গুয়েন তান দং | |
---|---|
![]() | |
ভিয়েতনামের ৮ম প্রধানমন্ত্রী | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৭ জুন, ২০০৬ | |
রাষ্ট্রপতি | গুয়েন মিন ট্রিট ট্রুং তান সাং |
ডেপুটি | ফাম বিন মিন |
পূর্বসূরী | ফান ভন খাই |
জাতীয় শিক্ষা কাউন্সিলের সভাপতি | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় জুলাই, ২০০৬ | |
ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭ – ২৭ জুন, ২০০৬ | |
প্রধানমন্ত্রী | ফান ভন খাই |
পূর্বসূরী | ফান ভন খাই |
উত্তরসূরী | গুয়েন সিন হাং |
স্টেট ব্যাংকের গভর্নর | |
কাজের মেয়াদ মে, ১৯৯৮ – ১১ ডিসেম্বর, ১৯৯৯ | |
পূর্বসূরী | কাও সি কিম |
উত্তরসূরী | লি ডাক থুই |
পার্টি সেন্ট্রাল কমিটি ইকোনোমিক কমিশনের প্রধান | |
কাজের মেয়াদ জুন, ১৯৯৬ – আগস্ট, ১৯৯৭ | |
পূর্বসূরী | ফান দিয়েন |
উত্তরসূরী | ট্রুং তান সাং |
জন নিরাপত্তাবিষয়ক উপ-মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ জানুয়ারি, ১৯৯৫ – আগস্ট, ১৯৯৬ | |
কমিউনিস্ট পার্টির সচিব | |
কাজের মেয়াদ জানুয়ারি, ১৯৯৬ – ডিসেম্বর, ১৯৯৭ | |
পলিটব্যুরো সদস্য | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১ জুলাই, ১৯৯৬ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কা মাউ, ভিয়েতনাম | ১৭ নভেম্বর ১৯৪৯
জাতীয়তা | ভিয়েতনামী |
রাজনৈতিক দল | কমিউনিস্ট পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | ট্রান থান কিম |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | ![]() |
শাখা | ![]() |
কাজের মেয়াদ | ১৯৬১-১৯৮৪ |
পদ | মেজর |
যুদ্ধ | ভিয়েতনাম যুদ্ধ |
গুয়েন তান দং (ভিয়েতনামী: /ŋwiʔən˧˥ tən˧˥ zuʔŋ˧˥/; জন্ম: ১৭ নভেম্বর, ১৯৪৯) দক্ষিণ ভিয়েতনামের কা মাউ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভিয়েতনামের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।[১][২] ২৭ জুন, ২০০৬ তারিখে জাতীয় পরিষদের মাধ্যমে অবসরগ্রহণকারী ফান ভন খাইয়ের স্থলে ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন। রাষ্ট্রপতি ট্রুং তান সাং ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফাং কুয়াং থানের পর ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির তৃতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছেন।[৩]
নিজ দ্বাদশ জন্মদিনে ভিয়েতকংয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দেন ও প্রাথমিক চিকিৎসা ও যোগাযোগের কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। এছাড়াও তিনি সেবক ও শল্য চিকিৎসক হিসেবে ভূমিকা রাখেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধে তিনি চারবার আহত হন।[৪] সিনিয়র লেফট্যানেন্ট ও ক্যাপ্টেন হন। পরবর্তীতে মেজর হিসেবে কিয়েন জিয়াং প্রদেশের সামরিক কমান্ডের পার্সোন্যাল বোর্ডের প্রধান হন।[৫] গুয়েন আই কোক পার্টি স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে ভর্তি হন।[৬]
১৯৬১ সালে পিপলস আর্মড ফোর্সে যোগ দেন ও ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত এর সাথে সম্পৃক্ত থাকেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধে দক্ষিণাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে যুদ্ধ করেন। জাতীয় স্বাধীনতার প্রশ্নে তিনি সম্মুখ যুদ্ধে নিয়োজিত ছিলেন। কম্বোডিয়া-ভিয়েতনাম যুদ্ধেও তার ভূমিকা ছিল যাতে ভিয়েতনাম কম্বোডিয়া দখল করে। ১০ জুন, ১৯৬৭ তারিখে ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টিতে অন্তর্ভুক্ত হন।[৭]
দলের রক্ষণশীল সদস্য লি ডাক আহ ও সংস্কারপন্থী ভো ভন কিয়েত - উভয়েরই বিশ্বাসভাজন হিসেবে ১৯৯৬ সালে পলিটব্যুরোর সর্বকনিষ্ঠ সদস্য মনোনীত হন।[৮] ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপূর্বে ১৯৯৮ থেকে ১৯৯৯ মেয়াদে ভিয়েতনাম স্টেট ব্যাংকের গভর্নর হন। ১৯৪৫ সালে সংঘটিত আগস্ট বিপ্লবের পর জন্মগ্রহণকারী প্রথম জ্যেষ্ঠ ভিয়েতনামী সমাজতান্ত্রিক নেতা হিসেবে ৫৬ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ ভিয়েতনামী প্রধানমন্ত্রী হন। ২৫ জুলাই, ২০০৭ তারিখে প্রধানমন্ত্রী পদে পুণঃনির্বাচিত হন তিনি।[৯] ২৬ জুলাই, ২০১১ তারিখে ত্রয়োদশ জাতীয় পরিষদের সভায় তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়। ৫০০ ভোটের মধ্যে তার অনুকূলে ৪৭০ ভোট আসে। এরফলে ট্রুং তান সাংকে হারিয়ে দলের পলিটব্যুরো বা নির্বাহী পরিষদে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পান।[১০]
অক্টোবর, ২০১১ সালে এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ভিয়েতনামে তার রাজনৈতিক বিরোধীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। জানুয়ারিতে কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের পর কর্তৃপক্ষ বিরুদ্ধবাদীদেরকে কঠোর হস্তে দমন করছেন। ৩০ জুলাই থেকে ১৫জন ধর্মীয় আন্দোলনকারীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ভিয়েতনাম বিশেষজ্ঞ অস্ট্রেলীয় কার্লাইল থায়ারের বলেছেন, গুয়েন তান দং নিঃসন্দেহে সংস্কারপন্থী নন। তাস্বত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সাথে ভিয়েতনামের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।[১১] তাদেরকে ভিয়েতনামের মানবাধিকারের উত্তরণের বিষয়ে স্থির দৃষ্টিভঙ্গী কিংবা বিচার কার্যের উন্নয়নে চাপ প্রয়োগ করতে দেখা যায় না।
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ফন ভন খাই |
ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ২০০৬-বর্তমান |
নির্ধারিত হয়নি |