গ্রীষ্মবিহীন বর্ষ | |
---|---|
![]() ১৮১৬ সালের গ্রীষ্মকালের সাথে ১৯৭১-২০০০ সালের গ্রীষ্মকালের তাপমাত্রার বৈসাদৃশ্যের তুলনা | |
আগ্নেয়গিরি | মাউন্ট টাম্বোরা |
তারিখ | ১০ এপ্রিল, ১৮১৫ |
ধরণ | আল্ট্রা প্লিনিয়ান |
স্থান | লেসার সুন্দা আইল্যান্ডস, ইন্দোনেশিয়া ৮°১৫′ দক্ষিণ ১১৮°০′ পূর্ব / ৮.২৫০° দক্ষিণ ১১৮.০০০° পূর্ব |
VEI | 7 |
প্রভাব | আগ্নেয় শীতকালের অগ্ন্যুৎপাতের কারণে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা ০.৪ থেকে ০.৭°সে. কমে যায় |
১৮১৬ খ্রিষ্টাব্দকে গ্রীষ্মবিহীন বর্ষ (ইংরেজি: Year Without a Summer; দরিদ্র বছর, দ্য সামার দ্যাট নেভার ওয়াজ, ইয়ার দেয়ার ওয়াজ নো সামার এবং এইটিন হান্ড্রেড অ্যান্ড ফ্রোজ টু ডেথ নামেও পরিচিত[১]) হিসেবে অভিহিত করা হয়, কারণ বেশকিছু জলবায়ুর অস্বাভাবিকতার কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা ০.৪ থেকে ০.৭°সে. (০.৭–১.৩ °ফা.) হ্রাস পায়।[২] এর ফলে উত্তর গোলার্ধে ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছিল।[৩]
তথ্যমতে, এ ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনার কারণ হিসেবে ছিল পূর্বস্থিত আগ্নেয় শীতকাল, যা ইন্দোনেশিয়ার ১৮১৫ সালে মাউন্ট তাম্বোরায় অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্টি হয়। এটি ছিল ৫৩৫-৫৩৬ সালে চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনাপুঞ্জির পরের ১,৩০০ বছরের মধ্যে সর্ববৃহৎ অগ্ন্যুৎপাত। পৃথিবী ইতোমধ্যেই চৌদ্দ শতকে শুরু হওয়া শতাব্দিদীর্ঘ বৈশ্বিক হিমায়নের মুখোমুখি হয়েছে। বর্তমানে ক্ষুদ্র বরফ যুগ হিসেবে পরিচিত এ ঘটনাটি ইতোমধ্যে ইউরোপের কৃষিখাতে অনেক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ক্ষুদ্র বরফ যুগের বর্তমান থাকা হিমায়ন প্রক্রিয়াটি তাম্বোরার উদগীরণের ফলে পরবর্তী শতাব্দিগুলোতে আরো বেগবান হয়েছে।[৪]