গ্যারি রাভকান | |
---|---|
![]() ২০১৪ সালে গ্যারি রাভকান | |
জন্ম | [১] বার্কলি, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র[২] | ২৬ মার্চ ১৯৫২
মাতৃশিক্ষায়তন | ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলি (বিএ) হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় (পিএইচডি) |
পুরস্কার | |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটাল |
অভিসন্দর্ভের শিরোনাম | The molecular genetic analysis of symbiotic nitrogen fixation (NIF) genes from rhizobium meliloti (1982) |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | Frederick Ausubel |
ওয়েবসাইট | ruvkun |
গ্যারি ব্রুস রাভকান (ইংরেজি: Gary Bruce Ruvkun, জন্ম ২৬শে মার্চ, ১৯৫২, বার্কলি, ক্যালিফোর্নিয়া)[২] একজন মার্কিন আণবিক জীববিজ্ঞানী যিনি ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটালে কর্মরত আছেন। এছাড়া তিনি বস্টনের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে বংশাণুবিজ্ঞান বিষয়ক অধ্যাপক।[৩] ভিক্টর অ্যামব্রোস লিন-৪ নামক যে প্রথম অণু-আরএনএ আবিষ্কার করেন, সেটি কোন কর্মপন্থায় লক্ষ্য বার্তাবাহক আরএনএ-গুলির সাথে ত্রুটিপূর্ণ ভিত্তি-জুড়নের মাধ্যমে সেগুলির অনুবাদন নিয়ন্ত্রণ করে, সেটি আবিষ্কার করেন। এছাড়া তিনি লেট*৭ নামক দ্বিতীয় অণু-আরএনএ-টি আবিষ্কার করেন এবং এটি যে প্রাণী জাতিজনিতে, এমনকি মানব জাতিজনিতেও সংরক্ষিত আছে, তা আবিষ্কার করেন। এই অণু-আরএনএগুলি আবিষ্কারের ফলে এক অভূতপূর্ব ক্ষুদ্র মাপনীতে আরএনএ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির এক নতুন বিশ্ব উন্মোচিত হয়। অধিকন্ত রাভকান বয়োবৃদ্ধি ও বিপাক নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন-সদৃশ সংকেত প্রেরণের বহু বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করেন।
রাভকান ২০১৯ সালে মার্কিন দার্শনিক সমাজের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ভিক্টর অ্যামব্রোসের সাথে যৌথভাবে ২০২৪ সালে শারীরবিদ্যা বা চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। অণু-আরএনএ আবিষ্কার ও প্রতিলিপিকরণ-পরবর্তী বংশাণু নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকার জন্য তাঁদেরকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।[৪]
রাভকান এক ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তিনি স্যামুয়েল এবং ডোরা (নি গুরেভিচ) রাভকানের পুত্র। [৫]
রাভকান ১৯৭৩ সালে বার্কলির ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণ-পদার্থবিজ্ঞানে মেজর সহ স্নাতক হয়েছিলেন। তিনি ১৯৮২ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বিষয়েই ডক্টর অফ ফিলোসফি (পিএইচডি) লাভ করেন।[৬] তিনি ফ্রেডেরিক অসুবেলের গবেষণাগারে তার ডক্টরাল গবেষণা পরিচালনা করেন, যেখানে তিনি ব্যাকটেরিয়ার নাইট্রোজেন সংবদ্ধকরণের জন্য দায়ী জিন অধ্যয়ন করেন। রাভকান তাঁর পোস্টডক্টরাল গবেষণা দুইজন বিশিষ্ট নোবেলবিজয়ী বিজ্ঞানীর তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করেছিলেন: ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT)-এর রবার্ট হরভিটস এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াল্টার গিলবার্ট।[৭]