গুরুদাস দাসগুপ্ত | |
---|---|
সাংসদ, লোকসভা | |
কাজের মেয়াদ ২০০৪ – ২০০৯ | |
পূর্বসূরী | বিক্রম সরকার |
উত্তরসূরী | ক্ষেত্র অবলুপ্ত |
নির্বাচনী এলাকা | পাঁশকুড়া |
কাজের মেয়াদ ২০০৯ – ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত |
উত্তরসূরী | দেব |
নির্বাচনী এলাকা | ঘাটাল |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | বরিশাল, ব্রিটিশ ভারত | ৩ নভেম্বর ১৯৩৬
মৃত্যু | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত | (বয়স ৮২)
রাজনৈতিক দল | ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | জয়শ্রী দাসগুপ্ত (বি. ১৯৬৫) |
সন্তান | ১ কন্যা |
বাসস্থান | ভবানীপুর, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আশুতোষ কলেজ (এমকম) |
গুরুদাস দাসগুপ্ত (৩ নভেম্বর ১৯৩৬ - ৩১ অক্টোবর ২০১৯) ছিলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির একজন নেতা। ১৯৫০ এবং ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের দশকগুলোতে তিনি একজন ছাত্রনেতা হিসেবে বিভিন্ন পদে আসীন ছিলেন। পরবর্তীকালে ১৯৮৫ থেকে ২০০০ পর্যন্ত তিনি রাজ্য সভা এবং ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত তিন বারের লোক সভার সাংসদ ছিলেন।
গুরুদাস দাসগুপ্ত ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের ৩ নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বরিশালে (বর্তমান বাংলাদেশ) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মায়ের নাম নীহার দেবী এবং পিতার নাম দুর্গা প্রসন্ন দাশগুপ্ত। ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুন তিনি জয়শ্রী দাসগুপ্তের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।[১]
তিনি একজন ছাত্রনেতা হিসেবে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন।[২] ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি আশুতোষ কলেজের স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন ছিলেন এবং একই সঙ্গে তিনি ১৯৫৮ থেকে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলার অবিভক্ত প্রাদেশিক স্টুডেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে ভারত রক্ষা আইনে আটক করা হয়। ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের সময়কালে তাঁকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছিল।[৩]
গুরুদাস দাসগুপ্ত ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অল ইন্ডিয়া ইয়ুথ ফেডারেশনের পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া ১৯৬৮, ১৯৭০ এবং ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি পশ্চিমবঙ্গ যুব উৎসব প্রস্তুতি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত বিশ্ব যুব সম্মেলনে তিনি ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব করেছিলেন।[১]
১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি বিভাজন হয়ে যখন সিপিআই এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) দুই দলে রূপান্তরিত হয়, তখন তিনি ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টিতে (সিপিআই) থেকে গিয়েছিলেন।[৪][৫] তিনি অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস এবং ভারতীয় ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন[১] এই দুই সারা ভারতীয় সংস্থার সহ-সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন।
গুরুদাস দাসগুপ্ত দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে তিনি ভারতের সাংসদ হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ১৯৮৫, ১৯৮৮ এবং ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে রাজ্য সভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[২][৪] গুরুদাসবাবু ২০০১ খ্রিস্টাব্দে অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের (এআইটিইউসি) সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১] ২০০৪ খ্রিস্টাব্দেই তিনি পশ্চিমবঙ্গের পাঁশকুড়া কেন্দ্র থেকে চতুর্দশ লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থেকে পঞ্চদশ লোকসভায় নির্বাচিত হন।[৬] তিনি হর্ষদ মেহতা কেলেঙ্কারির ২জি স্পেকট্রাম কেসের ওপর গঠিত যুক্ত সংসদীয় কমিটির একজন সদস্য ছিলন।[৭]
গুরুদাস দাসগুপ্ত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ৩১ অক্টোবর জটিল ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হন।[২][৮]
বিধানসভার আসন | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী {{{before}}} |
{{{title}}} | উত্তরসূরী {{{after}}} |
পূর্বসূরী {{{before}}} |
{{{title}}} | উত্তরসূরী {{{after}}} |