শিল্প | দোকান |
---|---|
প্রতিষ্ঠাকাল | ১১ মার্চ ২০১৫ |
পণ্যসমূহ | প্রযুক্তি |
মার্কাসমূহ | |
মালিক | গুগল |
ওয়েবসাইট | store |
গুগল স্টোর হচ্ছে গুগল কর্তৃক পরিচালিত একটি অনলাইন হার্ডওয়্যার বিপণি, যেখানে গুগল পিক্সেল ডিভাইসসমূহ, গুগল নেস্ট প্রোডাক্টসমূহ, স্ট্যাডিয়া, ক্রোমকাস্ট ডঙ্গলসমূহ, এবং ইয়ারবাডসমূহ, ফোন কেস, চার্জার, ও কিবোর্ড ইত্যাদি এক্সেসরিজ পাওয়া যায়। এছাড়া পিক্সেল পরিবারের পূর্বপর্যন্ত গুগল নেক্সাস ডিভাইসসমূহও পাওয়া যেত। মূলত গুগলের নিজস্বভাবে তৈরি করা বা সহযোগে তৈরি করা পণ্য গুগল স্টোরে বিক্রয় করা হয়। ২০১৫ সালের ১১ মার্চে যাত্রা শুরু করা এ স্টোর আদতে গুগল প্লে -এর ডিভাইস শ্রেণির নব রূপান্তর। গুগলের ব্যবহারকারী বিভাগের সিওও অ্যানা কোরালেস, এর দেখভাল করে থাকেন।
গুগল বাস্তব দোকান নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। অক্টোবর, ২০১৬ সালে গুগল, তাদের তখনকার সাম্প্রতিক ডিভাইসসমূহ প্রদর্শনের জন্য নিউ ইয়র্ক শহরে একটি পপ-আপ দোকান চালু করে, এবং পরবর্তী মাসে দোকানের-ভিতর-দোকান হিসেবে কানাডার বেস্ট বায় -এর নির্দিষ্ট কিছু দোকানে "গুগল শপ" চালু করে।
ইন্টারনেটে গুগল স্টোর, গুগল প্লে'র ডিভাইস বিভাগের একটি পরিবর্তিত রূপ।[১]
অক্টোবর ২০১৬ সালে গুগল মেইড বাই গুগল নামে নিউ ইয়র্ক শহরের সোহো পাড়ায় সাময়িক পপ-আপ দোকান চালু করে। জায়গাটিতে পিক্সেল স্মার্টফোন, গুগল হোম স্মার্ট স্পিকার, এবং ডেড্রিম ভিউ ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি হেডসেটসহ সম্প্রতি বিকশিত হার্ডওয়্যার পণ্য়ের ঝলক দেখা যেত।[২][৩][৪]
২০১৬ সালের নভেম্বরে "গুগল শপ" নামে দোকানের-ভিতর-দোকান চালু করে গুগল, যাতে তাদের হার্ডওয়্যার পণ্যসমূহ প্রদর্শন করতে পারে। নির্দিষ্ট বেস্ট বায় ঠিকানায় বিদ্যমান গুগল শপ, গুগলকে একটি বিপনী উপস্থিতি প্রদান করে, যা বৃহদাকার ও অনুগত একটি প্রিমিয়াম মোবাইল ডিভাইস গ্রাহক-গোষ্ঠী গঠনের চাবিকাঠি, এবং এটি গুগলের পূর্ববর্তী নেক্সাস প্রোগ্রামে সেভাবে উপস্থিত ছিল না। "বিশেষ মাপে তৈরিকৃত একরূপ আসবাব", যা অপেক্ষমাণ কক্ষের স্থান সংকুলানের সময় সহজেই এক কোণায় একদল শিক্ষার্থীকে জায়গা দিতে সক্ষম, -এর পাশাপাশি "হালকা কাঠের ছাপ ও ধূসর বুননযুক্ত উজ্জ্বল রঙের সকৌতুক আভাস" -এর সংস্পর্শে দৃশ্যমান নান্দনিকতাপূর্ণ দোকানগুলি, "স্পষ্টতই গুগল"। টেকক্রাঞ্চকে করা একটি বিবৃতিতে গুগলের বিপণী প্রচার পরিচালক, জ্যানেল ফিশার বলেন, " যখন লোকেরা আসে, খুঁজে পায়, খেলা করে ও মজা করে এবং তা যদি হয় প্রযুক্তি নিয়ে, আমরা সত্যিই তা পছন্দ করি। তাই আমরা প্রকৃতভাবেই বিভিন্ন ধরনের বিমুগ্ধ অভিজ্ঞতার স্তর তৈরির চেষ্টা করি, তার মধ্যে কতক পণ্য ও পণ্যের বৈশিষ্ট্য -এর সরাসরি প্রতিপাদন, আবার কতক অধিক অনুসন্ধানী ও মজাদার "। প্রতিটি দোকানেরই "ঐ শহরের অনন্য আধুনিক বিষয়বস্তু" থাকে।[৫]
কনজিউমার ইলেক্ট্রনিকস বিভাগে ২০১৬ উইবি অ্যাওয়ার্ড লাভ করে গুগল স্টোর।[৬]