গ্লেদিজ ওলেবিলে মাজিরে | |
---|---|
বতসোয়ানার দ্বিতীয় ফার্স্ট লেডি | |
কাজের মেয়াদ ১৩ জুলাই ১৯৮০ – ৩১ জুলাই ১৯৯৮ | |
রাষ্ট্রপতি | কেত মাজিরে |
পূর্বসূরী | রুথ উইলিয়ামস খামা |
উত্তরসূরী | বারবারা মোগায়ে |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মোদিমেলা, মাফিকেং, দক্ষিণ আফ্রিকা | ৩০ জুলাই ১৯৩১
মৃত্যু | ১৭ মে ২০১৪ পার্কটাউন,দক্ষিণ আফ্রিকা | (বয়স ৮২)
দাম্পত্য সঙ্গী | কেত মাজিরে |
সন্তান | ৬ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | টাইগার ক্লফ |
জীবিকা | শিক্ষক |
গ্লেদিজ মোলেফি ওলেবিলে মাজিরে (১৯৩১-২০০৪) ছিলেন বতসোয়ানার একজন শিক্ষক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দেশটিতে ফার্স্ট লেডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
গ্লেদিজ মোলেফি ওলেবিল ১৯৩১ সাল্ব দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের মাফিকেং এত মোদিমোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ফেঙ্কওয়ানে মোগয়েরা ও মাবু মোগয়েরার সন্তান ছিলেন। মায়ের দিক থেকে তিনি রাজকীয় তাওয়ানা-এ-শিদি মিনা থোলো রাজকীয় পরিবারের বংশধর ছিলেন। টাইগারক্লুফ থেকে স্নাতক হবার পর তিনি তার মায়ের মত শিক্ষকতা পেশা বেছে নেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মাফিকেং এবং বতসোয়ানার কানয়েতে বহু বছর শিক্ষকতা করেন।[১]
আশির দশকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হোরেইস ডসনের স্ত্রী লুলা হোরেইস তাকে দেশটির প্রথম দাতব্য সংস্থা স্থাপনে সাহায্য করেছিলেন।[২] দাতব্য সংস্থাটির নাম ছিল 'চাইল্ড-টু-চাইল্ড ফাউন্ডেশন' এবং তিনি ১৯৯৬ সালে সংস্থাটির অনারেরি প্রেসিডেন্ট ছিলেন।[৩]
১৯৯০ সালে ওলেবিলে মাজিরে ম্যান্ডেলা ন্যাশনাল রিসিপশন কমিটির সদস্য ছিলেন। কমিটিটি রোবেন দ্বীপে থেকে মুক্তি পাওয়া নেলসন ম্যান্ডেলার বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবরন সফর নিয়ে কাজ করেছিল।[৪]
তিনি কেত মাজিরের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন, যিনি পরবর্তীকালে বতসোয়ানার রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। কেত-ওলেবিলে দম্পতির ছয়টি সন্তান ছিল।[৫]
তিনি ১৯৮৯ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বতসোয়ানার স্পেশাল অলিম্পিকসের প্যাট্রন ছিলেন।[৬] তার সম্মানে লেডি ওলেবিলে মাজিরে পুরস্কার প্রদান করে বতসোয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়। পুরস্কারটি পায় বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রকৌশল ফ্যাকাল্টির শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী।[৭]
২০১৬ সালে তিনি প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার অব অনার অ্যাওয়ার্ড (মরণোত্তর) লাভ করেছিলেন।[৮]
২০১৪ সালের ১৭ মে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার পার্কটাউনের মিলপার্ক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ২৫ মে বতসোয়ানার কানয়েতে তাকে সমাহিত করা হয়।[১]