গুরগাঁও জেলা | |
---|---|
হরিয়ানা জেলা | |
![]() হরিয়ানায় গুরুগ্রাম জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | হরিয়ানা |
বিভাগ | গুরুগ্রাম |
সদর দপ্তর | গুরুগ্রাম |
তহসিল | ১. গুরুগ্রাম, ২. সোহনা, ৩.পতৌদি, ৪. ফারুখ নগর ৫. মনেসার ৬. ওয়াজিরাবাদ ৭. বাদশাহপুর ৮. কাদিপুর ৯. গড়ী হারসরু |
আয়তন | |
• মোট | ১,২৫৮ বর্গকিমি (৪৮৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৫,১৪,০৮৫ |
• জনঘনত্ব | ১,২০০/বর্গকিমি (৩,১০০/বর্গমাইল) |
জনসংখ্যার উপাত্ত | |
• সাক্ষরতা | ৮৪.৪% |
• লিঙ্গ অনুপাত | ৮৫৩ |
ভাষা | |
• সরকারি | হিন্দি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
প্রধান মহাসড়ক | এনএইচ ৪৮, এনএইচ ১৪৮এ, এনএইচ ২৪৮এ, এনএইচ ৯১৯, এসএইসচ ১৫এ, এসএইসচ ২৬, এমআরডি ১৩২, এমআরডি ১৩৩, এমআরডি ১৩৬, এমআরডি ১৩৭ |
লোকসভা কেন্দ্রগুলি | গুরগাঁও লোকসভা কেন্দ্রের |
বিধানসভা কেন্দ্রগুলি | ১. পতৌদি, ২. বাদ্শাহপুর, ৩. গুরগাঁও ৪. সোহানা |
ওয়েবসাইট | http://gurugram.gov.in/ |
গুরুগ্রাম (গুরুমুখী: ਗੁਰੂਗ੍ਰਾਮ ਜ਼ਿਲ੍ਹਾ) জেলাটি উত্তর ভারতের হরিয়ানার ২২টি জেলার একটি। গুরুগ্রাম শহরে রয়েছে জেলার প্রশাসনিক সদর দফতর। গুরগাঁও জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক হলেন শ্রী অমিত খত্রি, একজন আইএএস কর্মকর্তা। জেলার মোট জনসংখ্যা ১৫,১৪,০৮৫ জন।[১] পূর্বে এটি গুড়গাঁও হিসাবে পরিচিত ছিল।
এটি হরিয়ানার অন্যতম দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা। জেলাটি উত্তরে ঝজ্জর জেলা ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লির সাথে সীমাবদ্ধ এবং এর পূর্বে ফরিদাবাদ জেলা, দক্ষিণে পালওয়াল ও নুহ জেলা অবস্থিত। এর পশ্চিম সীমান্তে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ রেওয়ারী জেলার অবস্থিত।
গুরুগ্রাম হল যাদব (উপাধি রাও ব্যবহার করুন) এবং মেও দ্বারা আধিপত্যযুক্ত স্থান।[২][৩][৪]
দিল্লীর দক্ষিণ পশ্চিমে আজকের গুরুগ্রাম অঞ্চল একসময়ে ছিল যদু বংশীয়দের অধীনে। মহাভারতের কাহিনি অনুসারে পান্ডব ও কৌরবদের অস্ত্র শিক্ষার গুরু ছিলেন দ্রোণাচার্য। গুরু দ্রোণাচার্যকে এই অঞ্চল দান করা হয়। দ্রোণাচার্যের সময় থেকেই এখানে অস্ত্রবিদ্যা প্রশিক্ষণের সূচনাও হয়। সেই থেকেই অঞ্চলটি গুরুগ্রাম হিসেবে পরিচিত। এক সময় মুঘল ও ব্রিটিশ শাসনের অধীনেও গুরুগ্রাম। পরিবর্তিত নাম হয় গুড়গাঁও। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার সময় গুড়গাঁও পাঞ্জাব রাজ্যের অধীনে যায়। ১৯৬৬ পাঞ্জাব রাজ্য ভেঙে হরিয়ানা হলে গুড়গাঁও হরিয়ানার অংশ হয়। ২০১৬ সালের ১২ ই এপ্রিল থেকে হরিয়ানা সরকার গুড়গাঁও নামের পরিবর্তে নাম রাখেন গুরুগ্রাম।
এই জেলাতে অনেকগুলি ছোট ছোট পাহাড় রয়েছে, যা আরাওয়ালি এবং মঙ্গল বাণী পর্বতের অংশ।
জেলার নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা প্রশাসক, যিনি জেলার প্রধান কর্মকর্তা। জেলাটি মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ৩ টি উপ-বিভাগে বিভক্ত: গুরুগ্রাম উত্তর, গুরুগ্রাম দক্ষিণ ও পতৌদি, যা আরও পাঁচটি রাজস্ব তহসিলে বিভক্ত, যথা, গুরুগ্রাম, সোহনা, পাটৌদি, ফারুক নগর, মানেশার। এছাড়াও চারটি উপ-তহসিল, যথা ওয়াজিরাবাদ, বাদশাহপুর, কাদিপুর এবং গড়ী হর্ষারু এবং চারটি পল্লী উন্নয়ন ব্লক, যথা পতৌদি, সোহনা, গুরুগ্রাম এবং ফারুকনগর রয়েছে জেলাতে।
এই জেলায় ৪টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে : পতৌদি, বাদশাহপুর, গুড়গাঁও এবং সোহনা।[৫] এগুলি সবই গুড়গাঁও লোকসভা কেন্দ্রের অংশ। [৬]
গুরুগ্রাম শহর, মনেসর ও সোহনা রোডে প্রচুর শিল্প ও অফিস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এনএইচ ৮-এর পাশে সাইবার সিটি একটি জনপ্রিয় অবস্থান, যেখানে বেশিরভাগ বহুজাতিক সংস্থাগুলি (এমএনসি) নিজেদের অফিসের জন্য বড় বড় জমি নিয়েছে। সোনিপত ছাড়া হরিয়ানা রাজ্যের সমস্ত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) গুরুগ্রামে রয়েছে।[৭]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে গুরুগ্রাম জেলার জনসংখ্যা ১৫,১৪,০৮৫ জন,[৮] যা গ্যাবোন [৯] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই রাজ্যের সমান সমান। [১০] জনসংখ্যার হিসাবে জেলাটি ভারতে ৩২৮ তম স্থানে রয়েছে (মোট ৬৪০টির এর মধ্যে)। জেলাটির জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১,২৪১ জন। ২০০১-২০১১ সময়কালে এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৭৩.৯৩%। গুরুগ্রাম জেলার লিঙ্গ অনুপাত ১০০০ জন পুরুষের প্রতি ৮৫৩ জন মহিলা এবং শিক্ষার হার ৮৪.৪%।
ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারির সময়ে জেলার জনসংখ্যার ৯১.৯১% হিন্দি, ২.৩৫% পাঞ্জাবি, ২.২০% বাঙালি, ০.৪৯% মাইথিলি এবং ০.৪০% ওড়িয়া তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে কথা বলে।[১১]
বছর | জন. | ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ১,৮২,৯৭৮ | — |
১৯১১ | ১,৫৯,৫৫৮ | −১২.৮% |
১৯২১ | ১,৪৮,৬২৭ | −৬.৯% |
১৯৩১ | ১,৬২,৪৬৪ | +৯.৩% |
১৯৪১ | ১,৮৬,৭৭৫ | +১৫% |
১৯৫১ | ২,০১,৭২৭ | +৮% |
১৯৬১ | ২,৫৯,৬৫৫ | +২৮.৭% |
১৯৭১ | ৩,৪৮,১৫১ | +৩৪.১% |
১৯৮১ | ৪,৭১,৬৯৫ | +৩৫.৫% |
১৯৯১ | ৬,০৬,৭৯১ | +২৮.৬% |
২০০১ | ৮,৭৪,৬৯৫ | +৪৪.২% |
২০১১ | ১৫,১৪,৪৩২ | +৭৩.১% |
gujjars have many villages in gurgaon. Gabon 1,576,665
Hawaii 1,360,301