ভূগোল | |
---|---|
অবস্থান | বাল্টিক সমুদ্র |
স্থানাঙ্ক | ৫৭°৩০′ উত্তর ১৮°৩৩′ পূর্ব / ৫৭.৫০০° উত্তর ১৮.৫৫০° পূর্ব |
দ্বীপপুঞ্জ | স্লিটে দ্বীপপুঞ্জ |
মোট দ্বীপের সংখ্যা | ১৪ বড় + কিছু সংখ্যক ছোট |
প্রধান দ্বীপসমূহ | গোতলান্দ, ফারো, গোৎস্কা সাদোন, স্তোরা কার্লসো, লিলা কার্লসো, ফুরিলেন |
আয়তন | ৩,১৮৩.৭ বর্গকিলোমিটার (১,২২৯.২ বর্গমাইল) |
দৈর্ঘ্য | ১৭৬ কিমি (১০৯.৪ মাইল) |
প্রস্থ | ৫২ কিমি (৩২.৩ মাইল) |
তটরেখা | ৮০০ কিমি (৫০০ মাইল) (ফারো সহ) |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ৮২ মিটার (২৬৯ ফুট) |
সর্বোচ্চ বিন্দু | লজস্তা হেড |
প্রশাসন | |
দেশ | গোতলান্দ দেশ |
পৌরসভা | গোতলান্দ পৌরসভা |
বৃহত্তর বসতি | ভিসবাই (জনসংখ্যা ২৩,৬০০[১]) |
জনপরিসংখ্যান | |
জনসংখ্যা | ৫৮,৫৯৫[২] (২০১৭) |
জনঘনত্ব | ১৮.৪ /বর্গ কিমি (৪৭.৭ /বর্গ মাইল) |
প্রাতিষ্ঠানিক নাম | গোতলান্দ, পূর্ব উপকূল |
মনোনীত | ৫ ডিসেম্বর ১৯৭৪ |
সূত্র নং | ২১[৩] |
গোতলান্দ (/ˈɡɒtlənd/; সুয়েডিয়: [ˈɡɔ̌tːland] (; )[৪] পুরানো বানানে Gottland /ˈɡɒtlənd/ অথবা Gothland /ˈɡɒθlənd/; স্থানীয় উপভাষায় গাটলান্দ [৫] হ'ল সুইডেনের বৃহত্তম দ্বীপ। [৬][৭][৮][৯] এটি সুইডেনের একটি প্রদেশ, কাউন্টি, পৌরসভা, এবং ডায়োসেসে। প্রদেশটির উত্তরে ফারো এবং গটসকা সানডেন দ্বীপগুলির পাশাপাশি পশ্চিমে কার্লসো দ্বীপপুঞ্জ (লিলা এবং স্তোরা) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জনসংখ্যা ৫৮,৫৯৫,[২] যার মধ্যে ২৩,৬০০ জন বাস করে প্রধান শহর ভিসবাই তে। [১] সুইডেনের মোট জমির এক শতাংশেরও কম অংশ দখল করে গোতলান্দ দ্বীপ এবং গোতলান্দ প্রদেশের অন্যান্য অঞ্চল।
দ্বীপের আয়ের প্রধান উৎস হ'ল কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পর্যটন, তথ্য প্রযুক্তি পরিষেবা, নকশা এবং কিছু ভারী শিল্প যেমন স্থানীয়ভাবে খনন করা চুনাপাথর থেকে কংক্রিট উৎপাদন। সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি বাল্টিক সমুদ্র এর একটি কৌশলগত স্থানে অবস্থান করছে। ২০১৮ সালের হিসাবে গোতলান্দ রেজিমেন্টকে পুরায় স্থাপন করা হয়েছে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো সুইডেনে একটি নতুন রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
গোতল্যান্ডের নাম গীট এবং গোত-এর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।[১০]
দ্বীপটি গুতেসদের আবাসস্থল ছিল এবং আজভিদে সেটেলমেন্ট-এর মতো স্থানগুলি প্রমাণ করে যে এটির দখল সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই ছিল।[১১] গোতলান্দের মধ্য প্রস্তর যুগের প্রায় ৫,০০০ বছর আগের পুরানো সিল শিকারীদের কঙ্কাল অবশেষের উপর ডিএনএ সমীক্ষায় দেখা গেছে সেগুলি আধুনিক যুগের ফিনস-এর সাথে সম্পর্কযুক্ত। আবার মূল ভূখণ্ডের ভাস্তেগোতলান্দ-এর গখেম প্যারিশের এক কৃষককে দেখা গেল আধুনিক কালের ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত। ঐ সময়েই মধ্য প্রাচ্যের কৃষিক্ষেত্র প্রসারের সাথে এটি বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ।[১২]
গুতাসাগা কিংবদন্তিতে রয়েছে কীভাবে দ্বীপটিতে আইয়েলুয়ার বসতি স্থাপন করেছিলেন এবং তাঁর বংশধরেরা সেটিকে জনবহুল করেছে। এটিতে আরও বলা হয়েছে যে জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশকে দক্ষিণ ইউরোপে অভিবাসন ও বসতি স্থাপন করতে হয়েছিল। গোতদের অভিবাসনের সাথে সম্পর্কিত ঐতিহ্য অনুসারে দ্বীপ এবং সেখানের মানুষের আদি নাম গুতেস। কিংবদন্তিতে আরও উল্লেখ আছে যে পরে গুতেসরা স্বেচ্ছায় সুইডেনের রাজার অধীনে আসে এবং জোর দেওয়া হয় পারস্পরিক চুক্তির ভিত্তিতে গোতলান্দের সাথে সম্পর্কযুক্ত সুইডিশ রাজা ও বিশপের দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলি উল্লেখ করা থাকবে।[১৩] তাই কিছু ঐতিহাসিকের মতে এটি কেবল গোতলান্দের ইতিহাস রচনার বিষয় নয়, সুইডেন থেকে গোতলান্দের স্বাধীনতা দাবী করার একটি প্রচেষ্টাও এতে ছিল।[১৪]
ঐ কিংবদন্তি বলে যে অ্যাওয়ার স্ত্রাবেন নামের এক ব্যক্তি সুইডেনের রাজার সাথে সেই পারস্পরিক উপকারী চুক্তির ব্যবস্থা করেন। এই ঘটনাটি নবম শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই সংঘটিত হয়ে থাকবে যখন ওলফস্তান হেডেবি এক প্রতিবেদনে জানান যে দ্বীপটি সুইডিশদের অধীনে ছিল:
তারপরে বুরগুন্ডীয়দের ভূমির পরে আমাদের বাম দিকের যে জমিগুলিকে আমরা প্রথমের দিকে ব্লেকিনজি এবং মিয়োর এবং ইয়োওলান্দ এবং গোতলান্দ নামে উল্লেখ করতাম সে সমস্ত অঞ্চলই সিওয়েন্স এর অধীন; এবং ওয়েওনদলান্দ আমাদের ডানদিকে ওয়েইসেল-মুখ পর্যন্ত বিস্তৃত আছে। [১৫]
একমাত্র গোতলান্দ দ্বীপে আবিষ্কৃত আরব দিরহাম-এর সংখ্যা আশ্চর্যজনকভাবে বেশি। দ্বীপের আশেপাশের বিভিন্ন সম্পদ ভান্ডারগুলিতে পশ্চিম ইউরেশিয়ার অন্য কোনও স্থানের তুলনায় এই রৌপ্য মুদ্রা বেশি রয়েছে দেখা গেছে। সেগুলির মোট যোগফল সমগ্র মুসলিম বিশ্বে আবিষ্কার করা সংখ্যার মতোই দুর্দান্ত। [১৬] এই মুদ্রাগুলি রস ব্যবসায়ী এবং আব্বাসীয় খিলাফত ব্যবসায়ীদের মধ্যে রৌপ্য-ফুর রোড-এ চালিত বাণিজ্যের মাধ্যমে উত্তর দিকে চলে যেত এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ান বণিকদের দ্বারা তৈরি অর্থ উত্তর দিকের ইউরোপকে বিশেষত ভাইকিং স্ক্যান্ডিনেভিয়া এবং ক্যারোলিঞ্জিয়ান সাম্রাজ্যকে সহায়তা করত। পরবর্তী কয়েক শতাব্দীর ধরে এই অঞ্চলই প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসাবে পরিগণিত হয়েছিল।[১৭]
১৯০৫ সালে ইউক্রেনে আবিষ্কার করা বেরেনজান 'রানস্টোন-টি গ্রানি নামের একজন ভার্চিনিয়ান (ভাইকিং)) ব্যবসায়ী তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার কার্লের স্মরণে তৈরি করেছিলেন। ধারণা করা হয় তাঁরা গোতলান্দের বাসিন্দা ছিলেন। [১৮]