গুলেস্তান রুস্তম বিলিমোরিয়া | |
---|---|
জন্ম | মুম্বাই, মহারাষ্ট্র, ভারত |
পেশা | মানবহিতৈষী, সমাজসেবক, লেখক |
পরিচিতির কারণ | সামাজিক সেবা |
দাম্পত্য সঙ্গী | রুস্তমজি বোমানজি বিলিমোরিয়া |
পুরস্কার | ১৯৭২ পদ্মভূষণ |
গুলেস্তান রুস্তম বিলিমোরিয়া একজন ভারতীয় সমাজসেবী, সমাজকর্মী, লেখক এবং চিত্রশিল্পী ছিলেন। তিনি ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বই শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি মুম্বাইয়ের বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের সেবার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত।[১] তিনি ১৯৫৭ সালে মুম্বাইয়ের নগরপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন[২] এবং এছাড়াও তিনি ১৯২২ সাল থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত মুম্বাইয়ের দ্য আলেকজান্দ্রা গার্লস ইংলিশ ইনস্টিটিউশনের মহিলা অধীক্ষক (সুপারিনটেনডেন্ট) ছিলেন।[৩] ১৯৭২ সালে তিনি সরকারের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান, পদ্মভূষণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।
গুলেস্তান রুস্তম বিলিমোরিয়ার জন্ম হয়েছিল মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাই শহরে। জন্মের সময় তিনি ছিলেন গুলেস্তান জে. ভাদুর্জী। তিনি গিরটন হাই স্কুল থেকে নিজের বিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করেন।
এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি পড়াশোনা করেন মুম্বাইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। এই সময়কালে তিনি মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ফেলো ছিলেন এবং দুই বারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেটের সদস্য হয়ে ছিলেন।[১] তিনি বিয়ে করেছিলেন চিকিৎসক রুস্তমজি বোমানজি বিলিমোরিয়াকে। বোমানজি ছিলেন ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটির বেল-এয়ার হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা, এবং একজন পদ্মভূষণ প্রাপক। হাসপাতালটি মহারাষ্ট্রের একটি পার্বত্য শহর পঞ্চগনিতে অবস্থিত ছিল এবং সেটি ছিল একটি যক্ষ্মা হাসপাতাল। বিয়ের পর গুলেস্তান হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেন।[৪] পরে, তিনি মুম্বাইতে মহারাষ্ট্র রাজ্য মহিলা কাউন্সিলের সবেরা বিশেষ বিদ্যালয়, গুলেস্তান এবং বিলিমোরিয়া স্কুল স্থাপন করতে সহায়তা করেছিলেন। এটি ছিল মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান।[৫][৬]
গুলেস্তান বিলিমোরিয়া ছিলেন একজন পরিচিত চিত্রশিল্পী এবং তাঁর একটি চিত্রকর্ম মুম্বাইয়ের প্রিন্স অফ ওয়েলস মিউজিয়ামে (বর্তমানে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ বাস্তু সংগ্রহালয়) প্রদর্শিত হয়েছে।[১] এছাড়াও তিনি বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের উপর বেশ কিছু নিবন্ধ লিখেছেন।[৭] ১৯৭২ সালে ভারত সরকার তাঁকে তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান, পদ্মভূষণ পুরস্কারে ভূষিত করেছিল।[৮] তাঁর সম্মানে একটি বার্ষিক বক্তৃতার অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়, যার নাম গুলেস্তান এবং রুস্তম বিলিমোরিয়া এনডাউমেন্ট লেকচার।[৯]
১৯৭২ সালে তিনি ভারত সরকার দ্বারা তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান, পদ্মভূষণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।