গোলাম-আলী হাদ্দাদ-আদেল | |
---|---|
ইরানের পার্লামেন্টের ২১ তম স্পিকার | |
কাজের মেয়াদ ৬ জুন, ২০০৪[১] – ২৭ মে, ২০০৮[২] ভারপ্রাপ্ত: ২৯ মে- ৫ জুন, ২০০৪[৩] | |
ডেপুটি | মোহাম্মাদ রেজা বাহোনার মোহাম্মাদ হাসান আবুতোরাবি |
পূর্বসূরী | মেহদি কারুবী |
উত্তরসূরী | আলী লারিজানি |
ইরানের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২৮ মে, ২০০০ – ২৭ মে, ২০১৬ | |
নির্বাচনী এলাকা | তেহরান, রেই, শেমিরানাত এবং এসলামশাহর |
সংখ্যাগরিষ্ঠ | ১,১১৯,৪৭৪ (৪৭.৭৪%) |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | গোলাম-আলী মাশহাদ মোহাম্মাদ-আলী হাদ্দাদ[৪] ৯ মে ১৯৪৫ তেহরান, ইরান |
রাজনৈতিক দল | পপুলার ফ্রন্ট অফ ইসলামিক রেভুলেশন ফোর্সেস, এলায়েন্স অফ বিল্ডার্স অফ ইসলামিক ইরান |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | ইসলামিক রিপাবলিক পার্টি (১৯৮০-১৯৮৭) |
আত্মীয়স্বজন | মোজতবা খামেনেই, আলি খামেনেই |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় শিরাজ বিশ্ববিদ্যালয় |
ধর্ম | শিয়া ইসলাম |
স্বাক্ষর | |
ওয়েবসাইট | Official weblog |
গোলাম-আলী হাদ্দাদ আদেল (ফার্সি: غلامعلی حداد عادل, জন্ম: ৯ মে, ১৯৪৫) একজন ইরানী দার্শনিক, রাজনীতিবিদ এবং ইরানের পার্লামেন্টের সাবেক স্পিকার। ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের পর প্রচলিত ধর্মীয় নেতাদের বাইরে তিনি এই পদে নিয়োগ পাওয়া প্রথম ব্যক্তি। ২০১৩ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি প্রার্থী ছিলেন কিন্তু নির্বাচনের ৪ দিন আগে ১০ জুন তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। তিনি ইরানের রাজনৈতিক অঙ্গনে "নব্য নীতিবাদী" দলগুলোর অংশ।
হাদ্দাদ-আদেলের জন্ম ৯ মে ১৯৪৫ সালে তেহরানে একটি ব্যবসায়ী পরিবারে। তিনি তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং শিরাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি মোর্তজা মোতাহহারী ও সাইয়্যেদ হোসেইন নাসর এর অধীনে ইসলামী দর্শন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেছেন। তিনি মার্কসবাদের সমালোচনার জন্য বিখ্যাত।
ইরানে বিপ্লবের পর হাদাদ-আদেল ইসলামিক রিপাবলিক পার্টির সদস্য হন এবং সংস্কৃতি ও ইসলামী নির্দেশনা বিষয়ক উপমন্ত্রী (১৯৭৯) এবং উপ-শিক্ষামন্ত্রী (১৯৮২-১৯৯৩) সহ অনেক সরকারী পদে দায়িত্ব পালন করেন করেছেন। ১৯৯৫ সাল থেকে (আগস্ট ২০০৪ থেকে ২০০৮ বাদে) তিনি ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক একাডেমির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইসলামী এনসাইক্লোপিডিয়া ফাউন্ডেশনেরও নির্বাহী পরিচালক। ইরানের জাতীয় বৈজ্ঞানিক অলিম্পিয়াড প্রতিষ্ঠায় তিনি অবদান রেখেছেন। হাদ্দাদ-আদেল চার মেয়াদে প্রায় তের বছর ধরে মজলিসে'র সদস্য পদে বহাল ছিলেন এবং ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত সংসদের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলী খামেনির উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া তিনি সাংস্কৃতিক বিপ্লব বিষয়ক কাউন্সিল এবং এক্সপিডিয়েন্সি ডিসার্নমেন্ট কাউন্সিলের একজন সদস্য ।
তিনি ফার্সি ভাষায় কুরআন অনুবাদ করেছেন। নয় বছরের ও অধিক সময় নিয়ে তৈরি করা এই অনুবাদটিতে তিনি সকল নতুন ও পুরানো অনুবাদ ব্যবহার এবং কুরআনের অন্যান্য পণ্ডিতদের সাথে পরামর্শ করার চেষ্টা করেছেন। কুরআনের উনবিংশতম আন্তর্জাতিক মেলায় ইরানে এই বইটি প্রদর্শিত হয়েছে।