ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গ্রাহাম জেভিয়ের ফোর্ড | ||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পিটারমারিৎজবার্গ, নাটাল, দক্ষিণ আফ্রিকা | ১৬ নভেম্বর ১৯৬০||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ স্পিন | ||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | কোচ | ||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||
১৯৮২-১৯৯০ | নাটাল বি | ||||||||||||||||||||||||||
২০০৪-২০০৯ | কেন্ট (ক্রিকেট পরিচালক) | ||||||||||||||||||||||||||
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট অভিষেক | ১২ নভেম্বর ১৯৮২ নাটাল বি বনাম ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স বি | ||||||||||||||||||||||||||
শেষপ্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট | ৬ জানুয়ারি ১৯৯০ নাটাল বি বনাম ইস্টার্ন প্রভিন্স বি | ||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ৩০ এপ্রিল ২০১৭ |
গ্রাহাম জেভিয়ের ফোর্ড (ইংরেজি: Graham Xavier Ford; জন্ম: ১৬ নভেম্বর, ১৯৬০) নাটাল প্রদেশে জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম-শ্রেণীর সাবেক ক্রিকেটার। বর্তমানে তিনি কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। জানুয়ারি, ২০১২ সাল থেকে জিওফ মার্শের পরিবর্তে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৩ তারিখ পর্যন্ত তিনি শ্রীলঙ্কা দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালনের পর[১] পুনরায় জানুয়ারি, ২০১৬ থেকে এ দায়িত্বে রয়েছেন।
ক্রিকেটে তিনি ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামতেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি ৭টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে নাটাল বি দলের মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন। তিনি অনেকগুলো ক্রীড়ায় পারদর্শীতা দেখান। প্রাদেশিক দলের সাবেক টেনিস চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি। পাশাপাশি নাটালের পক্ষ হয়ে ফুটবল খেলায়ও প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়াও রাগবি ইউনিয়নের রেফারি হিসেবেও যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
১৯৯২ সালে নাটাল ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব লাভ করেন। ঐ সময় তিনি ম্যালকম মার্শাল, ক্লাইভ রাইস, শন পোলক, জন্টি রোডস, ল্যান্স ক্লুজনারের ন্যায় ক্রিকেটারদেরকে পরিচালনা করেছেন। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে প্রাদেশিক দলের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ও একদিনের ট্রফি বিজয়ে নেতৃত্ব দেন।
১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তিনি বব উলমারের সহকারী হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে সেমি-ফাইনালে উত্তরণ ঘটান, যেখানে তারা অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায়। বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার পর তিনি বব উলমারের স্থলাভিষিক্ত হন ও ১১টি সিরিজের ৮টিতেই তার দল বিজয়ী হয়েছিল। কিন্তু, দেশে-বিদেশে উভয় জায়গায়ই অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাভূত হওয়ায় জুন, ২০০২ সালে কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি পান।[২]
২০০৫ সালে তিনি কেন্টের ক্রিকেট পরিচালক নিযুক্ত হন। ২০০৬ সালে ফোর্ড দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যান ও ডলফিন্সের কোচের দায়িত্ব নেন। কিন্তু একই বছর তিনি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেন।[৩]
৯ জুন, ২০০৭ তারিখে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্বের প্রস্তাবনা পেলেও পারিবারিক সিদ্ধান্তে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।[৪] জানুয়ারি, ২০১২ সাল থেকে শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালনকালীন তিনি সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সালে পুনরায় দুই বছরের চুক্তি নবায়ণ করতে অস্বীকার করেন। এরফলে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ তার পরিবর্তে পল ফারব্রেসকে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে ঘোষণা করে যা ১ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখ থেকে কার্যকরী হয়।[৫][৬]
সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা দলের প্রধান কোচ হিসেবে দুই বছরের চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধিতে অস্বীকার করেন।[৭] ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ তারিখে সারে ক্রিকেট ক্লাবের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিতে রাজী হন তিনি।[৮] তার কোচিং জীবনের সেরা আবিষ্কার কুমার সাঙ্গাকারা ২০১৫ সালে সারে দলে ছিলেন ও শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটকে তার প্রভাববিস্তার করে সেখানে নিয়ে যেতে সহায়তা করেন।[৯] পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে উপর্যুপরি টেস্ট সিরিজে পরাজয়ের পর সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সালে মারভান আতাপাত্তু পদত্যাগ করলে জানুয়ারি, ২০১৬ সালে ফোর্ড আরও একবার শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচ হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন।[১০]
Playing for Surrey is something that I really want to do as well. Graham Ford is there. I've worked with Fordie, and he's been brilliant for Sri Lankan cricket, and personally to me.
পূর্বসূরী: জিওফ মার্শ |
শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ ২০১২-২০১৩ |
উত্তরসূরী: পল ফারব্রেস |