![]() | |
![]() ডুও-এর স্ক্রিনশট | |
উন্নয়নকারী | গুগল এলএলসি |
---|---|
প্রাথমিক সংস্করণ | ১৬ আগস্ট ২০১৬ |
অপারেটিং সিস্টেম |
|
উপলব্ধ | ইংরেজি |
ধরন | ভিডিও বার্তা, মোবাইল অ্যাপ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
গুগল ডুও (বিকল্প বানানঃ গুগল ডুয়ো) একটি ভিডিও বার্তা আদান-প্রদানকারী বা ভিডিও টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। গুগল কর্তৃক প্রস্তুতকৃত অ্যাপ্লিকেশনটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে উপলব্ধ রয়েছে। ১৮ মে, ২০১৬-তে অনুষ্ঠিত গুগলস ডেভেলপার কনফারেন্সে এই আপ্লিকেশনটি প্রথম প্রদর্শন করে এবং একই বছর, ১৬ আগস্ট-এ এটির বিশ্বব্যাপী প্রকাশ করে। এটি ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপ কম্পিউটারে গুগলের ক্রোম ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়।
গুগল ডুও, ব্যবহারকারীদের নিম্ন ব্যান্ডউইথে উচ্চমান সম্পন্ন ভিডিও কল করতে দেয়। এটি নিম্ন ব্যান্ডউইথের নেটওয়ার্কগুলোর জন্য অনুকূল। অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারকারীর ফোন নম্বরের উপর ভিত্তি করে প্রস্তুতকৃত। ফলাফলস্বরূপ ব্যবহারকারীরা তাদের ফোন নম্বরের তালিকা থেকে যে কাউকে কল করে পারেন। অ্যাপটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়াই-ফাই ও মুঠোফোনের নেটওয়ার্কের মধ্যে অদল-বদল করতে সক্ষম। অ্যাপ্লিকেশনটির অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে "নক নক" সেবা, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কলের উত্তর দেওয়ার আগে কলারের সরাসরি ভিডিও প্রাক-দর্শন দেখতে পারেন।
২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে অ্যাপ্লিকেশনটির একটি উন্নত সংস্করণে সারা বিশ্বব্যাপী অডিও কল করার সুবিধা যুক্ত হয়। ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর হতে গুগল তাদের প্লে স্টোরে একইরকম সেবা প্রদানকারী হ্যাংআউটসকে গুগল ডুও দিয়ে প্রতিস্থাপন করে।[১]
গুগল ডুও-এর কলগুলির ভিডিও ৭২০ পিক্সলের উচ্চমান সম্পন্ন।[২] অ্যাপ্লিকেশনটি কম ব্যান্ডউইডথের মোবাইল নেটওয়ার্কে 'ওয়েবআরটিসি' নামীয় প্রকৃত সময়ে যোগাযোগের অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস ব্যবহার করে। এছাড়াও এটি ব্যবহারকারীদের 'রেখচিত্র সৌজন্যবিধি'(ইউজার ডায়াগ্রাম প্রটোকল)-এর উপর 'কিউইউআইসি' নামীয় যোগাযোগ সৌজন্যবিধি ব্যবহার করে। অ্যাপ্লিকেশনটি ভিডিও কলের সময় নেটওয়ার্কের গুণমান পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ভিডিও'র মানের অবক্ষয়ের রোধে 'অপ্টিমাইজেশন' প্রক্রিয়া সক্রিয় রাখে।[৩] এর মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশনটি কল অক্ষুণ্ন রাখতে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ভিডিও'র দৃশ্যমান রেজুলেশন কমিয়ে দেয়। এর অনন্য বৈশিষ্ট্য "নক নক", গ্রাহকদের কল গ্রহণ করার আগে কলারের একটি সরাসরি পূর্বরূপ দেখায়।[৪][৫] গুগলের ভাষ্য অনুযায়ী 'নক নক' "কলগুলিকে কাজের মাঝে ব্যঘাত হিসেবে নয় বরং একটি আমন্ত্রণের মতো বোধ করায়"[৬]
গুগল ডুও-তে "এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন"-এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের একজন আরেকজনের বার্তা পড়ার সুবিধা স্থায়ীভাবে সক্রিয় আছে। অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারকারীর গুগলের জিমেইল আইডি-এর বদলে মুঠোফোনের ফোন নম্বরগুলির উপর ভিত্তি করে প্রস্তুতকৃত। ফলে ব্যবহারকারীরা তাদের ফোন নম্বরের তালিকা থেকে যে কাউকে কল করে পারেন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়াই-ফাই এবং মুঠোফোনের নেটওয়ার্কের মাঝে অদল-বদল করার সক্ষমতা রয়েছে। এটি মোবাইল ইন্টারনেটের 'প্যাকেট ডাটা' গোপনের জন্য 'ওয়েভনেটইকিউ' ব্যবহার করে যা ডিপমাইন্ড/গুগল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি 'ওয়েভআরএনএন' ভিত্তিক মডেল।[৭]
মার্চ, ২০১৭ হতে অ্যাপ্লিকেশনটি ভিডিও ছাড়াও শুধু অডিও কল করার সুবিধা যোগ করা হয়। ব্রাজিলের ব্যবহারকারীরা সর্বপ্রথম এই সুবিধা ব্যবহার করেন।[৮][৯][১০] এপ্রিল,২০১৭ হতে এই সুবিধা বিশ্বব্যাপী উন্মুক্ত করা হয়।[১১] মার্চ, ২০১৮ হতে গুগল ডুও-তে ভিডিও এবং অডিও কলের পাশাপাশি ধারণকৃত ভিডিও এবং অডিও বার্তা আদান প্রদানের সুবিধা যুক্ত হয়। এই সংযোজনের ফলে একজন ব্যবহারকারী ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও অথবা অডিও বার্তা ধারণ করে উক্ত সময়ে গুগল ডুও-এ নিষ্কৃয় থাকা ব্যবহারকারীকে পাঠাতে পারেন। বার্তা প্রাপক ব্যবহারকারী কল করার সুবিধাসহ বার্তা দেখতে পারেন।[১২] মে, ২০১৯ হতে অ্যাপ্লিকেশনটির আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড উভয় সংস্করণেই একসাথে ৮ ব্যক্তির ভিডিও সম্মেলনের সক্ষমতা যুক্ত করা হয়েছিল[১৩] যা ছিল ফেসটাইম, হোয়াটসঅ্যাপ, স্কাইপ এবং ফেসবুক মেসেঞ্জারের অনুরূপ 'গ্রুপ কলিং' সেবার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, অংশগ্রহণকারীরা যে কোনও সময় কথোপকথনে যোগ দিতে বা ছেড়ে দিতে পারেন। মার্চ, ২০২০-এর শেষদিকে 'গ্রুপ কলিং'-এ অংশগ্রহণকারী ব্যবহারকারী বা কলারের সংখ্যা ৮ থেকে বৃদ্ধি করে ১২ করা হয়। এ সংখ্যা ৩২ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করা হয়।[১৪][১৫][১৬]