গ্লিনিস জন্স | |
---|---|
Glynis Johns | |
![]() ১৯৫২ সালে জন্স | |
জন্ম | |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
পেশা | অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, পিয়ানোবাদক, গায়িকা |
কর্মজীবন | ১৯৩৫-১৯৯৯ |
দাম্পত্য সঙ্গী | অ্যান্থনি ফরউড (বি. ১৯৪২; বিচ্ছেদ. ১৯৪৮) ডেভিড ফস্টার (বি. ১৯৫২) সেসিল হেন্ডারসন (বি. ১৯৬০; বিচ্ছেদ. ১৯৬২) এলিয়ট আর্নল্ড (বি. ১৯৬৪) |
সন্তান | গ্যারেথ ফরউড |
পিতা-মাতা |
|
গ্লিনিস জন্স (ইংরেজি: Glynis Johns; জন্ম: ৫ অক্টোবর ১৯২৩) হলেন একজন সাবেক ব্রিটিশ অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, পিয়ানোবাদক ও গায়িকা। তিনি তার ভারী কণ্ঠ ও স্বভাবগত ব্যক্তিত্বের জন্য পরিচিত।[১] অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একটি টনি পুরস্কার অর্জন করেন এবং একটি করে একাডেমি পুরস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
জন্স তার পিতামাতা এক সফরে থাকাকালীন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রডওয়ে মঞ্চে আ লিটল নাইট মিউজিক নাটকে ডিজাইরি আর্মফেল্ট ও ওয়াল্ট ডিজনির সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র ম্যারি পপিন্স-এ উইনিফ্রেড ব্যাংকস চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিতি অর্জন করেন। প্রথম কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে টনি পুরস্কার অর্জন করেন। পরবর্তীকালে তিনি দ্য সানডাউনার্স (১৯৬০) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন এবং দ্য চ্যাপম্যান রিপোর্ট (১৯৬২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সেরা নাট্য চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[২]
জন্স ১৯২৩ সালের ৫ই অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তার মাতা অ্যালিস মড স্টিল (জন্ম: অয়ারহ্যাম, ১৯০১-১৯৭০) ছিলেন একজন পিয়ানোবাদক এবং পিতা মারভিন জন্স (১৮৯৯-১৯৯২) ছিলেন মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা।[৪] তার জন্মের সময় তার পিতামাতা প্রিটোরিয়ায় এক সফরে গিয়েছিলেন। তার পূর্বপুরুষগণ পশ্চিম ওয়েলসের বাসিন্দা ছিলেন।
তিনি অ্যানাদার টাইম, অ্যানাদার প্লেস (১৯৫৮) চলচ্চিত্রে কাজ করতে ব্রিটেন ফিরে আসেন এবং শেক হ্যান্ডস উইথ দ্য ডেভিল (১৯৫৯)-এ অভিনয় করেন। পরের বছর তিনি দ্য স্পাইডার্স ওয়েব ও দ্য সানডাউনার্স চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। শেষোক্ত চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি দ্য চ্যাপম্যান রিপোর্ট (১৯৬২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সেরা নাট্য চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
জন্স ওয়াল্ট ডিজনি প্রযোজিত রবার্ট স্টিভেনসনের সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র ম্যারি পপিন্স (১৯৬৪)-এ উইনিফ্রেড ব্যাংকস চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। পরের বছর তিনি ডিয়ার ব্রিজিট (১৯৬৫) চলচ্চিত্র জেমস স্টুয়ার্টের চরিত্রের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেন। ১৯৬৬ সালে তাকে গ্যারিক থিয়েটারে দ্য কিংস মেয়ার মঞ্চনাটকে দেখা যায়।
তিনি ব্রডওয়ে মঞ্চে আ লিটল নাইট মিউজিক নাটকে ডিজাইরি আর্মফেল্ট চরিত্রে কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ মুখ্য অভিনেত্রী বিভাগে টনি পুরস্কার অর্জন করেন।