![]() ১৮৬১ সালের সংস্করণের প্রথম পাতা | |
লেখক | চার্লস ডিকেন্স |
---|---|
প্রকাশনার স্থান | যুক্তরাজ্য |
ভাষা | ইংরেজি |
ধারাবাহিক | ১ ডিসেম্বর ১৮৬০ থেকে ৩ আগস্ট ১৮৬১ পর্যন্ত (সাপ্তাহিক) |
ধরন | সামাজিক সমালোচনা |
প্রকাশক | চ্যাপম্যান এন্ড হল |
প্রকাশনার তারিখ | ১৮৬১ (তিন খণ্ডে) |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রিত |
গ্রেট এক্সপেকটেশানস (ইংরেজি: Great Expectations) বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্সের লেখা উপন্যাস। এটি তার তেরতম উপন্যাস। ডেভিড কপারফিল্ড উপন্যাসের পর এটি দ্বিতীয় উপন্যাস যেখানে ডিকেন্স উত্তম পুরুষে উপন্যাস বর্ণনা করেছেন এবং এটি একটি বিল্ডাংসরোমান (Bildungsroman)। এই উপন্যাসটি ভিক্টোরিয়ান সাহিত্য যুগের একটি ক্লাসিক উপন্যাস। উপন্যাসটি প্রথম ১ ডিসেম্বর ১৮৬০ সালে সাপ্তাহিকভাবে পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া শুরু করে যা ১৮৬১ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত চলে। [১]
উপন্যাসটি ভিক্টোরিয়ান সাহিত্য যুগের একটি ক্লাসিক উপন্যাস। অসহায় অবস্থা থেকে মধ্যবিত্ত স্তরে উঠার, কিংবা ভদ্রলোক হয়ে ভদ্রসমাজে মেশার যে আকুলতা, বিচিত্র সব মানুষের আনাগােনায় পূর্ণ এ কাহিনী নিয়ে এ উপন্যাসের পটভূমি।
মা-বাবা হারা অনাথ বালক পিপ। একটি মাত্র বোন ছাড়া তার আর কেউ নেই। বোনের পরিবারেই সে আশ্রিত। বোনটি আবার খুব মুখরা স্বভাবের। পিপের উপর তার নির্যাতন ছিল একটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। পিপের ভগ্নিপতি কিন্তু খুবই ভালো মানুষ। পিপের প্রতি তার ছিল যথেষ্ট সমবেদনা। একদিন সন্ধ্যেবেলায় মা-বাবার কবরের কাছে জেল-পালানো এক কয়েদির সাথে পিপের দেখা হয়। বোনের বাড়ি থেকে সে কয়েদির জন্য খাবার চুরি করে আনে। তার বোন তাকে খুব নির্যাতন করে। পিপ বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। গ্রামের এক চিরকুমারী, কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার বাড়িতে পিপের ঠাঁই হয়। সেখানে এস্টেলা নামক এক বালিকার সাথে তার পরিচয় থেকে প্রেম হয়। মেয়েটি ছিল ভারী অহংকারী। এস্টেলা পিতৃ পরিচয় জানত না। এক পালিতা মায়ের কাছে সে বড় হয়েছে। মা যেভাবে চেয়েছে, সে সেভাবে গড়ে উঠেছে। তার নিজস্বতা বলে কিছু নেই। এস্টেলার মা এস্টেলার মাধ্যমে যুবকদের নজর কাড়ত। এস্টেলার প্রেমের ফাঁদে ফেলে যুবকদের কষ্ট দেয়াই তার মায়ের ইচ্ছে। পিপকেও সেই উদ্দেশ্যেই আশ্রয় দিয়েছে মহিলা। যাহোক, এস্টেলা পরবর্তীতে পিপের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এর মাঝে পিপের সামনে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যায়। হঠাৎ করেই সে অনেক টাকাকড়ির মালিক বনে যায়। অপিরিচিত কেউ একজন তাকে বিপুল সম্পত্তি দান করে। পিপ চলে আসে শহরে। সেখানে সে পরিচিত হয় সমাজের নানা স্তরের মানুষের সাথে। কিন্তু এস্টেলার সাথে ভালােবাসার টানাপোড়েন দেখা দেয়। এস্টেলার অন্য এক ছেলের সাথে বিয়ে হয়ে যায়। পিপ তখন ধনাঢ্য হওয়ার স্বপ্নে বিভোর। এরই মধ্যে সে জানতে পারে তাকে সম্পত্তি দেয়া ব্যক্তি আর কেউ নয় - জেল-পালোনো কয়েদি যে কিনা আবার এস্টেলার বাবা। এস্টেলার বাবা জানত না এস্টেলা বেঁচে আছে কিনা। বিচারের নামে প্রহসনে জেলখানায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর অন্তিম মূহুর্তে পিপ শুধু তাকে বলতে পেরেছিল, “আপনার মেয়ে বেঁচে আছে, আমি তাকে ভালোবাসি।”
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |