গোলিয়োঁ কী রাসলীলা রাম-লীলা गोलियों की रासलीला राम-लीला | |
---|---|
![]() থিয়েট্রিক্যাল রিলিজ পোস্টার | |
পরিচালক | সঞ্জয় লীলা ভন্সালী |
প্রযোজক | সঞ্জয় লীলা ভন্সালী দেওলকর কিশোর লুল্লা সন্দীপ সিং |
রচয়িতা | সিদ্ধার্থ-গরিমা (গান ও সংলাপ) |
চিত্রনাট্যকার | সঞ্জয় লীলা ভন্সালী সিদ্ধার্থ-গরিমা |
উৎস | উইলিয়াম শেকসপিয়র কর্তৃক রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট[১] |
শ্রেষ্ঠাংশে | রণবীর সিং দীপিকা পাড়ুকোন |
সুরকার | মূল গান: সঞ্জয় লীলা ভন্সালী হেমু গাডভি নেপথ্য সংগীত মন্টি শর্মা |
চিত্রগ্রাহক | রবি বর্মণ |
সম্পাদক | সঞ্জয় লীলা ভন্সালী রাজেশ জি. পাণ্ড্যে |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | ইরোস ইন্টারন্যাশানাল |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৫৩ মিনিট[৩] |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি গুজরাতি |
নির্মাণব্যয় | ₹৮৮ কোটি[৩] |
আয় | ₹২২১.৪ কোটি[৩] |
গোলিয়োঁ কী রাসলীলা রাম-লীলা (হিন্দি: गोलियों की रासलीला राम-लीला; অর্থাৎ বুলেটের খেলা রাম-লীলা) বা সংক্ষেপে রাম-লীলা হলো ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় অপরাধ-কেন্দ্রিক কাহিনীচিত্র। এই ছবিটির সহকারী চিত্রনাট্যকার, সহকারী প্রযোজক, সুরকার ও পরিচালক হলেন সঞ্জয় লীলা ভন্সালী। উইলিয়াম শেকসপিয়রের রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট অবলম্বনে এক অস্থির সময়ের প্রেক্ষাপটে ছবিটি নির্মিত হয়।[১][৪][৫][৬] ছবির নামভূমিকায় অভিনয় করেন রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন। অন্যান্য ভূমিকায় অভিনয় করেন সুপ্রিয়া পাঠক কপূর, রিচা চড্ডা, শরদ কেলকর, গুলশান দেবাইয়া, বরখা বিশত সেনগুপ্ত ও অভিমন্যু সিং। ছবিতে ব্যবহৃত "রাম চাহে লীলা" গানটিতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার একটি বিশেষ উপস্থিতি রয়েছে। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১৩ সালের ১৫ নভেম্বর।[৭] দিল্লি উচ্চ ন্যায়ালয় এই ছবির মুক্তির উপরে প্রথমে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। প্রথমে এই ছবির নাম ঠিক করা হয়েছিল রাম-লীলা। পরে দিল্লি উচ্চ ন্যায়ালয়ের একটি আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ছবির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় গোলিয়োঁ কী রাসলীলা রাম-লীলা।[৮] এরপর পূর্ব-নির্ধারিত দিনেই ছবিটি মুক্তি পায়।
নির্দিষ্ট দিনে ছবিটির প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এটি সমালোচকদের প্রশংসা এবং বিশ্বব্যাপী বক্স-অফিসে দারুণ সাফল্য, দুই-ই অর্জন করে। ছবিটির মোট আয় ছিল ২২০ কোটি টাকা।[৯][১০] গোলিয়োঁ কী রাসলীলা রাম-লীলা ছবিটি ছিল ২০১৩ সালের পঞ্চম সর্বাধিক বাণিজ্যসফল ছবি। ছবিটি মোট তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জয় করেছিল। এই ছবিতে অভিনয় করে মোট আটটি মনোনয়নের মধ্যে থেকে দীপিকা পাড়ুকোন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। উল্লেখ্য, এটিই তার পাওয়া প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।
হোলি উৎসবের দিন রাম (রণবীর সিং) সটান সানেরা পরিবারের বসতবাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং লীলার (দীপিকা পাড়ুকোন) সঙ্গে ছিনালি করতে শুরু করে। লীলার মা ধনকোর বা (সুপ্রিয়া পাঠক কপুর) ছিলেন সানেরা গোষ্ঠীর সর্দারনি। সেই সময় তিন এক সাদাসিধা গোছের অনাবাসী ভারতীয়ের সঙ্গে নিজের মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করতে ব্যস্ত ছিলেন। লীলার দাদা কাঞ্জি (শরদ কেলকর) তাদের বাড়িতে রামের ওভাবে ঢুকে পড়ার ঘটনায় রেগে যান। রামের বাড়িতে আকস্মিক হানা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করার জন্য কাঞ্জি স্থানীয় পুলিশকে ঘুষ দেন। রাম অবশ্য এক সেট নীল ছবির বিনিময়ে পুলিশকে সেই স্থান ত্যাগ করতে রাজি করায়। এদিকে রাম ও লীলার মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দু’জনে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে যখন কাঞ্জি দুর্ঘটনাচক্রে রামের ভাই মেঘজিকে (অভিমন্যু সিং) হত্যা করে বসে এবং তারপর নিজে নিহত হন রামের হাতে।
মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রাম ও লীলা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। বিবাহকে পূর্ণতা দানের জন্য যখন তারা শারীরিক মিলনে উদ্যত হয়, ঠিক সেই সময় রামের বন্ধুরা দু’জনের সন্ধান পেয়ে যায় এবং রামের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে লীলার পরিবারকে তাদের খোঁজ দেয়। পরদিন সকালে লীলার জ্ঞাতিভাই ভবানী (গুলশান দেবাইয়া) জোর করে লীলাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায়। অন্যদিকে লীলার সম্মান নষ্ট করার জন্য রাজাদি গোষ্ঠীতে রাম নায়কের মর্যাদা পায় ও তাকে গোষ্ঠীর সর্দার করে দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। এদিকে ধনকোর বা লীলার সঙ্গে সেই অনাবাসী ভারতীয়ের বাগদানের আয়োজন করেন। রাম ও লীলা দু’জনেই এতে হতাশ হয়। লীলা বিবাহের প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে। বিয়ের সময় রাম লীলার আঙুলে যে আংটিটি পরিয়ে দিয়েছিল, লীলা সেটি তার মাকে দেখায়। ধনকোর বা রেগে লীলার আঙুলটি কেটে ফেলেন। রামও নিজের আঙুলটি কেটে ফেলে এবং লীলা যখন ঘুমাচ্ছিল তখন তার সঙ্গে দেখা করতে আসে। রামের প্রতি লীলার তখনও বিশ্বাস ছিল। সে কাঞ্জির বিধবা স্ত্রী রসিলাকে (রিচা চাড্ডা) রামের কাছে পাঠায় তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য রামকে একটি চরম বার্তা দিতে। কিন্তু রামের বন্ধুরা রসিলাকে নিগ্রহ করে। ধনকোর বা সেই কথা জানতে পেরে ভবানী ও অন্যান্য লোকেদের পাঠান মেঘজির বিধবা স্ত্রী কেসরকে (বরখা বিষত সেনগুপ্ত) নিগ্রহ করার জন্য কিন্তু কেসর সুকৌশলে তাদের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায়।
কেসর যে কাজটি করতে এসেছিল, তারই প্রতিক্রিয়ায় রাম লীলার বাড়িতে হামলা করে এবং একাই রক্ষীদের সঙ্গে মারামারি করে তাদের ধরাশায়ী করে দেয়। সে ধনকোর বাকে বিবাদ থেকে বিরত হওয়ার জন্য কথা বলার জন্য অনুরোধ জানায়। ধনকোর বা তাকে সানেরাদের সঙ্গে নবরাত্রি উদযাপনের আমন্ত্রণ জানান। তার উদ্দেশ্য ছিল সেই সুযোগে রামকে হত্যা করা। অনুষ্ঠান চলাকালীন রাজাদিদের দোষারোপ করার জন্য ভবানী গোপনে গুলি চালিয়ে ধনকোর বাকে মারাত্মক আঘাত করে। লীলাকে সানেরাদের সর্দারনি করা হয় এবং সে তার মায়ের শুশ্রুষায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। লীলা তিক্ততার সঙ্গে রামের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যায়। সানেরা ও রাজাদিরা আর কখনও একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না, এই শর্তে তাদের যাতায়াতের রাস্তা ও ব্যবসাবাণিজ্য ভাগ করে দেওয়া হয়। ভবানীর এই ব্যবস্থা পছন্দ না হওয়ায় সে লীলাকে প্রতারিত করে তাকে দিয়ে অন্ধভাবে একটি নথিতে সই করিয়ে নেয়। এই নথিতে রাজাদিদের যথেচ্ছভাবে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। দশেরার সময় যখন রামলীলা শোভাযাত্রা শেষ হচ্ছিল, তখন অনেক রাজাদিকে হত্যা করা হয়। সারা গ্রামে লড়াইয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। রাম সেটি অনুধাবন করে। রাম ও লীলা উপলব্ধি করে তারা একে অপরের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ। তারা দু’জনেই সহৃদয়তার সঙ্গে একে অপরকে গুলি করে হত্যা করে এবং তাদের মৃতদেহ নদীতে পড়ে যায়। তারা জানতে পারেনি যে, ইতোমধ্যে ধনকোর বার মনে পরিবর্তন এসেছে এবং তিনি ভবানীকে হত্যা করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন করেছেন। শেষে দুই গোষ্ঠী একজোট হয়ে দুই প্রেমিকের দেহ সৎকার করে।
গোলিয়োঁ কী রাসলীলা রাম-লীলা ছবিটির চলচ্চিত্রায়নের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৫ কোটি টাকা[১১] থেকে ৮৫ কোটি টাকার মধ্যে।[১২]
রামের চরিত্রটি অভিনয় করার জন্য রণবীর সিং চুক্তিবদ্ধ হন। এরপর লীলার চরিত্রটির জন্য ভংসালী বেছে নেন করিনা কপুরকে বেছে। কিন্তু ধর্ম প্রোডাকসনসের রোম্যান্টিক কমেডি গোরি তেরে প্যার মেঁ ছবিতে অভিনয় করার জন্য করিনা গোলিয়োঁ কী রাসলীলা রাম-লীলা ছবির কাজ ছেড়ে দেন।[১৩] পরে ভংসালী লীলার চরিত্রটির জন্য প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি।[১৪] যদিও ২০১২ সালের অগস্ট মাসে রণবীর সিং জানিয়ে দেন যে, শেষ পর্যন্ত দীপিকা পাড়ুকোন লীলা চরিত্রটিতে অভিনয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।[৪][১৫] রণবীর একটি গুজরাতী যুবকের চরিত্রে অভিনয় করেন। সেই জন্য তাকে কিছু গুজরাতী গালিগালাজ শিখতে হয়। সেই সঙ্গে চরিত্রটির জন্য তাকে মাংসপেশিও গঠন করতে হয়।[১৬] ছবিটির ফার্স্ট লুকে দীপিকাকে ৫০ মিটার 'ঘেরা'-বিশিষ্ট ৩০ কিলোগ্রাম ওজনের একটি ঘাগরা পরিহিত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল।[১৭]
শ্রুতি মহাজন একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করার জন্য রিচা চাড্ডাকে চুক্তিবদ্ধ করান।[১৮] অন্যদিকে বরখা বিষত সেনগুপ্ত একটি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন অভিমন্যু সিং-এর বিপরীতে।[১৯] ভংসালী পরিচালিত ব্ল্যাক চলচ্চিত্রের পোশাক-পরিকল্পনা করেছিলেন সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়। নায়িকার পোশাক-পরিকল্পনার জন্য প্রথমে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে তার পরিবর্তে অঞ্জু মোদীকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়।[২০] রণবীর সিং ও অন্যান্য প্রধান চরিত্রগুলির পোশাক-পরিকল্পনা করেন ম্যাক্সিমা বসু।
মাধুরী দীক্ষিত (ভন্সালী পরিচালিত দেবদাস ছবির নায়িকা) এই ছবিতে একটি আইটেম নম্বরে নৃত্য পরিবেশন করবেন বলে গুজব রটে।[২১] এই গানটির সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে অন্য দু’জন নায়িকার নামও অনুমিত হতে থাকে: ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন (ভংসালী পরিচালিত হাম দিল দে চুকে সনম, দেবদাস ও গুজারিশ ছবির নায়িকা) ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।[২২] এরপর ঘোষণা করা হয়, প্রিয়াঙ্কাই এই গানটির সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করবেন।[২৩]
গোলিয়োঁ কী রাসলীলা রাম-লীলা ছবির প্রাথমিক শ্যুটিং হয়েছিল গুজরাতে। কয়েকটি দৃশ্যের শ্যুটিং হয় উদয়পুরে— প্রধানত উদয়পুর প্যালেস ও গাঙ্গৌর ঘাটে। গাঙ্গৌর ঘাটে একটি গানের দৃশ্যের শ্যুটিং হয়।[২৪][২৫] ছবির কাহিনীটির প্রেক্ষাপটও গুজরাত।[২৬] উদয়পুরে রণবীর প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে হিমশীতল জলে একটি গানের দৃশ্যের শ্যুটিং করেন।[৫] ছবির সেটে দীপিকা আহত হয়েছিলেন। অবশ্য "নাগাডা সঙ্গ ঢোল" গানের জন্য ফিল্ম সিটিতে নির্মিত একটি ব্যয়বহুল সেটে দীপিকাকে শ্যুটিং চালিয়ে যেতে হয়।[২৭] রণবীরের যাতে শ্যুটিং-এ আসতে দেরি না হয় এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজে যাতে অন্য কোনওরকম বিলম্ব না ঘটে, সেই জন্য সঞ্জয় লীলা ভংসালী মুম্বই ফিল্ম সিটিতেই একটি জিম স্থাপন করেছিলেন।[২৮]
কোনও কোনও ধর্মীয় গোষ্ঠী ছবিটির বিরোধিতা করেছিল। তাদের দাবি ছিল, ছবির পূর্বনির্ধারিত রামলীলা নামটি বিভ্রান্তিকর। কারণ, হিন্দু দেবতা রামের জীবনকাহিনী অবলম্বনে রামলীলা নামে যে লৌকিক নাট্যশৈলী প্রচলিত রয়েছে, তার সঙ্গে এই ছবির কোনও সম্পর্ক নেই। মুম্বইয়ের একটি স্থানীয় আদালত ছবির নামে রামলীলা শব্দটির ব্যবহারের উপর একটি "একতরফা অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ" জারি করে।[২৯] প্রভু সমাজ ধার্মিক রাম লীলা কমিটি সহ ছয় দরখাস্তকারীর দায়ের করা এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লির একটি আদালত ১২ নভেম্বর ছবিটির মুক্তির উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। দরখাস্তকারীদের বক্তব্য ছিল ছবিটি হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করেছে। পরে ছবির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় গোলিয়োঁ কী রাসলীলা রাম-লীলা। ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ উত্তর প্রদেশে ছবিটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।[৩০]
ক্ষত্রিয় সম্প্রদায় এই ছবিতে গোষ্ঠী-নামগুলি ব্যবহারের বিরোধিতা করে। তাই জাদেজা ও রাবারি নাম দু’টি পরিবর্তন করে যথাক্রমে সানেরা ও রাজাদি রাখা হয়।[৩১]
গোলিয়োঁ কী রাসলীলা রাম-লীলা | ||||
---|---|---|---|---|
কর্তৃক অ্যালবাম | ||||
মুক্তির তারিখ | ২ অক্টোবর, ২০১৩[৩২][৩৩] | |||
শব্দধারণের সময় | এভিএ স্টুডিওজ, মুম্বই[৩৪] | |||
ঘরানা | সাউন্ডট্র্যাক | |||
দৈর্ঘ্য | ৪৭:০২ | |||
সঙ্গীত প্রকাশনী | এরোস মিউজিক বম্বে ট্র্যাকস এলএলপি | |||
প্রযোজক | সঞ্জয় লীলা ভন্সালী ও কিশোর লুল্লা | |||
সঞ্জয় লীলা ভন্সালী কালক্রম | ||||
|
২০১০ সালে সঞ্জয় লীলা ভন্সালী তাঁর গুজারিশ ছবির সংগীত পরিচালনা করেছিলেন। এরপর গোলিয়োঁ কী রাসলীলা রাম-লীলা তাঁর সংগীত পরিচালনায় নির্মিত দ্বিতীয় ছবি।[৩২] সাওয়ারিয়া ছবির সংগীত পরিচালক মন্টি শর্মা দীর্ঘকাল পর সংগীত পরিচালনার কাজে ফিরে এসে এই ছবির নেপথ্য সংগীত পরিচালনা করেন। গান রচনা করেন সিদ্ধার্থ-গরিমা।[৩৫] এই ছবিতে ব্যবহৃত মোর বাণী থনঘট কারে গানটি ১৯৪৪ সালে হেমু গাদভি কর্তৃক রচিত এবং ঝভারচন্দ মেঘানি কর্তৃক অনূদিত একটি গুজরাতি গান।[৩৬] রণবীর সিং-এর শারীরিক অসুস্থতার জন্য সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবামটি প্রকাশে দেরি হয়। অবশেষে ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর সেটি প্রকাশিত হয়।[৩২][৩৩]
ট্র্যাক তালিকা | |||
---|---|---|---|
নং. | শিরোনাম | সংগীতশিল্পী | দৈর্ঘ্য |
১. | "অঙ্গ লগা দে" | অদিতি পাল ও শৈল হাডা | ৫:২৭ |
২. | "ধূপ" | শ্রেয়া ঘোষাল | ৩:৩৬ |
৩. | "ইশকিয়াওঁ ইশকিয়াওঁ" | আদিত্য নারায়ণ | ৪:৫১ |
৪. | "লাল ইশক" | অরিজিৎ সিং | ৬:২৭ |
৫. | "লহু মুঁহ্ লগ গয়ে" | শৈল হাডা ও ওসমান মীর | ৫:০০ |
৬. | "মোর বাণী থনঘট কারে" | ওসমান মীর ও অদিতি পাল | ৩:৫৮ |
৭. | "নাগাড়া সঙ্গ ঢোল" | শ্রেয়া ঘোষাল ও ওসমান মীর | ৪:৩৩ |
৮. | "পুরে চান্দ" | শৈল হাডা | ৪:০৮ |
৯. | "রাম চাহে লীলা" | ভূমি ত্রিবেদী | ৪:০৪ |
১০. | "তত্তাড তত্তাড" | আদিত্য নারায়ণ | ৪:৫৮ |
১১. | "ভাই ভাই (ভালা মোরি রামা)" | অরবিন্দ বাগদা | ১:০৭ |
মোট দৈর্ঘ্য: | ৪৭:০২ |
২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর গোলিয়োঁ কী রাসলীলা রাম-লীলা ছবিটি মুক্তি লাভ করে। ভারতের দুই হাজারেরও বেশি প্রেক্ষাগৃহে এবং ভারতের বাইরে ৫৫০টি প্রেক্ষাগৃহে এই ছবিটি মুক্তি লাভ করেছিল।[৩৭]
সমালোচকেরা এই ছবিটি সম্পর্কে সাধারণভাবে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই ব্যক্ত করেছিলেন।[৩৮]
বলিউড হাঙ্গামার তরণ আদর্শ এই ছবিটিকে ৫-এর মধ্যে ৪.৫ দেন এবং লেখেন, "সামগ্রিক দিক থেকে গোলিয়োঁ কী রাসলীলা একাধিক কারণে দেখা দরকার: এই ছবির প্রধান চরিত্রগুলির উদ্দীপ্ত পারস্পরিক রসায়ন, প্রগাঢ় নাটকীয় বিষয়বস্তু, দ্যুতিময় সংগীতাবহ, আখ্যানভাগের অতি দ্রুতগতি এবং অবশ্যই সঞ্জয় লীলা ভংসালীর পরিকল্পিত উপাদান সম্পাদনা।"[৩৯]
দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া পত্রিকার মীনা আইয়ার ছবিটিকে ৫-এর মধ্যে ৪ দেন এবং বলেন, "রাম-লীলা এখনও পর্যন্ত সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর সর্বপ্রধান বাণিজ্যিক ছবি। এই ছবির বেশিরভাগটিতেই অপরিচ্ছন্ন অগোছালো পোশাকের মাত্রা ও রসের সুন্দর প্রয়োগ দেখা যায়। প্লটটি যেহেতু শেকসপিয়রীয়, সেহেতু এই কাহিনীটি সমৃদ্ধতার একটি মাপকাঠিতে মেপে নিয়ে বলার মতো দুঃসাধ্য কাজ করতে হয়েছে নির্মাতাকে। [এই ছবিতে] প্রাচীন প্রাসাদ ও ধূ ধূ মরুভূমির [প্রেক্ষাপটটি] যথার্থভাবে মানিয়েছে। দীপিকা এখানে বিস্ময়করভাবে উত্তেজনাময়ী ও অভিনয় দক্ষতার শীর্ষ স্থানে ছিলেন। রণবীর এই ছবিতে স্বচ্ছন্দে নিজের সিক্স প্যাকস ও অভিনয় নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন। সেই সঙ্গে রিচা চাড্ডা ও সুপ্রিয়া পাঠক কপূরের প্রতিভাকেও আমাদের অভিবাদন জানাতে হবে।"[৪০]
হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকার অনুপমা চোপড়া ছবিটিকে ৫-এর মধ্যে ৩ দেন এবং লেখেন: "যদি সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর [কথা] বিশ্বাস করতে হয়, তবে [বলতে হবে] গুজরাতিরা দেশের সবচেয়ে বর্ণময়, আবেগপ্রবণ, হিংস্র, দৃষ্টি-আকর্ষণকারী ও বলবান সম্প্রদায়"। তিনি পরিচালকের সৌন্দর্যবোধের প্রশংসা করেন। কিন্তু এও লেখেন যে, "শেষে আমি এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম যে, আমি চাইছিলাম রাজাদি আর সানেরারা সবাই একে অপরকে খুন করে দিক, যাতে আমরা [ব্যাপারটির সঙ্গে] মানিয়ে নিতে পারি"।[৪১]
সিএনএন-আইবিএন-এর রাজীব মসন্দ এই ছবিটিকে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ দেন। ছবির নায়ক ও নায়িকার রসায়নটিকে প্রশংসা করে তিনি লেখেন, "দীপিকা ও রণবীর তাঁদের রোম্যান্টিক দৃশ্যগুলিতে পর্দা ঝলসে দিয়েছেন। বলিউডের ছবিগুলি প্রধানত নিষ্প্রাণ আলিঙ্গন দৃশ্যেই সীমাবদ্ধ। সেখানে তাঁদের গভীর অনুরাগের অভিপ্রকাশ একটি সাহসী পরিবর্তন।" সমালোচনার শেষে রাজীব লেখেন, "তিনি (সঞ্জয় লীলা ভংসালী) একটি কৈফিয়ত-না-দেওয়া বাণিজ্যিক ছবির মধ্যে মহৎ শৈলী ও নান্দনিকতা এনেছেন। আমি সানন্দে বলব, সাম্প্রতিক কালে আমরা যে সব শ্লথ ব্লকবাস্টারগুলি দেখেছি, এই ছবি সেগুলির থেকে অনেক বেশি চিত্তাকর্ষক।"[৪২]
ডিএনএ-এর সরিতা তানওয়ার এই ছবিটিকে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ দিয়েছেন এবং লিখেছেন, "রাম লীলা পরিচিত ও নতুনের এক আকর্ষণীয় মিশ্রণ। এই ছবির প্রযুক্তিগত দিকগুলি অসাধারণ: বিস্ময়কর সেট, মন্ত্রমুগ্ধকর সিনেম্যাটোগ্রাফি, নিখুঁত সংগীত ও পার্শ্বচরিত্রে চমৎকার সব অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নির্বাচন। দীপিকা প্রত্যেকটি দৃশ্যেই নিঁখুত। রণবীর পরিচালকের কল্পনার কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন এবং নিজের পূর্ণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।"[৪৩]
ফার্স্ট পোস্ট-এর মিহির ফাড়নবিস লিখেছেন, "রাম লীলায় অল্প কিছু মশলা ছড়ানো একটি চিরবিষণ্ণ পুরনো নয়ারের আত্মা রয়েছে। পরিচালনা, অসাধারণ প্রযোজনা পরিকল্পনা, জমকালো সিনেম্যাটোগ্রাফির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিস্ময়করভাবে শক্তিশালী এক কলাকুশলী নির্বাচন। পাড়ুকোন একটি ফর্মুলার সমুদ্রে একজন মত্তচক্ষুর নিমন্ত্রাতা। তিন বছর আগেও তাঁর এই আকস্মিক উন্নতি ও শক্তির উপর কর্তৃত্ব আরোপ আশা করতে পারতেন না যেরকম তিনি এখন করেছেন। অন্যদিকে রণবীর একজন দুর্বল সূত্র।" [৪৪]
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার শুভ্রা গুপ্ত এই ছবিটিকে ৫-এর মধ্যে ২.৫ দেন এবং শেষে লেখেন "'রাম-লীলা' একটি যুগল সৃজন করেছে যা পর্দাকে প্রজ্জ্বলিত করে এবং যে সময় এই দু’জন পর্দায় থাকেন, আপনি এঁদের থাকেন। যখন বন্দুক বের হয় এবং বন্দুকবাজেরা চিৎকার আর গুলিচালনা শুরু করে, তখনই প্রেমকাহিনীটির সলিলসমাধি ঘটে এবং সবকিছু অত্যধিক কোলাহলপূর্ণ এবং অত্যধিক মাত্রায় নৃত্যময় হয়ে পড়ে।"[৪৫]
On the whole, Goliyon Ki Raasleela ought to be watched for multiple reasons: the electrifying chemistry between its lead actors, the strong dramatic content, the scintillating musical score, the violent streak in the narrative and of course, Sanjay Leela Bhansali's execution of the material.
For the most part, Ram-Leela, SLB's most commercial work till date, has nice doses of raunch and ras (juice). Since the plot is Shakespearan, the maker has the arduous task of telling you this story on an opulent scale. Vintage palaces and daunting deserts are fitted in with precision. Deepika is breathtaking and in top form. Ranveer displays his six packs and histrionics with fair ease. You have to also applaud Richa Chadda and Supriya Pathak Kapur for being the talent they are.
"If Sanjay Leela Bhansali is to be believed, Gujaratis are the most colorful, passionate, violent, loud and lusty community in this country"…"By the end, I was so exhausted that I just wanted all the Rajadis and Saneras to kill each other so that we could be done with it".
Deepika and Ranveer scorch up the screen in their romantic scenes, their intense passion a bold change from Bollywood's mostly tame embraces."… "He (Bhansali) brings great style and aesthetic to an unapologetically commercial film, which I'm happy to say is far more engaging than the lazy blockbusters we've seen lately.
Ram Leela is a lovely mixture of the familiar and the fresh. The technical aspects of the film are extraordinary: breath-taking sets, spellbinding cinematography, perfect music and a wonderful supporting cast. Deepika is perfect in every scene. Ranveer has surrendered to the director's vision and delivers a power-packed performance.
Ram Leela has the soul of a cynical old noir peppered with a few small glimmers of masala. The direction, outstanding production design, gorgeous cinematography are supported by a surprisingly strong cast, and Padukone is a wild-eyed anchor in a sea of formula. Three years ago you'd never have expected her to improve so drastically and command the kind of energy she does now. Ranveer, on the other hand, is a weak link.
'Ram-Leela' creates a couple that ignites the screen, and most of the time when these two are on screen, you keep watching. It's when the guns come on, and the gun-masters start roaring and shouting, that the love-story drowns, and everything gets both too noisy and too choreographed.