গোলাম ইসহাক খান غلام اسحاق خان | |
---|---|
![]() | |
পাকিস্তানের ৭ম রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৭ আগস্ট, ১৯৮৮ – ১৮ জুলাই, ১৯৯৩ | |
প্রধানমন্ত্রী | বেনজীর ভুট্টো (১৯৮৮-৯০) নওয়াজ শরীফ (১৯৯০-৯৩) |
পূর্বসূরী | মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক |
উত্তরসূরী | ফারুক লেঘারি |
২য় সিনেট সভাপতি | |
কাজের মেয়াদ ২১ মার্চ, ১৯৮৫ – ১২ ডিসেম্বর, ১৯৮৮ | |
পূর্বসূরী | হাবিবুল্লাহ খান |
উত্তরসূরী | ওয়াসিম সাজ্জাদ |
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৮ – ২১ মার্চ, ১৯৮৫ | |
রাষ্ট্রপতি | ফজল ইলাহী চৌধুরী |
পূর্বসূরী | আব্দুল হাফিজ পিরজাদা |
উত্তরসূরী | মাহবুব উল হক |
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সচিব | |
কাজের মেয়াদ ১২ অক্টোবর, ১৯৭৫ – ৫ জুলাই, ১৯৭৭ | |
রাষ্ট্রপতি | ফজল ইলাহী চৌধুরী |
প্রধানমন্ত্রী | জুলফিকার আলী ভুট্টো |
পূর্বসূরী | ফজল মুকীম খান |
উত্তরসূরী | গোলাম জিলানী খান |
পাকিস্তান স্টেট ব্যাংকের গভর্নর | |
কাজের মেয়াদ ২২ ডিসেম্বর, ১৯৭১ – ৩০ নভেম্বর, ১৯৭৫ | |
রাষ্ট্রপতি | ফজল ইলাহী চৌধুরী |
প্রধানমন্ত্রী | জুলফিকার আলী ভুট্টো |
পূর্বসূরী | শাকুর দুররানী |
উত্তরসূরী | উসমান আলী |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | গোলাম ইসহাক খান ২০ জানুয়ারি ১৯১৫ ইসমাইল খেল, নর্থ-ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে - খাইবার পাখতুনখা, পাকিস্তান) |
মৃত্যু | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ পেশোয়ার, খাইবার পাখতুনখা, পাকিস্তান | (বয়স ৯১)
নাগরিকত্ব | ![]() |
জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
রাজনৈতিক দল | স্বতন্ত্র |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসসি) সিভিল সার্ভিস একাডেমি |
ধর্ম | ইসলাম |
গোলাম ইসহাক খান (উর্দু: غلام اسحاق خان; জন্ম: ২০ জানুয়ারি, ১৯১৫ - মৃত্যু: ২৭ অক্টোবর, ২০০৬) বান্নুতে জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানের বিশিষ্ট সরকারি চাকুরীজীবি ছিলেন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৩ মেয়াদে পাকিস্তানের ৭ম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তাকে পাকিস্তানের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা ক্ষমতাধর বেসরকারী রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনে করা হয়।[১]
ব্রিটিশ ভারত সাম্রাজ্যের নর্থ-ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার প্রদেশের বান্নু জেলার ইসমাইল খেল এলাকায় তার জন্ম।[২][৩] তিনি বাঙ্গাস পশতুন জনগোষ্ঠীর লোক। অদ্যাবধি তার পরিবার রাজনীতি সক্রিয় রয়েছে। ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়ন করেন। এরপর পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন ও উদ্ভিদবিদ্যায় দ্বৈত স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।[২][৪]
শুরুতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরীর সন্ধান করলেও ১৯৪১ সালে ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ব্রিটিশ ভারতের পক্ষে বিভিন্ন প্রাদেশিক দায়িত্ব পালন করেন।[৪] ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পর ১৯৫৫ পর্যন্ত সেচ অধিদপ্তরের সচিব ছিলেন।[২] ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সভাপতি মনোনীত হন। এরপর ১৯৬৬ থেকে ১৯৭০ মেয়াদে অর্থসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।[৫] ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর সকল পদের প্রধান হিসেবে রাখা হয়।[৬] ঐ একই সালে রাষ্ট্রপতি জুলফিকার আলী ভুট্টো কর্তৃক সাম্যবাদের ছোঁয়া থেকে দূরে রাখতে স্টেট ব্যাংকের গভর্নর মনোনীত হন।[৭] ১৯৭৫ সালে পাকিস্তানের পরমাণু পরিকল্পনায় তাকে প্রতিরক্ষা সচিব পদে নিযুক্ত করা হয়। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়া-উল-হক সরকারের অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রধান হন। ১৯৮৫ সালে সিনেট সভাপতি হন। জিয়ার মৃত্যুর পর তিনি রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হন ও ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৮ তারিখে ইসলামী জাহুরি ইত্তেহাদ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির পক্ষ থেকে তাকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত করা হয়।
ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ল্যাবেরেটরিজ গঠনে তার সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতা লাভের ফলে মার্কিন কূটনীতিবিদদের কাছ থেকে তিনি ‘মি. ন্যুক’ নাম ডাকনামে[২][৭] ও প্রকাশনা জগতে তাকে ‘বাবা এটম বোম’ নামে পরিচিতি ঘটানো হয়।[৩]
১৯৯৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে পিপিপি’র পক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর আগ্রহ প্রকাশ করলেও ফারুক লেঘারি এতে সম্পৃক্ত হন।[৭] এরপর তিনি জাতীয় রাজনীতি থেকে অবসর নেন এবং আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া প্রচার মাধ্যমে থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ঘটান।[৮] এরপর নিজ প্রদেশের জিআইকে ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্সের এন্ড টেকনোলজিতে রেক্টর হিসেবে কাজ করেন। নিউমোনিয়ায় ভোগে ২৭ অক্টোবর, ২০০৬ তারিখে তার দেহাবসান ঘটে।[৯]
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ফজল মুকিম খান |
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব ১৯৭৫-১৯৭৭ |
উত্তরসূরী গুলাম জিলানী খান |
পূর্বসূরী আ্বদুল হাফিজ পিরজাদা |
অর্থমন্ত্রী ১৯৭৭-১৯৮৫ |
উত্তরসূরী মাহবুব উল হক |
পূর্বসূরী খান হাবিবুল্লাহ খান |
সিনেট সভাপতি ১৯৮৫-১৯৮৮ |
উত্তরসূরী ওয়াসিম সাজ্জাদ |
পূর্বসূরী মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক |
পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ১৯৮৮-১৯৯৩ |