গৌরী গিল | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ১৯৭০ (বয়স ৫৪–৫৫) নতুন দিল্লি, ভারত |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
শিক্ষা | কলেজ অফ আর্ট, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, পার্সন স্কুল |
মাতৃশিক্ষায়তন | স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (২০০২) |
পরিচিতির কারণ | আলোকচিত্ৰ শিল্পী |
ওয়েবসাইট | gaurigill |
গৌরী গিল (জন্ম ১৯৭০) একজন ভারতীয় সমসাময়িক আলোকচিত্রী, তিনি নতুন দিল্লিতে থাকেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস তাঁকে "ভারতের সবচেয়ে সম্মানিত আলোকচিত্রীদের একজন"[১] এবং দ্য ওয়্যার তাঁকে "আজকের দিনের ভারতের সবচেয়ে চিন্তাশীল আলোকচিত্রীদের একজন" বলে অভিহিত করেছে।[২] ২০১১ সালে গৌরীকে কানাডার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সমসাময়িক আলোকচিত্র পুরস্কার, গ্রাঞ্জ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।[৩] জুরি বোর্ড বলেছে যে তাঁর কাজগুলি "প্রায়শই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ বীরত্বকে তুলে ধরে, যেখানে বিষয়গুলির সাথে শিল্পীর প্রায়শই-ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে একটি তথ্যচিত্রের মূল নীতি এবং মানুষের বেঁচে থাকার বিষয়গুলির উপর একটি মানবিক উদ্বেগের সাথে চিত্রিত করে।"[৪]
গৌরী গিল ভারতের চণ্ডীগড়ে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি ভারতের নতুন দিল্লির দিল্লি কলেজ অফ আর্টস থেকে ফলিত শিল্পে তাঁর বিএফএ পেয়েছিলেন। তিনি ১৯৯৪ সালে নিউইয়র্কের পারসন্স স্কুল অফ ডিজাইন থেকে ফটোগ্রাফিতে তাঁর বিএফএ এবং ২০০২ সালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ফটোগ্রাফিতে এমএফএ অর্জন করেন।[৫]
দ্য আমেরিকান (২০০০ - ২০০৭) ছবিতে তিনি আমেরিকা জুড়ে থাকা তাঁর ভারতীয় প্রবাসী পরিবার এবং বন্ধুদের ছবি তোলেন।[৬]
গ্রামীণ রাজস্থানের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর এক দশকব্যাপী অধ্যয়ন নোটস ফ্রম দ্য ডেজার্ট (১৯৯৯ - চলমান) থেকে তিনিদ্য মার্ক অন দ্য ওয়াল, জন্নত, বালিকা মেলা, বার্থ সিরিজ এবং রুইনড রেইনবো-এর মতো ব্যক্তিগত প্রদর্শনী করেছেন এবং সেইসঙ্গে এর থেকে কর্ম-পরিকল্পনা তৈরি করেছেন।[৭] এই কাজের বিষয়ে, তিনি বলেন, "মেলায় যে সব মেয়েরা আসে তাদের জানার তাগিদ থাকে। আমার ছবিতে যাদের দেখা গেছে তারাও নিজেদেরকে, যেমন আছে সেভাবেই, অথবা নিজেকে যেমন দেখে সেভাবে, বা ক্যামেরার জন্য নিজেকে করে নতুন উদ্ভাবন করতে চেয়েছে। তাদের প্রচেষ্টা অস্থায়ী বা সাহসী হতে পারে, তবে এই বইটিকে সেই ইচ্ছার ক্যাটালগ হিসাবে দেখা যেতে পারে।"[৮]
১৯৮৪ নোটবুক (২০০৫ - ২০১৪) হল সহযোগিতা এবং 'সক্রিয় শ্রবণ'-এর একটি উদাহরণ এইসঙ্গে এটি আলোকচিত্রকে স্মৃতি অনুশীলন হিসাবে ব্যবহার করারও উদাহরণ।[৯][১০]
২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে, সুনীল গুপ্তা এবং রাধিকা সিং-এর সাথে, তিনি ক্যামেরাওয়ার্ক দিল্লির সহ-প্রতিষ্ঠা ও সম্পাদনা করেন, এটি নতুন দিল্লি এবং অন্যান্য জায়গা থেকে প্রকাশিত স্বাধীন ফটোগ্রাফি সম্পর্কে একটি বিনামূল্যের সংবাদ-সংকলন (নিউজলেটার)।[১১]
২০১১ সালে তিনি কানাডার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সমসাময়িক ফটোগ্রাফি পুরস্কার গ্রাঞ্জ পুরস্কার জিতেছিলেন।[১২][১৩][১৪]
২০১২ সালে, তিনি ট্রান্সপোর্ট্রেইটস: উইমেন অ্যাণ্ড মোবিলিটি ইন দ্য সিটি নামে একটি বড় প্রদর্শনী তৈরি করেন যেটি রাস্তায় মহিলাদের নিরাপত্তা এবং তাদের অভিজ্ঞতার অন্বেষণ করে তৈরি।[১]
২০১৩ সাল থেকে, তিনি বিখ্যাত ওয়ার্লি শিল্পী রাজেশ বনগাদের সাথে ফিল্ডস অফ সাইট- এ সহযোগিতা করেছেন, এখানে তাঁরা আলোকচিত্রের সমসাময়িক ভাষার সাথে ওয়ার্লি আঁকার প্রাচীন ভাষাকে একত্রিত করে নতুন আখ্যান তৈরি করেছেন।[১৫]