গোইন্দওয়াল সাহিব | |
---|---|
শহর | |
মানচিত্রে পাঞ্জাবের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৩১°২২′ উত্তর ৭৫°৯′ পূর্ব / ৩১.৩৬৭° উত্তর ৭৫.১৫০° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পাঞ্জাব |
জেলা | তরন তারন |
অঞ্চল | মাঝা |
জনসংখ্যা (২০১০) | |
• মোট | ৭,৭৭২ |
ভাষা | |
• সরকারি | পাঞ্জাবি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিআইএন | ১৪৩৪২২ |
এসটিডি কোড | ০১৮৫৯ |
গোইন্দওয়াল (গুরুমুখী: ਗੋਇੰਦਵਾਲ, উচ্চারণ: [ɡoɪnd̪ʋäːl], অর্থ : ‘গোবিন্দের শহর’, ঈশ্বরের একটি উপাধি),[১] যা গোইন্দওয়াল সাহিব নামেও পরিচিত এবং বিকল্পভাবে গোয়িন্দওয়াল নামে প্রতিবর্ণীকৃত, হলো ভারতের পাঞ্জার রাজ্যের মাঝা অঞ্চলের তরন তারন জেলার একটি শহর যা তরন তারন সাহিব থেকে প্রায় ২৩ কিমি দূরে অবস্থিত। ১৬দশ শতকে গুরু অমর দাশ জির গুরুত্বের সময় এটি শিখধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে। গোইন্দওয়াল বিয়াস নদীর তীরে অবস্থিত এবং এটি তারন তারান জেলার ক্ষুদ্র শিল্পের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।
গুরু অমর দাশ (তৃতীয় শিখ গুরু, বা, তৃতীয় নানক) ৩৩ বছর ধরে গোইন্দওয়ালে অবস্থান করেছিলেন যেখানে তিনি শিখধর্ম প্রচারের জন্য একটি নতুন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেখানে ৮৪টি ধাপ বিশিষ্ট একটি বাওলি (ধাপ-ঝর্ণা) নির্মিত হয়েছিল। শিখদের বিশ্বাস যে, বাওলিতে স্নান করার পর ৮৪টি ধাপের প্রতিটিতে গুরু নানকের কাছে প্রকাশিত ঐশ্বরিক বাণী জপজি সাহিব পাঠ করার মাধ্যমে মোক্ষ, এই পৃথিবীর জীবনের ৮৪,০০,০০ চক্র থেকে মুক্তি এবং ঈশ্বরের সাথে একীভূত (মুক্তি) হওয়া যায়। গোইন্দওয়াল হলো সেই স্থান যেখানে গুরু অমর দাশ জি পরবর্তী শিখ গুরু গুরু রাম দাশ জির সাথে সাক্ষাত্ করেছিলেন। এখানে ১৫৬৩ সালের ১৫ এপ্রিল গুরু অর্জন দেবও জন্মগ্রহণ করেন। এটিকে শিখধর্মের অক্ষ বলা হয় কারণ এটি ছিলো শিখধর্মের প্রথম কেন্দ্র।
বর্তমানে গুরুদ্বার এবং গোইন্দওয়াল বাওলি একটি প্রধান তীর্থস্থান হিসাবে পরিদর্শন করা হয় এবং বিশাল লাঙ্গর বা সম্প্রদায়ের রান্নাঘর প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক তীর্থযাত্রীকে খাবার সরবরাহ করে থাকে।[২]
দিল্লী ও লাহোরকে সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন মহাসড়ক[৩] যা পূর্ব হতে পশ্চিমে প্রসারিত হওয়ার সময় বিয়াস নদী অতিক্রম করেছে এবং বিয়াস নদীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফেরিগুলির অন্যতম একটিতে শহরটির অবস্থান।[৪] উত্তর ভারতের আফগান শাসক শের শাহ সুরি (১৫৪০-৪৫) মহাসড়কের সংস্কারের ফলে এই ফেরি অংশটি একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ক্ষেত্র হয়ে ওঠে।[৫]
এটি একজন গোইন্দা বা গোন্ডা, একজন মারভাহা খত্রী ব্যবসায়ী,[৬] ফেরির পশ্চিম প্রান্তে একটি বাসস্থান প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেন।[৭] প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে গোইন্দা এর জন্য অশুভ আত্মাকে দায়ী করে যা সেখানে কেউ বসতি স্থাপন করুক তা চায় না; এবং গুরু অঙ্গদের আশীর্বাদ পেতে খাদুরে গিয়েছিলেন এবং অনুরোধ করে গুরুর দুই পুত্রের মধ্যে কেউ সেখানে বসবাস শুরু করে কিনা, যা এই বিষয়ে মানুষের কুসংস্কার ও অশুভ আত্মাকে দূরীভূত করবে এবং গ্রামটিতে জনবসতি গড়ে উঠবে।[৮][৯]
গুরু গোইন্দাকে সাহায্য করতে রাজি হন কিন্তু গুরুর পুত্রদের কেউই এই প্রস্তাবে রাজি হননি তাই গুরু তার অনুগত শিষ্য ভাই অমর দাশকে (তিনি পরে গুরু হন) গোইন্দাকে সাহায্য করতে বলেন। ভাই অমর দাশ, যিনি এই ভূভাগটি সম্পর্কে খুব ভালভাবে জানতেন কারণ তিনি তার গুরুর পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রতিদিন এই স্থান থেকে নদীর জল খাদুরে নিয়ে যেতেন,[১০] গোইন্দা গ্রামের ভিত্তি স্থাপন করেন যা তখন গোইন্দা, গোইন্দওয়ালের নামে নামকরণ করা হয়। ব্যবসায়ী গোইন্দা লোকদের সম্মান করার জন্য গোইন্দওয়ালে একটি বিশেষ স্থান নির্মান করা হয়।
|s2cid=
value (সাহায্য)। ডিওআই:10.1080/17448727.2021.1873656।