ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জন গ্রিগরি থমাস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ট্রিবানোস, গ্ল্যামারগন, ওয়েলস | ১২ আগস্ট ১৯৬০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫১৫) | ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৭ আগস্ট ১৯৮৬ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৮৬) | ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৫ মে ১৯৮৭ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৯ – ১৯৮৮ | গ্ল্যামারগন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৩/৮৪ – ১৯৮৬/৮৭ | বর্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৪/৮৫ - ১৯৮৬/৮৭ | ইম্পালাস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৭/৮৮ - ১৯৮৮/৮৯ | ইস্টার্ন প্রভিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৯ - ১৯৯১ | নর্দাম্পটনশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৭ নভেম্বর ২০১৮ |
জন গ্রিগরি থমাস (ইংরেজি: Greg Thomas; জন্ম: ১২ আগস্ট, ১৯৬০) ওয়েলসের গ্ল্যামারগনের ট্রিবানোস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়কালের জন্যে ইংল্যান্ড দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্ল্যামারগন, নর্দাম্পটনশায়ার এবং দক্ষিণ আফ্রিকান ঘরোয়া ক্রিকেটে বর্ডার, ইম্পালাস, ইস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিং করেছেন গ্রেগ থমাস।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটি টেস্ট ও তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ তারিখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে গ্রেগ থমাসের।
বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান ভিভ রিচার্ডস উত্যক্তকারী বোলারদেরকে সমুচিত জবাবের জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন। ফলে প্রতিপক্ষের অনেক অধিনায়কই এ ধরনের বাক্য প্রয়োগের ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের সাবধান করে দিতেন। কাউন্টি খেলায় প্রতিপক্ষ গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে খেলাকালীন থমাস ক্রমাগত উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। তিনি রিচার্ডসকে বলেন, এটি লাল, গোলাকৃতি ও ওজনে পাঁচ আউন্স। রিচার্ডস এর পরের বলেই কাছাকাছি নদীতে বলটি ফেলেন। বোলারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, গ্রেগ আপনি জানেন এটি দেখতে কেমন, এখন যান ও খুঁজে বের করেন।[২]
বব উইলিসের অবসরগ্রহণের পর গ্রেগ থমাসকে ইংরেজ ক্রিকেট অঙ্গনে প্রকৃত ফাস্ট বোলার হিসেবে চিহ্নিত করা হতো। তবে, এবড়োথেবড়ো পেসের পাশাপাশি অস্থিরতায় ভোগাসহ প্রায়শঃই আঘাতজনিত সমস্যা তার নিত্যসঙ্গী ছিল।
নিজের সেরা দিনগুলোয় ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে ভীতিপ্রদ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেসারদের সাথে গতির পাল্লায় লড়তেন। কিন্তু, ছন্দহীন বোলিংয়ের কারণে অনেকগুলো রান দিয়ে ফেলেন। এ কঠিন সফরের পর ইংল্যান্ডে আরও একটি টেস্ট খেলেন তিনি। কিন্তু, আঘাতের সমস্যা ও ব্যর্থতার পর নর্দাম্পটনশায়ারে দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন তিনি।
১৯৮৯-৯০ মৌসুমে বিদ্রোহী দলের সদস্যরূপে তৎকালীন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে নিষিদ্ধঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। এরপর আর তাকে ইংল্যান্ড দলের পক্ষে খেলতে দেখা যায়নি।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। দুইবার বিবাহ-বিচ্ছেদে পরিণত হয় তার সাংসারিক জীবন। হার্মিওন নাম্নী এক কন্যা ও উইল নামীয় এক সন্তান রয়েছে তার। বর্তমানে তিনি নর্দাম্পটনশায়ারে একাকী বসবাস করছেন।