ধরন | স্যুপ অথবা ভাপে সিদ্ধ-জাতীয় |
---|---|
উৎপত্তিস্থল | হাঙ্গেরি |
অন্যান্য তথ্য | Szoky Konyhaja |
গৌলাশ (হাঙ্গেরীয়: gulyás) হল একটি স্যুপ বা মাংস ও শাকসবজির সমন্বয়ে পাপরিকা এবং অন্যান্য মশলা দিয়ে তৈরি ভাপে সিদ্ধ করা হয় এমন খাবার।[১] [২] এটি হাঙ্গেরি থেকে উদ্ভূত। গৌলাশ একটি সাধারণ, খাবার যা প্রধানত মধ্য ইউরোপ এবং ক্ষুদ্র পরিসরে ইউরোপের অন্যান্য অংশে খাওয়া হয়। এটি হাঙ্গেরির জাতীয় খাবারের একটি এবং দেশের প্রতীক।[৩] [৪] [৫]
৯ম শতাব্দীতে হাঙ্গেরীয় মেষপালকদের খাওয়া স্ট্যু (ভাপে সিদ্ধ করা হয় এমন খাবার) থেকে এর উৎপত্তি হয়। [৬] সে সময় রান্না করা ও স্বাদযুক্ত মাংস রোদে শুকিয়ে ভেড়ার পেট থেকে উৎপাদিত ব্যাগে ভরে খাবারে পরিণত করতে শুধু পানির প্রয়োজন হত। সেই প্রয়োজন থেকে গৌলাশ অস্তিত্বে আসে। [৬] গৌলাশের আগের সংস্করণে পাপরিকা অন্তর্ভুক্ত ছিল না। কারণ এটি ১৬ শতকের আগে ইউরোপে চালু হয়নি।
গৌলাশ (gulyas) নামের উৎপত্তি হাঙ্গেরীয় শব্দ [ˈɡujaːʃ] ( থেকে। )gulya শব্দটি হাঙ্গেরীয় ভাষায় 'গবাদি পশুর পাল' অর্থে ব্যবহৃত হত এবং gulyás মানে 'পালক' বা 'কাউবয়'।[৭] [৮] gulyas শব্দটি দিয়ে পূর্বে শুধুমাত্র 'পালক' বোঝানো হত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে শব্দটি gulyáshús -এ পরিণত হয়ে থালা অর্থে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। তখন এর অর্থ করা হগ 'গৌলাশ মাংস' অর্থাৎ একটি মাংসের থালা, যা পশুপালকদের দ্বারা প্রস্তুত করা হয়ে।
মধ্যযুগ মধ্য ইউরোপের হাঙ্গেরীয় পশুপালকরা প্রাণীর প্রতিটি সম্ভাব্য অংশ ব্যবহার করতেন। যেহেতু তখন মাংসের অভাব ছিল তাই প্রায় সমস্ত প্রাণীই স্যুপসহ তৈরি করে খাওয়া হত। বর্তমানে gulyás পশুপালক এবং স্যুপ উভয়কেই বোঝায়। মধ্যযুগ থেকে ১৯ শতক পর্যন্তপুসতা ছিল বিশাল গবাদি পশুর পালের স্থান। মোরাভিয়া, ভিয়েনা, নুরেমবার্গ এবং ভেনিসে ইউরোপের সবচেয়ে বড় গবাদি পশুর বাজারে তাদের হাজার হাজারে পশু পাঠানো হত। পশুপালকরা পথে সবসময় কিছু গবাদি পশু জবাই করত এবং সে মাংস তাদের gulyáshús সরবরাহ করত। এভাবেই গৌলাশ উৎপাদিত হয়।[৯] [১০]