ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গ্রিগরি চার্লস ডায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পরমাত্মা, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | ১৬ মার্চ ১৯৫৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৩৯) | ১২ ডিসেম্বর ১৯৮৬ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৯৪) | ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৬ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৩-১৯৮৯ | নিউ সাউথ ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৩ এপ্রিল ২০১৭ |
গ্রিগরি চার্লস ডায়ার (ইংরেজি: Greg Dyer; জন্ম: ১৬ মার্চ, ১৯৫৯) নিউ সাউথ ওয়েলসের পরমাত্মা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ সময়কালে অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে ছয় টেস্ট ও ২৩ ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৮৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ছিলেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন গ্রেগ ডায়ার।[১] দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন।
নিউ সাউথ ওয়েলসের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ ও এনএসডব্লিউ কোল্টসের পক্ষে খেলেছেন।[২] তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসের নিয়মিত উইকেট-রক্ষক স্টিভ রিক্সনের বিকল্প হিসেবে অংশ নিতেন। রিক্সন আহত হলে কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিলে তিনি দলের উইকেট-রক্ষণের দায়িত্বে থাকতেন। তন্মধ্যে, ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে এনএসডব্লিউ’র শেফিল্ড শিল্ড বিজয়ী দলের পক্ষে অনেকগুলো খেলায় অংশ নেন।[৩] রিক্সন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গেলে গ্রেগ ডায়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রথম পছন্দের উইকেট-রক্ষক মনোনীত হন। ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে দলের শেফিল্ড শিল্ড জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
১৯৮৫-৮৬ মৌসুমের গ্রীষ্মে ওয়েন ফিলিপস উইকেট-রক্ষক হিসেবে রাজত্ব কায়েম করেন। কিন্তু তার ক্রীড়াশৈলী ক্রমশঃ নিম্নমূখী হতে থাকলে তিনি দল থেকে বাদ পরেন ও টিম জোরারকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। তবে ডায়ারকেও অনানুষ্ঠানিকভাবে এ তালিকায় রাখা হয়। ১৯৮৬ সালে বিকল্প উইকেট-রক্ষক হিসেবে ভারত সফর করেন।[৪]
১৯৮৬ সালে ভারত সফরে তাকে সংরক্ষিত উইকেট-রক্ষক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ সফরে ডায়ার চমকপ্রদ ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপন করলেও জোরারকে তিন টেস্টে প্রথম পছন্দের উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলানো হয়।[৫] কয়েকটি একদিনের খেলায় অংশ নেন। তন্মধ্যে, স্টিভ ওয়াহ’র সাথে ৭৬ বলে ১০২ রানের জুটি গড়েছিলেন।[৬] ৭ম উইকেট জুটিতে স্টিভ ওয়াহ’র সাথে একদিনের আন্তর্জাতিকে রেকর্ডসংখ্যক জুটি গড়েন তিনি। প্রস্তুতিমূলক খেলায় দিল্লির বিপক্ষে একটি শতরান করেছিলেন।[৭]
টিম জোরারের স্থলাভিষিক্ত হয়ে মাত্র কয়েকটি টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ পান। ১৯৮৬-৯৭ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অভিষেক ঘটে ডায়ারের। আঘাতপ্রাপ্ত জোরারের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি।[৮] ঐ টেস্টে ডায়ার তার ভেঙ্গে ফেলেন। তাস্বত্ত্বেও খেলা চালিয়ে যান।[৯]
জোরারের মাঠে আক্রমণাত্মক আচরণের কারণে গণমাধ্যমে বিতর্কের সৃষ্টি করে। এরফলে ডায়ারের অবস্থানের আরও উন্নতি ঘটে।[১০] ১৯৮৭ সালে শারজা সফরের পর ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পূর্বে জোরারকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়। ডায়ার তার স্থলাভিষিক্ত হন।[১১] ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমের গ্রীষ্মকালে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম পছন্দের উইকেট-রক্ষক ছিলেন ডায়ার।
১৯৮৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।[১২] বিশ্বকাপের পর ডায়ারকে ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমের জন্য এনএসডব্লিউ’র অধিনায়কের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।[১৩] কিন্তু, মার্চ, ১৯৮৮ সালে ইয়ান হিলি’র আবির্ভাবে তার খেলোয়াড়ী জীবন বেশ দ্রুত শেষ হয়ে যায়।[১৪]
মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলস তৃতীয় স্থান দখল করে। মার্চ, ১৯৮৮ সালের শীতকালে পাকিস্তান সফরে অস্ট্রেলিয়া দল থেকে ডায়ারকে বাদ দেয়া হয়। ইয়ান হিলিকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
১৯৮৮-৮৯ মৌসুমেও এনএসডব্লিউ’র অধিনায়কের দায়িত্বে রাখা হয় তাকে।[১৫] তবে, মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে ফিল এমরিকে তার স্থলাভিষিক্ত হবার পাশাপাশি জিওফ লসনকে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল।[১৬][১৭]
১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলেন তিনি। ঐ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টে বিতর্কময় ভূমিকাও তার অবসরের জন্য দায়ী। ক্রেগ ম্যাকডারমটের বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডীয় ব্যাটসম্যান অ্যান্ড্রু জোন্সের কট নেয়ার বিষয়ে দাবী করলে আউট দেয়া হয়। পরবর্তীতে টেলিভিশন ধারণকৃত দৃশ্যে দেখা যায় যে, মাটি স্পর্শ করে ডায়ারের কটে পরিণত হয়েছিলেন জোন্স।[১৮][১৯] আরও দুই খেলার পর দল থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়। এর অল্প কয়েকদিন পর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।[২০] ২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোনীত হন গ্রেগ ডায়ার।[২১][২২][২৩]
এ প্রসঙ্গে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ম্যানেজার এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন যে, ‘ডায়ারকে তার বাদ-বাকী জীবন এ অনুতাপে ভুগতে হবে। কোন উপায় নেই যে আমি আম্পায়ারদের কাছে এ দাবী তুলতে পারি।’[২৪] অ্যালান বর্ডার এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন যে, ‘ক্যাচ নেবার বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ ছিল না। কিন্তু টিভি পর্যালোচনার পর আমি বেশ আশাহত হয়েছি। গ্রেগও বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিল।’[২৫]