জেনারেল গোপাল গুরুনাথ বেউর পিভিএসএম | |
---|---|
गोपाळ गुरुनाथ बेवूर | |
সেনাপ্রধান | |
কাজের মেয়াদ ১৬ জানুয়ারী ১৯৭৩ – ৩১ মে ১৯৭৫ | |
পূর্বসূরী | ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশ |
উত্তরসূরী | জেনারেল টি এন রায়না |
ডেনমার্কে ভারতের রাষ্ট্রদূত | |
কাজের মেয়াদ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ – ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | সেওনি, মধ্য প্রদেশ | ১১ আগস্ট ১৯১৬
মৃত্যু | ২৪ অক্টোবর ১৯৮৯ | (বয়স ৭৩)
দাম্পত্য সঙ্গী | রাধিকা গোখালে |
পুরস্কার | পরম বিশিষ্ট সেবা ম্যাডেল |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | ব্রিটিশ ভারত ভারত |
শাখা | ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনাবাহিনী |
কাজের মেয়াদ | ১৫ জুলাই ১৯৩৭ - ৩১ মে ১৯৭৫ |
পদ | জেনারেল |
ইউনিট | দ্গড়া রেজিমেন্ট |
কমান্ড | সাউদার্ন কমান্ড (ভারত) ৩৩ কোর (ভারত) ২৭ পদাতিক ডিভিশন ৮০ পদাতিক ডিভিশন মহাপরিচালক, ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর |
জেনারেল গোপাল গুরুনাথ বেউর, পদ্মভূষণ, পিভিএসএম ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন অফিসার ছিলেন যিনি ৯ম সেনাপ্রধান ছিলেন।[১][২] প্রায় চার দশক ধরে সেনাবাহনীতে কাজ করা গোপাল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, পাক-ভারত যুদ্ধ ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ এ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশ এর মেয়াদ শেষের পরে তিনি সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন। অবসরপ্রাপ্তির পর ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ পান এবং ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত এ পদে ছিলেন।[৩] তিনি ১৫ জুলাই ১৯৩৭ সালে কমিশন লাভ করেন। ভারতের স্বাধীনতার পর তিনি দগড়া রেজিমেন্টে স্থানান্তরিত হন।
গোপাল ১৯১৬ সালের ১১ আগস্ট মধ্য প্রদেশের সেওনীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা গুরুনাথ ভেঙ্কাটেশ বেউর ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। তার মাতা রুক্মিণী একজন গৃহিণী ছিলেন, তার ভাই মাধব মেজর হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত হন, যিনি ১৯২৮ সালে কমিশনপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। গোপাল ১৯৩৫ সালে দেহরাদুনের ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমী-এ যোগ দিয়েছিলেন।
১৯৩৭ সালের ১৫ জুলাই গোপালকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষ তালিকায় কমিশন দেওয়া হয়। পরের মাসের ১০ তারিখে গোপাল গ্রীন হাওয়ার্ডস রেজিমেন্টের ২য় ব্যাটেলিয়নে সৈনিক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৩৮ সালের ১০ আগস্ট তাকে ১০ম বেলুচ রেজিমেন্টের ৫ম ব্যাটেলিয়নে নিয়োগ দেয় কমিশন স্থায়ী করা হয়। এই বছরের ৩০ নভেম্বর তিনি লেফটেন্যান্ট হন। ১৯৪৫ সালে তিনি কোয়েটা স্টাফ কলেজ থেকে পিএসসি পাশ করেন।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর অফিসারের মর্যাদা পান, তার ইউনিট বেলুচ রেজিমেন্ট পাকিস্তানের হয়ে গেলে তাকে দগড়া রেজিমেন্টের অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়্য। ১৯৪৭ সালের শেষের দিকে গোপাল লেঃ কর্নেল হন। ১৯৪৮ সালের এপ্রিলে তিনি পূর্ণ কর্নেল (ভারপ্রাপ্ত) হন।
১৯৫১ সালে তাকে ভারপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার হিসেবে ৮০তম পদাতিক ব্রিগেড (কাশ্মীর) এর কমান্ডার করা হয়। ১৯৫৩ সালের আগস্টে তিনি সেনাসদরে পার্সোনেল সার্ভিসেস পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান এবং ৩০ আগস্ট ১৯৫৩ তারিখে তার কর্নেল পদমর্যাদা প্রকৃত করা হয়।[৪] পরের বছর ৪ জুন ১৯৫৭ তারিখে তিনি আবার ভারপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার হিসেবে একটি পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডারের দায়িত্ব পান।[৫]
১৯৫৯ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি তিনি ভারপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল হন মাত্র ৪২ বছর বয়সে, এবং পশ্চিম সেনা কমান্ড (শিমলা) তে তাকে প্রধান স্টাফ কর্মকর্তা (চীফ অব স্টাফ) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় তাকে।[৬] ১৯৬১ সালে তিনি ২৭ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) হন।
জুন ১৯৬৩ তে তিনি সেনাসদরে মিলিটারি ট্রেনিং পরিদপ্তরের ডাইরেক্টর হন। ১৯৬৪ এর নভেম্বরে তিনি ৩৩ কোরের কমান্ডার হন লেঃ জেনারেল পদবীতে। এরপর সেনা সদরে ডেপুটি চীফ অব আর্মি স্টাফ (উপ সেনা প্রধান) হন ১৯৬৭ সালে। ১৯৬৯ সালের জুলাই মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চীফ (জিওসি-ইন-সি) হন গোপাল। ১৯৭৩ সালে জেনারেল শ্যাম মানেকশ' সেনাপ্রধান হিসেবে অবসরে গেলে গোপাল পূর্ণ জেনারেল পদে উন্নীত হন এবং সেনাপ্রধান হন। ১৯৭৫ সালের ৩১শে মে জেনারেল গোপাল জেনারেল তপেশ্বর নারায়ণ রায়নাকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে গমন করেন।