গ্রহণী (ক্ষুদ্রান্ত্র) ডিওডেনাম | |
---|---|
![]() ৬নং অংশটি গ্রহণী (ডিওডেনাম), যা পাকস্থলীর (৩) শেষ প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে অগ্ন্যাশয়ের (৭) মস্তককে পেঁচিয়ে ঘিরে আছে | |
![]() ক্ষুদ্রান্ত্র | |
বিস্তারিত | |
পূর্বভ্রূণ | অগ্রান্ত্র (১ম ও ২য় অংশ), মধ্যান্ত্র (৩য় ও ৪র্থ অংশ) |
ধমনী | নিম্ন অগ্ন্যাশয়-গ্রহণী ধমনী, ঊর্ধ্ব অগ্ন্যাশয়-গ্রহণী ধমনী |
শিরা | অগ্ন্যাশয়-গ্রহণী শিরাসমূহ |
স্নায়ু | উদরগহ্বরীয় স্নায়ুগ্রন্থি , ভবঘুরে/ভেগাস স্নায়ু [১] |
শনাক্তকারী | |
মে-এসএইচ | D004386 |
টিএ৯৮ | A05.6.02.001 |
টিএ২ | 2944 |
এফএমএ | FMA:7206 |
শারীরস্থান পরিভাষা |
পরিপাক তন্ত্রের শারীরস্থানের আলোচনায় গ্রহণী(ইংরেজি: Duodenum) বলতে ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথম এবং ক্ষুদ্রতম অংশকে বোঝায়, যা ফাঁপা নলাকৃতির ও প্রায় ২৫-৩০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ। একে ইংরেজি পরিভাষায় ডিওডেনাম বা ডুওডেনাম বলে। গ্রহণী পাকস্থলীকে ঊর্ধ্বান্ত্রের (জেজুনামের) সাথে যুক্ত করে এবং এখানেই অধিকাংশ রাসায়নিক পরিপাক সম্পন্ন হয়। গ্রহণীর কাঠামো গ্রহণীকন্দ (ডুওডেনাল বাল্ব) দিয়ে শুরু হয় এবং ট্রেইট্সের সন্ধিবন্ধনীতে (ট্রেইটস লিগামেন্ট) গিয়ে শেষ হয়। গ্রহণীকে ঊর্ধ্ব, নিম্নগামী, নিম্ন ও ঊর্ধ্বগামী --- এই চারটি অংশে ভাগ করা যায়। অংশগুলি মিলে ইংরেজি "সি" অক্ষরের (C) মতো আকৃতির একটি নল গঠন করে, যে নলটি অগ্ন্যাশয়ের মস্তককে পেঁচিয়ে থাকে।
ইংরেজি "ডিওডেনাম" বা "ডুওডেনাম" নামটি লাতিন পদগুচ্ছ duodenum digitorum থেকে এসেছে, যার অর্থ "বারো আঙুলের সমান দীর্ঘ"।
ক্ষুদ্রান্ত্রে গ্রহণীই খাদ্যের রাসায়নিক ভাঙনের মূল কাজ করে। ব্রুনারের গ্রন্থিগুলি থেকে গ্রহণীতে শ্লেষ্মা (মিউকাস) নিঃসৃত হয়। গ্রহণীর প্রাচীর খুবই পাতলা এক স্তর কোষ নিয়ে গঠিত, যাদেরকে শ্লৈষ্মিক পেশী (muscularis mucosae) বলে। গ্রহণীর অম্লত্ব-ক্ষারত্ব সূচক বা পিএইচ (pH) প্রায় ৬।