উপর থেকে ঘড়ির কাঁটা: বারিধারা লেক থেকে গুলশান ২ স্কাইলাইন দেখা যায়; ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস; গুলশান লেক পার্ক; গুলশান ১ সার্কেল; গুলশান এভিনিউ | |
প্রশাসন | |
---|---|
ওয়ার্ড | ১৮, ১৯, ২০ (পার্ট) |
সংসদের আসন | ঢাকা-১৭ (গুলশান, বনানী, বারিধারা, নিকেতন, মহাখালী, শাহজাদপুর, ভাষানটেক ও ঢাকা সেনানিবাসের কিছু অংশ) |
সিটি কর্পোরেশন | ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৪৮' উ, ৯০°২৫' পূ |
র্যাব এলাকা | র্যাব ১ |
তথ্য | |
গুলশান এলাকা (২০২২) | |
স্থাপিত | ১৯৭২* |
আয়তন | ১৭ কিমি²* |
জনসংখ্যা | ২১২,০০০* |
সদর | গুলশান সার্কেল ২ |
প্রতিবেশী থানা | কাফরুল, বাড্ডা, তেজগাঁও, খিলগাঁও, ঢাকা সেনানিবাস* |
গুলশান বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি অভিজাত এলাকা এবং থানা।[১] এটি একটি সমৃদ্ধ আবাসিক এবং ব্যবসায়িক এলাকা। এখানে কয়েকটি পাঁচ তারকা হোটেল, উচ্চমানের রেস্তোরাঁ, শপিং সেন্টার, বিলাসবহুল বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট, প্রতিষ্ঠিত এবং সুপরিচিত বেসরকারী ইংরেজি-মাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক স্কুল, ব্যাঙ্ক, দেশীয় ও বহুজাতিক কোম্পানির সদর দপ্তর, সদস্যদের ক্লাব এবং বেশকিছু দূতাবাস এবং হাই কমিশন রয়েছে এই এলাকায়। গুলশানে অনেক বাংলাদেশি ও আন্তর্জাতিক কোম্পানির অফিস রয়েছে।[২] এক সময় ঢাকার প্রধানতম কমার্শিয়াল হাব বা ব্যবসাবাণিজ্যের কেন্দ্র ছিল মতিঝিল। অফিসপাড়া, ব্যাংকপাড়া বলতে তখন সবাই শুধুমাত্র মতিঝিল এবং তদসংলগ্ন এলাকাকেই বুঝতো। তবে সময়ের সাথে সাথে এসেছে পরিবর্তন। বর্ধিত ঢাকার নতুন বাণিজ্যিক কেন্দ্র বা কমার্শিয়াল হাব হয়ে উঠছে গুলশান এবং এর আশপাশের এলাকা।[৩] গুলশান এবং বনানী এলাকার পরিকল্পনা করা হয় অনেক আগে। সে সময় ঢাকা শহরের এক প্রকার প্রান্ত ছিল এই এলাকা। কিন্তু সময় যতই গড়িয়েছে, এই ঢাকা ততই সম্প্রসারিত হয়েছে চারিদিকে এবং গুলশান ও বনানী এলাকা পড়েছে সেই সম্প্রসারিত এলাকার ঠিক মাঝ বরাবর। এই এলাকায় গুলশান লেক নামে একটি হ্রদ রয়েছে।[৪][৫][৬]
ঢাকার উত্তরে বসুন্ধরা বা উত্তরা, দক্ষিণে মতিঝিল বা পুরান ঢাকা, পশ্চিমে ধানমন্ডি বা মোহাম্মদপুর আর পূর্বে বনশ্রী, আফতাবনগর যে অঞ্চলই ধরা যাক না কেন, সব এলাকার মোটামুটি মাঝখানে পড়েছে গুলশান এবং বনানী। গুলশানের চারদিকে মহাখালী, নিকেতন, তেজগাঁও, বারিধারা, বাড্ডা, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা।[৭] এলাকটি মূলত ২টি অংশ যথাক্রমে গুলশান ১ ও গুলশান ২ নামে পরিচিত। গুলশান ২-এ বড় একটি অংশেই বিদেশী দূতাবাস বা অফিসসমূহের অবস্থান। ঢাকার অন্যতম গাছপালা শোভিত এই এলাকা যদিও একটি আবাসিক এলাকা হিসেবে উল্লিখিত কিন্তু বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কারণে এটি একটি বাণিজ্যিক এলাকায় পরিণত হয়েছে ও হচ্ছে।[৮][৯][১০]
গুলশানে যোগাযোগ ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে মাঝবরাবর চলে যাওয়া গুলশান এভিনিউ। এটি উত্তরে দূতাবাস এলাকা থেকে শুরু করে গুলশান ২ ও ১ নম্বর সার্কেল হয়ে দক্ষিণে হাতিরঝিল পর্যন্ত বিস্তৃত। ১ নম্বর সার্কেল থেকে একপাশে মহাখালী অন্যপাশে বাড্ডা লিংক রোডের যোগাযোগ রয়েছে। ১ নম্বর সার্কেল থেকেই দক্ষিণ দিকে চলে গেলে পৌঁছানো যায় নিকেতন, হাতিরঝিল কিংবা তেজগাঁওতে। আর ২ নম্বর সার্কেলের সাথে সরাসরি যোগাযোগ বনানী, বারিধারা প্রমুখ এলাকার। এছাড়া বনানী ১১ নম্বর রোডের মাথায় লেকের উপর দিয়ে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করে নতুন যাতায়াতের মাধ্যম তৈরি করা হয়েছে যা বনানী ও এয়ারপোর্ট রোডের সাথে গুলশানে যাতায়াতের নতুন মাধ্যম তৈরি করেছে।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |