ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গ্যারি বারট্রাম ট্রুপ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | টাউমারুনুই, নিউজিল্যান্ড | ২ অক্টোবর ১৯৫২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৩৮) | ১৮ নভেম্বর ১৯৭৬ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২৬) | ১৬ অক্টোবর ১৯৭৬ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৩ এপ্রিল ১৯৮৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৪/৭৫ - ১৯৮৬/৮৭ | অকল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |
গ্যারি বারট্রাম ট্রুপ, ওএনজেডএম (ইংরেজি: Gary Troup; জন্ম: ৩ অক্টোবর, ১৯৫২) টাউমারুনুই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও স্থানীয় রাজনীতিবিদ। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৬ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন গ্যারি ট্রুপ।
১৯৭৪-৭৫ মৌসুম থেকে ১৯৮৬-৮৭ মৌসুম পর্যন্ত গ্যারি ট্রুপের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। লম্বাটে, শক্তিধর ও ধারাবাহিকতা রক্ষাকারী বামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার গ্যারি ট্রুপকে ১৯৭০-এর দশক থেকে শুরু করে ১৯৮০-এর দশকের সূচনাকাল অবধি নিউজিল্যান্ড দলে অনিয়মিতভাবে খেলতে দেখা যায়।
অকল্যান্ড দলের অসাধারণ ক্রিকেটার ছিলেন। এরফলে, তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলার জন্যে মনোনীত হয়েছিলেন। ২৬.০৬ গড়ে ২০০ উইকেট নিয়ে তার খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটান।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পনেরোটি টেস্ট ও বাইশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন গ্যারি ট্রুপ। ১৮ নভেম্বর, ১৯৭৬ তারিখে কানপুরে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৭৯-৮০ মৌসুমে ডুনেডিনের কারিসব্রুকে সফররত ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে নাটকীয় সমাপ্তিতে ভূমিকা রাখেন। সিংহহৃদয় ও নিখুঁত এ বোলারের স্বর্ণালী মুহূর্ত আসে নিজ দেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। দলের সংগ্রহ ৭৩/৮ থাকা অবস্থায় ল্যান্স কেয়ার্নসের সাথে জুটি গড়েন। চার রান বাকী থাকতে কেয়ার্নস বিদেয় নেন। এক উইকেটের নাটকীয় জয় পায়। নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১০০/৯ থাকা অবস্থায় স্টিফেন বুক তার সাথে জুটি গড়েন। এ পর্যায়ে ঐতিহাসিক জয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল মাত্র চার রান। নিচেরসারির এ দুই ব্যাটসম্যানের কৃতিত্বে প্রয়োজনীয় রান তুলে ব্ল্যাক ক্যাপসদেরকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট জয় পায়। এতে তারা স্মরণীয় অবদান রাখেন। এরফলে টেস্ট জয়ের পাশাপাশি ক্যারিবীয় দৈত্যদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের স্বাদও লাভ করে তার দল। লেগ বাইয়ের মাধ্যমে রান সংখ্যা সমান করে।
এ সফরটি অনেকাংশে বিতর্কময় ছিল। আম্পায়ারের সাথে বাদানুবাদসহ মাঠে সফরকারী দল অখেলোয়াড়ীসূলভ আচরণে অংশ নেয়। ক্রাইস্টচার্চ ও অকল্যান্ড টেস্ট ড্র হলে সিরিজটিতে ১-০ ব্যবধানে জিতে যায় নিউজিল্যান্ড দল। এ সিরিজে গ্যারি ট্রুপ তার সেরা খেলা প্রদর্শন করেন। ২০.৬১ গড়ে ৩৭১ রান খরচায় ১৮ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। তন্মধ্যে, ইডেন পার্কে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ৪/৭১ ও ৬/৯৫ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে খেলায় একমাত্র দশ উইকেটের সন্ধান পেয়েছিলেন। জ্যাক কাউয়ি ও রিচার্ড হ্যাডলি’র পর তৃতীয় নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ১০ উইকেট পান। তবে, তার সময়কালে দলে স্থান নিশ্চিত করা দূরূহ বিষয় ছিল। সর্বমোট ৩৯ উইকেট লাভে ৩৭.২৮ গড়ে রান দেন।
১৯৭৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলের অন্যতম খেলোয়াড় ছিলেন। ১৯৮৬ সালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন গ্যারি ট্রুপ।
পাপাটোটো কম্যুনিটি বোর্ডে বারো বছর কাজ করেছেন। তন্মধ্যে, ছয় বছর সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৭ সালের মানুকাউ সিটি কাউন্সিলের পাপাটোটো ওয়ার্ডে কাউন্সিল হিসেবে নির্বাচিত হন। এপ্রিল, ২০০৮ সালে সুয়া উইলিয়াম সিও’র পরিবর্তে উপ-মেয়র হন।[১] ২০১০ সালের অকল্যান্ড কাউন্সিল নির্বাচনে মানুকাউ ওয়ার্ডের নির্বাচনে অংশ নেন। ৯,১৩৬ ভোট পেয়ে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন তিনি।[২]
২০১৬ সালের রাণীর জন্মদিনের সম্মাননায় গ্যারি ট্রুপকে ক্রীড়া ও কম্যুনিটিতে মূল্যবান অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ অফিসার্স অব দ্য নিউজিল্যান্ড অর্ডার অব মেরিট উপাধিতে ভূষিত হন।[৩]