গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়াম | |
![]() | |
![]() ২০১৭ সালে ম্যাচের আগে গ্রিনফিল্ড আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম | |
![]() | |
অবস্থান | তিরুবনন্তপুরম, কেরল, ভারত |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ৮°৩৪′১৭.৪″ উত্তর ৭৬°৫৩′০৩.৫″ পূর্ব / ৮.৫৭১৫০০° উত্তর ৭৬.৮৮৪৩০৬° পূর্ব |
মালিক | কেরালা বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচালক | কারিয়াবত্তম স্পোর্টস ফ্যাসিলিটিস লিঃ |
ধারণক্ষমতা | ৪৮,০০০ |
উপরিভাগ | ঘাস (মাঠ) |
নির্মাণ | |
কপর্দকহীন মাঠ | ২০১২ |
নির্মিত | ২০১৫ |
চালু | ২৬ জানুয়ারি ২০১৫ |
নির্মাণ ব্যয় | ₹ ৩৯০ কোটি (ইউএস$ ৪৭.৬৭ মিলিয়ন) |
স্থপতি | কলেজ ডিজাইন, মুম্বাই[১] |
মূল ঠিকাদার | আইএলএফএস লিমিটেড। |
ওয়েবসাইট | |
thesportshub | |
স্টেডিয়ামের তথ্যাবলি | |
আন্তর্জাতিক খেলার তথ্য | |
প্রথম পুরুষ ওডিআই | ১ নভেম্বর ২০১৮: ভারত ![]() ![]() |
সর্বশেষ পুরুষ ওডিআই | ১৫ জানুয়ারি ২০২৩: ভারত ![]() ![]() |
প্রথম পুরুষ টি২০আই | ৭ নভেম্বর ২০১৭: ভারত ![]() ![]() |
সর্বশেষ পুরুষ টি২০আই | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২: ভারত ![]() ![]() |
১৫ জানুয়ারি ২০২৩ অনুযায়ী উৎস: ক্রিকইনফো |
গ্রিনফিল্ড আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম (মালয়ালম: തിരുവനന്തപുരം അന്താരാഷ്ട്ര സ്റ്റേഡിയം) দ্য স্পোর্টস হাব নামেও পরিচিত এবং পূর্বে ত্রিভান্দ্রাম আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত, ভারতের কেরলের একটি বহুমুখী স্টেডিয়াম যা মূলত ফুটবল ও ক্রিকেটের জন্য। স্টেডিয়ামটি ভারতের কেরলের তিরুবনন্তপুরম শহরের কারিয়াভাত্তম এলাকায় অবস্থিত। স্টেডিয়ামটি বাৎসরিক ৯৪ লাখ টাকা ইজারায় ১৫ বছরের জন্য অধিগ্রহণকৃত কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬ একর জমির উপর নির্মিত।[২] এটাই হল ভারতের প্রথম ডিজাইন, নির্মাণ, পরিচালনা ও প্রত্যাবর্তন মডেলর আউটডোর স্টেডিয়াম। ২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার একটি টি২০আই আয়োজনের মধ্য দিয়ে গ্রিনফিল্ড আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটি ভারতের ৫০তম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। [৩] ২০১৮ এর ১ নভেম্বর ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার একটি একদিনের আন্তর্জাতিক খেলা আয়োজন করে, যা ছিল উক্ত মাঠের প্রথম ওডিআই।[৪]
মাঠটিকে এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে যাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং ফুটবল উভয় খেলাই খেলা যায়। মাঠের খেলার জায়গাগুলো তৈরী করা হয়েছে ফিফা ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)র আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম আইন ও নিয়ম মেনে। মাঠটিতে রয়েছে ৫০,০০০ আসন ধারণ ক্ষমতা।[৫]
স্টেডিয়ামটিকে বিন্যস্ত করা হয়েছে চারটি জোনে, যেখানে উত্তরদিকে জোনটি পুরোপুরিভাবে ক্রিকেটের জন্য বরাদ্ধ, পূর্ব জোনটি ফুটবলের জন্য এবং প্রতিটি জোনে রয়েছে প্লেয়ার লাউঞ্জ, জিমন্যাসিয়াম, মিডিয়া সেন্টার এবং স্টক রুম। শপিং মল এবং ফুড কোর্ট দক্ষিণের জোনে রাখা হয়েছে। সংযুক্ত প্যাভিলিয়ন প্রান্তে রয়েছে সর্বাধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস এবং অলিম্পিক সাইজ সুইমিং পুল।
ভারতের সর্বপ্রথম পরিবেশ বান্ধব স্টেডিয়াম, চারদিকে সবুজ গাছপালা বেষ্টিত এবং বৃষ্টির পানি সংগ্রহের সুবিধা সংবলিত।. রাজ্যের পরিবেশ প্রভাব মূল্যায়ন কর্তৃপক্ষ এবং দুষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড গৃহীত সবুজ উদ্যোগের জন্য নির্মাতাদের প্রশংসা করেছে।[৬] স্টেডিয়ামটি ত্রিভান্দ্রাম আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট থেকে ১৩.৩ কিলোমিটার এবং ত্রিভান্দ্রাম কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশন ও কেন্দ্রীয় বাস স্টেশন থেকে ১৪.৪ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত।
এটি ভারতের প্রথম স্টেডিয়াম ছিল যা ডিবিওটি (নকশা, নির্মাণ, পরিচালনা ও স্থানান্তর) ভিত্তিতে নির্মিত। এটি দেশের প্রথম স্টেডিয়াম যা বাৎসরিক ভিত্তিতে উন্নয়ন করা হবে।[৭] [৮] গ্রীনফিল্ড স্টেডিয়ামটি ১৫ বছর পর্যন্ত পরিচালনা করবে এর নির্মাতা কোম্পানী। এরপর এটিকে কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তর করা হবে, যারা এর জন্য ৩৬ একর জমি ইজারা নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি বছর ৯৪ লাখ টাকা ইজারা পাবে।
২৭ মে ২০১৬, কেরালা ক্রিকেট এসোসিয়েশন(কেসিএ) এবং কারিয়াভাত্তম স্পোর্টস ফ্যাসিলিটিস লিঃ (কেএসএফএল) এর মধ্যে ২০২৭ সালের ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত স্টেডিয়ামটি ইজারার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিপত্র মোতাবেক কেসিএ বছরে ১৮০ দিন (১ অক্টোবর থেকে ৩১ জানুয়ারী এবং ১ এপ্রিল থেকে ৩০ মে) স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করবে। এরপরেও কেসিএ অন্যান্য ক্রিকেট ম্যাচও আয়োজন করতে পারবে যদি স্টেডিয়ামটি ম্যাচের নির্ধারতি দিনে খালি পাওয়া যায়। স্টেডিয়ামের আভ্যন্তরীন খেলার জায়গার যাবতীয় মেরামত কাজের দায়ভার নেবে কেসিএ। একটি নির্ধারতি অঙ্কের ফি প্রদান করবে। আন্তর্জাতিক খেলা চলাকালের অর্জিত লভ্যাংশ কেসিএ ও কেএসএফএল ভাগাভাগি করে নেবে। ছয় সদস্যের একটি যৌথ কমিটি (কেসিএ থেকে ৩ জন এবং কেএসএফএল থেকে ৩ জন) ইজারা চলাকালে উক্ত স্টেডিয়ামের ব্যবস্থাপনা ওও দেখাশুনার দায়িত্বে থাকবে। উক্ত কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারী হবেন কেসিএ এর সদস্যরা।[৯]
২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর, ভারত একটি টি২০আই ম্যাচ খেলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই মাঠে। খেলাটি বৃষ্টির কারণে উভয় দলের জন্য ৮ ওভারে সীমিত করে আনা হয়, যেখানে ভারত ৬ রানে জয় লাভ করে।[১০]
ব
|
||
১ নভেম্বর ২০১৮, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ভারতের একটি ওডিআই ম্যাচ ও উক্ত মাঠের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক খেলা অনুষ্ঠিত হয়, স্বাগতিক দল ভারত ৯ উইকেটে জয় লাভ করে[১১]
ব
|
||
স্টেডিয়ামে আয়োজন করা প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতাটি ছিল ২০১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ। এই প্রতিযোগিতার সব কটি খেলাই এই মাঠে হয়েছে। ফাইনালে আফগানিস্তানকে ২-১ গোলে পরাজিত করে ভারত শিরোপা জিতে নেয়। ফাইনাল খেলায় ৪০,০০০ দর্শকের উপস্থিতি রেকর্ড তৈরী হয়। [১৩]
ভারত ![]() | ৩ - ২ | ![]() |
---|---|---|
সুনীল ছেত্ৰী ![]() জেজে লালপেখলুয়া ![]() |
Report | আহমেদ নাশিদ ![]() আমদান আলী ![]() |
ভারত ![]() | ২-১ (অ.স.প.) | ![]() |
---|---|---|
জেজে লালপেখলুয়া ![]() সুনীল ছেত্ৰী ![]() |
Report | যোবায়ের আমিরি ![]() |
স্পোর্টস হাব, ত্রিভান্দ্রাম ২০১৬ এর ১ জুন স্পেনের সান্তিয়াগু বারনাবু স্টেডিয়াম, মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত "স্টেডিয়াম বিজনেস" সভায় ডেভিড ভিকার পুরস্কার এর জন্য নতুন প্রতিষ্ঠিত মাঠ তালিকায় মনোনীত হয়ে পুরস্কার জিতে নেয়। [১৪]