গৌরী প্রধান | |
---|---|
জন্ম | গৌরী প্রধান ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৭ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
অন্যান্য নাম | গৌরী তেজওয়ানী গৌরী প্রধান |
পেশা | ব্যবসায়ী, মডেল, অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৯৮–বর্তমান |
আদি নিবাস | পুনে, ভারত |
দাম্পত্য সঙ্গী | হিতেন তেজওয়ানী (২০০৪–বর্তমান) |
সন্তান | ২ |
গৌরী প্রধান হলেন একজন প্রাক্তন মডেল এবং টেলিভিশন অভিনেত্রী। তিনি কুটুম্ব নামক ধারাবাহিকে গৌরী প্রথম মিত্তল, কিউকি সাস ভি কভি বহু থি ধারাবাহিকে নন্দিনী করণ বিরানী, মেরি আশিকি তুমসে হি ধারাবাহিকে ফাল্গুনি হর্ষদ পারেখ এবং তু আশিকি ধারাবাহিকে অনিতা শর্মা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অধিক পরিচিত।
গৌরী প্রধান ভারতের জম্মুর জম্মু ও কাশ্মীরে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁর বাবা মেজর সুভাষ বসুদেব প্রধান একজন অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা এবং তাঁর মা আশা একজন গৃহিণী। গৌরী তিন ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয়; তাঁর বড় ভাই ভরত, একজন পেট্রোকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, অন্যদিকে তাঁর ছোট বোন গীতাঞ্জলি, একজন এমডি। গৌরী তাঁর পরিবারের একমাত্র ব্যক্তি যিনি মডেলিং করেছেন এবং এটিকে তাঁর পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন।[১]
তাঁর বাবার চাকরি সূত্রে তিনি তাঁর শৈশবে সারা দেশে ভ্রমণ করেছেন। যার ফলস্বরূপ, তিনি বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন, তাদের মধ্যে একটি ছিল উধমপুরের কারমেল কনভেন্ট স্কুল। তাঁর বাবার অবসর গ্রহণের পর, তাঁর পরিবার পুনেতে (মহারাষ্ট্র) স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছিল, যেখানে তিনি বিএসসি (ইলেক্ট্রনিক্স) কোর্সের জন্য স্যার পরশুরামভাও কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন।[২] পরে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান থেকে মনোবিজ্ঞানের একটি কোর্সে ভর্তি হন।[৩]
হায়দরাবাদে সাবানের একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং করার সময় তাঁর ভবিষ্যত স্বামী হিতেন তেজওয়ানির সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল। পরবর্তীতে, তাঁরা টেলিভিশন ধারাবাহিক কুটুম্ব এর সেটে মিলিত হন এবং কাকতালীয়ভাবে উক্ত ধারাবাহিকে প্রধান জুটির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পর্দার রসায়ন তাঁদের সম্পর্কে এক নতুন মোড় আনে এবং অবশেষে তাঁরা ডেটিং শুরু করেন। আরেকটি টেলিভিশন ধারাবাহিক কিউকি সাস ভি কভি বহু থি-তে প্রেমিক করণ এবং প্রেমিকা নন্দিনী চরিত্রে অভিনয় করার সময়, তাঁরা বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।[৪]
দুই বছর সম্পর্কের পরে, তাঁরা ২০০৪ সালের ২৪শে এপ্রিল তারিখে পুনের সান-এন-স্যান্ড হোটেলে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্রীয় রীতিনীতি অনুসারে বিয়ে করেন, সেখানে প্রায় ৪০-৫০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। এর পরেই তাঁরা মধুচন্দ্রিমার জন্য থাইল্যান্ডের কো সামুইতে গিয়েছিলেন। ২০০৪ সালের ৯ই মে তারিখে, তাঁদের অভ্যর্থনার অনুষ্ঠানে জুহুর আর্মি ক্লাবে ৪০০ জনের বেশি অতিথি উপস্থিত হয়েছিলেন।[৫][৬]
২০০৯ সালের ১লা নভেম্বর তারিখে, মুম্বইয়ের বান্দ্রার লীলাবতী হাসপাতালে গৌরী যমজ সন্তান,- এক পুত্র এবং কন্যা সন্তানের মা হন।[৭]