গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার | |
---|---|
ګلب الدين حكمتيار | |
![]() ২০১৯ সালে হেকমতিয়ার | |
আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ 26 June 1996 – 11 August 1997 Disputed by Mohammad Rabbani from 27 September 1996 | |
রাষ্ট্রপতি | বুরহানউদ্দিন রব্বানী |
পূর্বসূরী | Ahmad Shah Ahmadzai (acting) |
উত্তরসূরী |
|
কাজের মেয়াদ 17 June 1993 – 28 June 1994 | |
রাষ্ট্রপতি | Burhanuddin Rabbani |
পূর্বসূরী | Abdul Sabur Farid Kohistani (1992) |
উত্তরসূরী | Arsala Rahmani Daulat (acting) |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | [১] Imam Sahib District, Afghanistan টেমপ্লেট:Acn | ১ আগস্ট ১৯৪৯
রাজনৈতিক দল | Hezb-e Islami Gulbuddin |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | Kabul University |
গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার ( পশতু: ګلب الدين حكمتيار ; জন্ম: ১ আগস্ট, ১৯৪৯ ) [২] হলেন একজন আফগান রাজনীতিবিদ ও সাবেক মুজাহিদ নেতা। তিনি ১৯৭৯ সাল থেকে হিজবে ইসলামী নামক রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা নেতা। [৩][৪] তিনি ১৯৯০ এর দশকে দুইবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গুলবুদ্দিন ১৯৭০ এর দশকের গোড়ার দিকে একজন ছাত্র সদস্য হিসাবে একটি মুসলিম যুব সংগঠনে যোগদান করেন। সেখানে তিনি নিজের জিহাদি চেতনার জন্য পরিচিত ছিলেন এবং তা সংগঠনের বেশির ভাগ সদস্য কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়। ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধ শুরু হলে আফগানিস্তানে ফিরে আসার আগে তিনি পাকিস্তানে সময় কাটান, যেখানে সিআইএ তার দ্রুত বর্ধনশীল দল হিজবে ইসলামীকে আইএসআই এর মাধ্যমে অর্থায়ন করে বলে অভিযোগ করা হয়।[৫][৬]
১৯৮০ এর দশকের শেষদিকে হেকমতিয়ার এবং তার সংগঠন সিআইএ কর্তৃক তাদের দেওয়া তহবিল এবং অস্ত্র ব্যবহার করে আফিম পাচার শুরু করে। আফিম নেশাজাত দ্রব্য হলেও এটি বিশেষ ওষধি উপকারিতা রয়েছে বলে বিশ্বের বড় বড় অনেক কোম্পানি ব্ল্যাক মার্কেটিঙের মাধ্যমে সস্তায় আফিম সংগ্রহ করে থাকে। গুলবুদ্দিন তার গ্রুপকে মধ্যপ্রাচ্যে শীর্ষস্থানীয় আফিম সরবরাহকারীদের একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; নামবিহীন ref সমূহের অবশ্যই বিষয়বস্তু থাকতে হবে ১৯৯২ সালে সোভিয়েত-সমর্থিত আফগান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তিনি নতুন সরকারের অংশ গঠন করতে অস্বীকার করেন এবং অন্যান্য যুদ্ধবাজদের সাথে আফগান গৃহযুদ্ধে লিপ্ত হন। যার ফলে শুধুমাত্র কাবুলেই প্রায় ৫০,০০০ বেসামরিক লোক মারা যায়। হেকমতিয়ারকে শহরে রকেট হামলার জন্য সবচেয়ে বেশি দায় বহন করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল। [৭][৮]
এরপর আহমদ শাহ মাসুদের নেতৃত্বে শান্তি ও ক্ষমতা ভাগাভাগি প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে হেকমতিয়ার ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন এবং ১৯৯৬ সালে তালেবান কাবুল দখলের আগে তিনি সংক্ষিপ্তভাবে আরো একবার প্রধানমন্ত্রী হন এবং এরপর তিনি ইরানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। [৯]
২০০১ সালে তালেবান সরকারের পতনের কিছু সময় পরে তিনি পাকিস্তানে যান এবং তারপর তিনি নিজের আধাসামরিক বাহিনীকে নিয়ে কারজাইয়ের সরকার এবং আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক জোটের বিরুদ্ধে একটি অসফল সশস্ত্র অভিযানে নেতৃত্ব দেন।[১০] ২০১৬ সালে হেকমতিয়ার আফগান সরকারের সাথে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং প্রায় ২০ বছর নির্বাসনে থাকার পর আফগানিস্তানে ফেরার অনুমতি পান। [১১] ২০২১ সালের ১৭ ই আগস্ট আফগানিস্তান ইসলামি প্রজাতন্ত্র পতনের পর হেকমতিয়ার কাতারের দোহাতে আফগানিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই ও জাতীয় কাউন্সিলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, সাবেক প্রধান নির্বাহী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর সাথেই বৈঠক করেন। [১২][১৩] তবে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তালেবান একটি অ-অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করলে তারা দমিত হয়ে যায়।[১৪] হেকমতিয়ার বর্তমান কাবুলে বাস করেন। [১৫]
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)