প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৯৭ |
---|---|
প্রতিষ্ঠাতা | অ্যালেক্স কাউন্টস |
ধরন | 501(c)(3) |
আলোকপাত | দারিদ্র্য |
অবস্থান | |
এলাকাগত সেবা | এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকা |
পদ্ধতি | সামাজিক উদ্যোগ, মাইক্রোফাইন্যান্স, প্রযুক্তি |
মূল ব্যক্তিত্ব | জুবাইদা বাই – সভাপতি ও সিইও পিটার কাওহে – চেয়ার মুহাম্মদ ইউনূস – প্রতিষ্ঠাতা বোর্ড সদস্য |
ওয়েবসাইট | www |
গ্রামীণ ফাউন্ডেশন, যা গ্রামীণ ফাউন্ডেশন ইউএসএ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং "জিএফইউএসএ" নামেও পরিচিত, একটি বৈশ্বিক 501(c)(3) অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যার সদর দফতর ওয়াশিংটন ডি.সি.-তে অবস্থিত। এই প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং তথ্য ব্যবহার করে দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে এবং তাদের ও তাদের চারপাশের সংস্থাগুলোর জন্য এমন ক্ষমতায়নমূলক সরঞ্জাম প্রদান করে যা তাদের দৈনন্দিন বাস্তবতাকে উন্নত করে। এর সিইও হলেন জুবাইদা বাই। গ্রামীণ ফাউন্ডেশনের মিশন হলো, "দরিদ্র মানুষ, বিশেষ করে নারীদের, দারিদ্র্য ও ক্ষুধার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার জন্য ক্ষমতায়ন করা।"[১] ওইসিডি অনুযায়ী, ২০১৯ সালে গ্রামীণ ফাউন্ডেশনের উন্নয়ন সহায়তা ৩৩% বৃদ্ধি পেয়ে ইউএস $৪৫.৫ মিলিয়ন হয়েছে।[২]
এটি বিভিন্ন দেশে থাকা "গ্রামীণ ফাউন্ডেশন" নামক সংস্থাগুলোর থেকে আলাদা, যেমন গ্রামীণ ফাউন্ডেশন অস্ট্রেলিয়া।[৩]
লেখক এবং অলাভজনক সংস্থাসমূহের স্বাধীন পরামর্শক অ্যালেক্স কাউন্টস ১৯৯৭ সালে গ্রামীণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।[৪] তিনি মুহাম্মদ ইউনূস থেকে $৬,০০০ তহবিল নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন।[৫] তার মিশন ছিল গ্রামীণ ব্যাংকের মডেলে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম বাংলাদেশের বাইরে বিস্তৃত করা এবং বিশ্বব্যাপী দরিদ্র মানুষের কাছে মাইক্রোফাইন্যান্সের অ্যাক্সেস বাড়ানো।[৬] ১৮ বছর পর, ২০১৫ সালে তিনি তার সভাপতি এবং সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার স্থলাভিষিক্ত হন বৈশ্বিক প্রোগ্রামের প্রাক্তন নির্বাহী সহ-সভাপতি ডেভিড এডেলস্টাইন।[৫]
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ১২ বছর এর বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সে ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি একজন ইমেরিটাস পরিচালক।[৭] বোর্ডের আগের চেয়াররা ছিলেন পল মারিটজ, যিনি ভিএমওয়্যার এর প্রাক্তন সিইও এবং মাইক্রোসফটের প্রাক্তন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা,[৮] এবং রবার্ট আইচফেল্ড, একজন অবসরপ্রাপ্ত সিটিব্যাঙ্ক নির্বাহী।[৯] বোর্ডের বর্তমান চেয়ার হলেন পিটার কাওহে,[৫] যিনি ইউসি সান ডিয়েগোর ইন্টারিম এক্সিকিউটিভ ভাইস চ্যান্সেলর ফর অ্যাকাডেমিক অ্যাফেয়ার্স, কোয়ালকম এনডাওড চেয়ার ইন কমিউনিকেশনস অ্যান্ড টেকনোলজি পলিসি এবং স্কুল অফ গ্লোবাল পলিসি অ্যান্ড স্ট্রাটেজির ডিন।
গ্রামীণ ফাউন্ডেশন ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং তথ্য ব্যবহারের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের, বিশেষ করে নারী ও কিশোরীদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করে এবং তাদের জন্য এমন সরঞ্জাম সরবরাহ করে যা দারিদ্র্য ও ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের সম্পূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে সামনে আসতে সক্ষম করে।
স্থানীয় এবং বৈশ্বিক সহযোগীদের সাথে কাজ করে গ্রামীণ ফাউন্ডেশন মোবাইল ফোন ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনও তৈরি ও বিতরণ করে, যা দরিদ্র মানুষকে তাদের স্বাস্থ্য, ফসল এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা করতে সহায়তা করে। এর মধ্যে রয়েছে:
গ্রামীণ ফাউন্ডেশন ওপেন সোর্স কোর ব্যাংকিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে মিফোসএক্স ওয়েবসাইট চালু করার মাধ্যমে নতুন যাত্রা শুরু করে। মিফোস প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৬ সালে গ্রামীণ ফাউন্ডেশন দ্বারা চালু করা হয়।[১০]