গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে টেনিস | |
---|---|
নিয়ন্ত্রক সংস্থা | ITF |
বিভাগ | ৫ (পুরুষ: ২; নারী: ২; মিশ্রিত: ১) |
খেলা | |
| |
|
গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে টেনিস (ইংরেজি: Tennis at the Summer Olympics) প্রতি চার বৎসর অন্তর অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসের অন্যতম ক্রীড়া বিষয়রূপে চিহ্নিত। ১৮৯৬ সালের অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী আসরে এ খেলাটির অন্তর্ভুক্তি হয়। মহিলাদের টেনিস বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯০০ সালের অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো যুক্ত করা হয়। কিন্তু ১৯২৪ সালের অলিম্পিকে আন্তর্জাতিক লন টেনিস ফেডারেশন ও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির মধ্যকার শৌখিন খেলোয়াড়দের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের বিষয়ে মতানৈক্য ঘটায় পরবর্তী আসরগুলো থেকে টেনিস বাদ দেয়া হয়।[১][২] পরবর্তীতে ১৯৬৮ ও ১৯৮৪ সালের অলিম্পিকে প্রদর্শিত ক্রীড়া বিষয় হিসেবে ঠাঁই দেয়া হয়।[৩] এরপর ১৯৮৮ সালের অলিম্পিকে পূর্ণাঙ্গ পদকের ক্রীড়া হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে অদ্যাবধি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।[৪]
লন্ডনে অনুষ্ঠিত ২০১২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের টেনিসে বর্তমান চ্যাম্পিয়নধারী হিসেবে রয়েছেন - পুরুষ এককে অ্যান্ডি মারে, প্রমিলা এককে সেরেনা উইলিয়ামস; পুরুষ দ্বৈতে বব ব্রায়ান-মাইক ব্রায়ান, প্রমিলা দ্বৈতে সেরেনা উইলিয়ামস-ভেনাস উইলিয়ামস এবং মিশ্র দ্বৈতে ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা-ম্যাক্স মিরনি।
১৮৯৬, ১৯০০, ১৯০৪, ১৯৮৮ ও ১৯৯২ সালের আসরের টেনিস বিষয়ে সেমি-ফাইনালে পরাজিত খেলোয়াড়দেরকে ব্রোঞ্জপদক দেয়া হয়েছে। অন্যান্য আসরে ব্রোঞ্জপদকের জন্য ৩য় স্থান নির্ধারণী খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়েছে। ২০০৪ সালের এথেন্স অলিম্পিক থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে এটিপি এবং ডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ তাদের বিশ্ব র্যাঙ্কিং প্রথায় যুক্ত করেছে।
বিভিন্ন আসরে খেলার মাঠের প্রকৃতি ভিন্নতর হয়েছে। ১৯৮৪ থেকে প্রত্যেক আসরে (হার্ড কোর্টে) অনুষ্ঠিত হলেও ব্যতিক্রম ছিল ১৯৯২ (ক্লে কোর্ট) ও ২০১২ (গ্রাস কোর্ট) সালের আসরে। মাঠের পরিবর্তনের ফলে খেলোয়াড়েরা সুবিধা-অসুবিধার মুখোমুখি হন, যান অলিম্পিকের অন্য কোন ক্রীড়ায় দেখা যায় না।
টেমপ্লেট:Olympic Games Tennis টেমপ্লেট:National Members of the International Tennis Federation