণ করেছেন। [৭][৮] বিদেশে ২০০৪ সালে চীনের সিল্ক রোড আন্তর্জাতিক মেলা, ক্যালগেরিতে ইন্দো-কানাডিয়ান অর্থনৈতিক সম্মেলন, বার্লিনের ইন্ডিয়া নাইট এবং গ্রিসের ডেলফির ইন্দো-গ্রীস সাংস্কৃতিক সম্মেলনে তাঁর নৃত্যাভিনয় উপস্থাপন করা হয়েছে। [৯]
তিনি ভারতের প্রায় সকল নৃত্য উৎসবে নৃত্য সম্পাদন করেছেন, তাদের মধ্যে খাজুরাহো নৃত্য উৎসব, ইলোরা নৃত্য উৎসব, এলিফ্যান্টা নৃত্য উৎসব, কোণার্ক নৃত্য উৎসব, মহাবলীপুরম উৎসব, মুক্তেশ্বর নৃত্য উৎসব, বদ্রী কেদার উৎসব, তাজ উৎসব, উজ্জয়িনীর কালীদাস সমারোহ, গঙ্গা মহোৎসব এবং মান্ডু উৎসব উল্লেখযোগ্য।
শ্রীমতী মহালিক ভারত সরকার সংস্কৃতি মন্ত্রকের বরিষ্ঠ ফেলোশিপ দ্বারা সমর্থিত ওড়িশি নৃত্য নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি উড়িষ্যা সংগীত নাটক আকাদেমি, ভুবনেশ্বর এবং সাহিত্য কলা পরিষদ, নয়াদিল্লির সাথে পরামর্শদাতা হিসাবে যুক্ত ছিলেন। [৯] পারফর্মিং আর্টস এবং শিল্পীদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের বেশ কয়েকটি বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য হওয়ার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে উপস্থাপিত স্কুল শিশুদের নাচের বিষয় নির্বাচনের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যও ছিলেন। তিনি কেন্দ্রীয় সংগীত নাটক আকাদেমি, নয়াদিল্লির সাধারণ পরিষদের সদস্য এবং উড়িষ্যা সংগীত নাটক আকাদেমির সদস্য ছিলেন। [১০]
গীতা মহালিককে সাধারণত ওড়িশির ঐতিহ্যবাহী শৈলীতে জাতীয় স্বাদ দেওয়ার কৃতিত্ব দেওয়া হয়। তিনি 'রস' (অভিব্যক্তি) এর গুরু হিসাবে বহুল পরিচিত। [৮][১১]
গীতা লাবন্যবতী, কৃষ্ণবিলাস এবং দ্রৌপদী- অন্তিম প্রশ্ন এর মত অনেক নৃত্যনাট্যে নৃত্য পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন। জানা গেছে যে, তিনি তাঁর নৃত্য পরিচালনার মাধ্যমে বহু উদ্ভাবনী ব্যাখ্যা এবং ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষতা [১১] নিয়ে এসেছেন। [২]
গীতা মহালিক দিল্লিতে শিল্প ও সংস্কৃতি প্রচারে বিশেষত ওড়িশি নাচের প্রচারের জন্য গীতার উপাসনা নামে একটি বেসরকারী সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন,। [১২][১৩] যেখানে তিনি তরুণ ওড়িশি নৃত্যশিল্পীদের প্রশিক্ষণ দেন। [৯] এই সংস্থাটি নিয়মিত দিল্লি ও দিল্লির বাইরে অনুষ্ঠান করে আসছে।
গীতা মহালিক ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কিত কাউন্সিলের শিল্পী প্যানেলে রয়েছেন। [৭]