গ্লেন পি. রবিনসন

গ্ল্যান পার্মিলি রবিনসন জেআর.
জন্ম(১৯২৩-০৯-১০)১০ সেপ্টেম্বর ১৯২৩[][]
ক্রিসেন্ট সিটি, ফ্লোরিডা
মৃত্যু১৬ জানুয়ারি ২০১৩(2013-01-16) (বয়স ৮৯)
আটলান্টা, জর্জিয়া
জাতীয়তাআমেরিকান
নাগরিকত্বযুক্তরাষ্ট্র
মাতৃশিক্ষায়তনজর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (১৯৪৮, ১৯৫০)
পরিচিতির কারণসহ-প্রতিষ্ঠাতা, সায়েন্টেফিক আটলান্টা
পুরস্কারজর্জিয়াস স্মল বিজনেসম্যান অব দ্যা ইয়ার (১৯৬৫), দ্যা জর্জিয়া বিজনেস এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনস এন্ট্রিপ্রিনিয়ার অব দ্যা ইয়ার (১৯৮১), জর্জিয়া টেকনোলজি হল ফেম (১৯৯৩), আইইই ফেলো
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রপদার্থ
প্রতিষ্ঠানসমূহজর্জিয়া টেক রিসার্চ ইনস্টিটিউট, সায়েন্টেফিক আটলান্টা, এয়ারএক্সেল, লেজারক্র্যাফট, এবং সিটু বায়োফুয়েলস

গ্ল্যান পার্মিলি রবিনসন (১০ই সেপ্টেম্বর, ১৯২৩– জানুয়ারি ১৬, ২০১৩)কে “জর্জিয়ার হাই-টেক ইন্ডাষ্ট্রির জনক”[] বলা হয় । তিনি ছিলেন একজন আমেরিকান ব্যবসায়ী এবং সায়েন্টিফিক আটলান্টার প্রতিষ্ঠাতা, যেটি এখন সিসকো সিস্টেমস-এর অন্তর্ভুক্ত ।[][] ২০ বছর ধরে রবিনসন এই কোম্পানির সিইও হিসেবে কর্মরত ছিলেন । ১৯৭৯ সালে সায়েন্টিফিক আটলান্টা থেকে অবসর নেয়ার আগ পর্যন্ত তিনি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন আরো অতিরিক্ত ৮ বছর ।

সায়েন্টেফিক আটলান্টার প্রতিষ্ঠার আগে, প্রথমে হ্যাম রেডিও-এর এনথাসিয়াস এবং পরবর্তীতে জর্জিয়া অব ইনস্টিটিউট টেকনোলজি থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে ব্যাচেলর'স এবং মাষ্টার্স ডিগ্রী অর্জন করার পর জর্জিয়া টেক রিসার্চ ইনস্টিটিউটওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরী -তে কাজ করেন । পরবর্তী জীবনে তিনি আটলান্টাতে বিজ্ঞান সম্পর্কিত বহু কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও বিনিয়োগকারী ছিলেন । রবিনসন আইইইই ফেলোসিপ অর্জন করেন এবং সৌরশক্তি চালিত যন্ত্র ও অ্যান্টেনা সিস্টেমসহ বিভিন্নখাতে তার কমপক্ষে ৩৯টি প্যাটেন্ট বা গবেষণাপত্র রয়েছে ।[][]

তার অবদানসমূহের জন্য তিনি ১৯৬৫ সালে জর্জিয়ার 'স্মল বিজনেসম্যান অব দ্যা ইয়ার', ১৯৮১ সালে 'দ্যা জর্জিয়া বিজনেস এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনস এন্ট্রিপ্রিনিয়ার অব দ্যা ইয়ার' এবং ১৯৯৩ সালে 'দ্যা জর্জিয়া টেকনোলজি হল অব ফেম' -এ নির্বাচিত হন ।[] ২০০৩ সালে জর্জিয়া টেক তাকে পদার্থে সম্মানসূচক পিএইচডি ডিগ্রীতে ভূষিত করে এবং ২০০৭ সালে জর্জিয়া টেকস মলিকুলার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের অর্ধাংশ তার সম্মানার্থে 'দ্যা গ্ল্যান পি. রবিনসন, জে.আর টাওয়ার' নামে নামকরণ করে ।

প্রথম জীবন ও শিক্ষা

[সম্পাদনা]

১৯২৩ সালে ফ্লোরিডার ক্রিসেন্ট সিটি-র অন্তর্গত জ্যাকসনভিলে'র সীমান্তবর্তী অঞ্চলের গ্লেন পার্মিলি ও লরা ম (লুইস) রবিনসন নামের এক দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন রবিনসন ।[][] ১৯৩৭ সালে তার পরিবার জর্জিয়ার ভাল্ডোস্টাতে স্থানান্তরিত হয় এবং এর কিছুদিন পরে রবিনসন একটি ছোট মেশিনশপ খুলেন । [] স্থানীয় ইন্ডাষ্ট্রির জন্য তিনি তখন ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পণ্য এবং ধাতব যন্ত্রপাতি বিক্রি করতেন । ১৯৪২ সালে তার বাবার উৎসাহে রবিনসন জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করতে ভর্তি হলেন । কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নেভাল সিগন্যাল কর্পোরশনে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করায় রবিনসনের পড়ালেখা বাধাগ্রস্থ হয় এবং তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এ প্যাসিফিক থিয়েটারের অন্তর্গত কাজ করেন, যেখানে তাকে যুদ্ধসময়ে আমেরিকান দখলভূক্ত জায়গায় টেলিফোন স্থাপনের মাধ্যমে পুনর্ধারণ করতে হয়েছিলো । [][]

কমবয়সী হওয়ার কারণে রবিনসন যুদ্ধ থেকে ফিরে আসেন এবং ১৯৪৮ সালে 'স্কুল অব ফিজিক্স' নামে জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে নতুন একটি ডিগ্রী চালু হওয়ায় ঐ বছরেই তিনি প্রধাণ পাঠ্য বিষয় হিসেবে পদার্থ বিজ্ঞানে পরিবর্তন করলেন ।[] একই প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি ১৯৪৮ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে ব্যাচেলর অব সায়েন্স এবং একই বিষয়ে ১৯৫০ সালে মাষ্টার্স অব সায়েন্স শেষ করলেন ।[][][১০] তিনি জর্জিয়া টেকস প্রেস্টিজিয়াস সিক্রেট সোসাইটি, অ্যানাক-এর সদস্য ছিলেন ।[১১][১২] মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সেই তিনি হ্যাম রেডিওর অপারেটর এনথাসিয়াস্ট হিসেবে কাজ করেছিলেন এবং জর্জিয়া টেকে ছাত্রাবস্থায় থাকাকালীন পড়াশুনার পাশাপাশি অতিরিক্ত কিছু টাকা উপার্জনের জন্য তিনি রেডিও মেরামতের কাজ করেন । []

রবিনসনের এক প্রফেসর জেমস ই. বয়ড তাকে রেডিও মেরামত ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে জর্জিয়া টেক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (তৎকালীন ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপারিমেন্ট স্টেশন অথবা ইইএস নামে পরিচিত ছিলো) এ রিসার্চ অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করতে জোর পরামর্শ দেন ।[] হ্যাম রেডিওর তার এক বন্ধু ছিলেন তার বসেরও বস এবং তিনি ইইএস পরিচালক গ্যারেল্ড রোজেলট । [] ইইএস -এ ঘণ্টাখানেক ধরে কাজ করার পর রবিনসন ল্যাবে একটি টেলিভিশন সেট তৈরি করে ফেললেন, তিনি এবং অন্যরা দাবি করেছিলেন যে, জর্জিয়া রাষ্ট্রে এটাই প্রথম তৈরিকৃত টেলিভিশন সেট । [][][১৩] তিনি ১৯৫০ সালে টেনিসির ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরীতে যান নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং উপরে কাজ করতে এবং সেটা ছিলো স্থানীয় হাসপাতালের রেডিও বিজ্ঞান সম্পর্কিত যন্ত্রপাতির সেবা দেয়ার লক্ষ্যে ।[][১৪][১৫]

সায়েন্টিফিক আটলান্টা

[সম্পাদনা]

রবিনসন এবং জর্জিয়া টেক রিসার্চারের অন্যান্য ছয়জনের (রবিনসনের সাবেক প্রফেসর জেমস ই. বয়ড এবং ইইএস পরিচালক গ্যারাল্ড রোজেলটসহ) প্রত্যেকেই $১০০ (তখনকার মোট $৭০০, যা ২০১৩ সালের হিসেব অনুযায়ী প্রায় $১৭,০০০ সমমূল্যের ) করে অবদান রাখেন এবং ১৯৫১ সালের ৩১ শে অক্টোবরে সায়েন্টিফিক অ্যাসোসিয়েটস প্রতিষ্ঠা করেন এবং শুরুর দিকে ইইএসের অ্যান্টেনা স্ট্রাকচারকে রাডার ব্রাঞ্চে উন্নীতকরণের মাধ্যমে ব্যবসাই মূল লক্ষ্য ছিলো ।[][১৬][১৭] প্রথম বছরে রবিনসন অপরিশোধ্য জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন ।[১৪] ইইএসের পরিচালক গ্যারাল্ড রোজেলট এবং জর্জিয়া টেক ভাইস প্রেসিডেন্ট চেরি ইমারসনের মধ্যে স্টেশন অর্থসমূহের অসম্পর্কিত তর্কের জন্য সায়েন্টিফিক আটলান্টা এবং ইইএস -এর মধ্যে সম্পর্ক শুরুর দিকে ছিলো অস্বাভাবিক, যেটি কিনা সায়েন্টিফিক আটলান্টার ফাউন্ডেশনের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত । যখন জর্জিয়া টেক রিসার্চ কর্পোরেশন এবং রোজেলট মনে করলেন যে, অতিরিক্ত গবেষণার জন্য তাদের উচিত বাড়তি ফান্ড রেখে দেয়া উচিত, তখন বিশেষ করে ইমারসন বললেন যে, গবেষণা চুক্তির শেষে অতিরিক্ত ফান্ড জর্জিয়া টেক-কে ফেরত দেয়া উচিত ।[][১৮]


মুনাফা সম্পর্কিত দ্বন্দ্বমূলক একটি ব্যবসায়িক আইন পাস করা হয় এবং গবেষকদেরকে একরকম বাধ্য করা হয় ঐ দুটোর মধ্যে যেকোন একটি বেছে নিতে । প্রথম দিককার বিনিয়োগদাতারা তাদের সকল জব স্থগিত করে রেখেছিলো এবং পরবর্তীতে বেশিরভাগই তাদের কাছে ফিরে গিয়েছিলো ।[১৮] প্রথম ধাক্বায় কোম্পানি চুক্তিবদ্ধ অবস্থায় প্রায় $৪,০০০ (২০১৩ সালের হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৯১,০০০) ডলার লোকসানের শিকার হয় । রবিনসন সব কিনে নেন এবং তাদের মধ্যে প্রকৃত বিনিয়োগদাতাদের প্রত্যেককে তাদের $১০০ করে পরিশোধ করে দেন । [১৬] পরবর্তীতে রবিনসন ইইএস থেকে অব্যহতি দেন এবং নতুন একটা কোম্পানির সিইও এবং প্রেসিডেন্ট হন, পরবর্তীতে যেটির নাম হয় সায়েন্টিফিক আটলান্টা ।[] বয়ড 'বোর্ড অব ডিরেক্টরস' এর একজন সদস্য হিসেবেই ছিলেন । রবিনসনের বন্ধু ল্যারি ক্লেটন যিনি কিনা পূর্বে রবিনসনের রেডিও ব্যবসায় নিয়োজিত ছিলেন এবং সায়েন্টিফিক আটলান্টার শুরুর সময়ে জর্জিয়া টেক থেকে পদার্থে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রী অর্জন করেন । ডিগ্রী অর্জন করার পর তিনি এই নতুন কোম্পানির গবেষণা ও উন্নয়নের প্রধাণ হন ।[] বছর খানেক পর, সায়েন্টিফিক আটলান্টা জর্জিয়া টেকের একটি স্কুলে উন্নীত এবং দীর্ঘমেয়াদী অর্থদাতা হিসেবে মনোনীত হয় ।[১৮]

সায়েন্টিফিক আটলান্টা মার্কারী, জিমিনি এবং অ্যাপোলো প্রজেক্টের সময় নভোচারীদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ভূ-স্টেশন প্রতিষ্ঠা করে নাসা কে সাহায্য করেছিলো । [] যখন জন গ্লেন ১৯৬২ সালে মার্কারী-আটলাস ৬ এ করে পৃথিবী প্রদক্ষিণকারী প্রথম আমেরিকান হন, তখন তার কণ্ঠস্বর যে রেডিও অ্যান্টেনা ও যন্ত্রপাতির মাধ্যমে প্রেরণ ও গ্রহণ করা হয় তার সবই সায়েন্টিফিক আটলান্টার ডিজাইন ও তৈরিকৃত ।[১৪] ১৯৭০ সালে রবিনসন কৃত্রিম উপগ্রহ যোগাযোগ ও ক্যাবল টেলিভিশনের উচ্চতর সমন্বয় ঘটান । টার্নারের 'সুপার স্টেশন' এর ভিত্তিতে সায়েন্টিফিক আটলান্টার তৈরিকৃত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ সিস্টেম কিনে নেন টেড টামার , যেটির মাধ্যমে দেশের অন্যান্য ক্যাবল প্রোভাইডারদের সম্প্রচারকার্য সম্পন্ন করা গিয়েছিলো ।[] ১৯৭৫ সালে থ্রিল্লা ইন ম্যানিলা' (Thrilla in Manila) নামে মোহাম্মদ আলী এবং জো ফ্রেজিয়ার -এর মধ্যকার বক্সিং চ্যাম্পিয়নশীপ ইভেন্টটি এইচবিও এবং টেলি প্রম্পটার সরাসরি সম্প্রচার করতে সায়েন্টিফিক আটলান্টার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেছিলো ।[] সম্ভবত যুগান্তকারী টেলিভিশন ক্যাবল স্থাপন বক্স, যন্ত্রপাতি এবং কৃত্রিম উপগ্রহ ভূ-স্টেশন উন্নয়নের জন্য সমগ্র বিশ্বজুড়ে সায়েন্টিফিক আটলান্টা পরিচিতি পায় ।

রবিনসন ২০ বছর ধরে সায়েন্টিফিক আটলান্টার সিইও হিসেবে কর্মরত থাকেন এবং ১৯৭৯ সালে সায়েন্টিফিক আটলান্টা থেকে অবসর নেয়ার আগ পর্যন্ত তিনি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত ৮ বছর ।[][১০][১৩][১৯] সায়েন্টিফিক আটলান্টা অস্বাভাবিকভাবে উন্নতি করতে শুরু করে; এটি ১৯৬২ সালেই $৩.১ মিলিয়ন (২০১৩ সালের হিসেব অনুযায়ী $৫১ মিলিয়ন) ,[১৩][১৬] ১৯৭৯ সালে যখন রবিনসন অবসর গ্রহণ করেন তখন $২০০ মিলিয়ন (২০১৩ সালের হিসেব অনুযায়ী $৯০৫ মিলিয়ন) এবং ২০০৫ সালে $১.৯ বিলিয়ন (২০১৩ সালের হিসেব অনুযায়ী $২ বিলিয়ন) আয় করে । প্রায় শ খানেক কোম্পানির আঞ্চলিক বিজনেস ইনকিউবেটর হিসেবেও সায়েন্টিফিক আটলান্টা কাজ করে । []

পরবর্তী কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

১৯৭৮ সালে রবিনসন ই-টেক প্রতিষ্ঠা করেন যেটি 'হিট পাম্প' প্রযুক্তির উন্নয়নের কাজ করে ।[২০] আট বছর পর অর্থ্যাৎ ১৯৮৬ সালে ই-টেক মার্ভায়ার কোম্পানির সাথে মিলে ক্রিসপেয়ার কোম্পানিতে পরিণত হয়, যেটি বিশেষত টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেমকে শীতলীকরণ যন্ত্র নিয়ে কাজ করে ।[১৩][২১] ক্রিসপেয়ার পরবর্তীকালে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে মিলিত হয় এবং যেটি আজকে এয়ারএক্সেল নামে পরিচিত । [][১০] ১৯৯৭ সালে রবিনসন ক্রিসপেয়ার থেকে অবসর গ্রহণ করেন । [১৩]

১৯৯৪ সালে রবিনসন 'লেজারক্রাফট' নামক কোম্পানিতে ফান্ড জমা দেন এবং সাহায্য করতে শুরু করেন, যে কোম্পানিটি মূলত 'রাডার গান' এর ন্যায় লিডার (LIDAR) অ্যাপ্লিকেশনস এবং ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট ক্যামেরাকেই বেশি প্রাধাণ্য দেয় এবং এটি ২০০৬ সালে সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ লেজার পণ্য উৎপাদনকারী হিসেবে স্বীকৃত পায় ।[][২২][২৩] ২০০৬ সালে লেজারক্র্যাফট জন নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি তৈরি করে, যেটি ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্টার্লিং স্কয়ার ক্যাপিটাল পার্টনার এবং ডায়মন্ড ক্যাসল হোল্ডিংস এর মাধ্যমে মোড় ঘুরিয়ে দেয় । [২৪][২৫][২৬]

বিশেষ করে ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বায়োটকনোলজিতে রবিনসন ছিলেন একজন অসম্ভব আবিষ্কারক । ১৯৯৯ সালে তিনি ওমিনিমেট্রিক্স ও মিসন কমিউনিকেশনস প্রতিষ্ঠা করেন এবং এদুটো কোম্পানিরই মূল লক্ষ্য ছিলো এএমপিএস (AMPS) সেলুলার ডিজিটাল কন্ট্রোল চ্যানেল এবং তারবিহীন এসসিএডিএ (SCADA) যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সেবা ।[২৭] ২০১২ সালে ওমিনিমেট্রিক্স অ্যাকম এনার্জি উৎপাদনে সক্ষম হয় । বর্তমানে মিশন উত্তর আমেরিকায় পানি ও নষ্ট পানির জন্য তারযুক্ত এসসিএডিএ (SCADA) সার্ভিসে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে । ২০০০ সালে রবিনসন $১.৫ মিলিয়ন (২০১৩ সালের হিসেব অনুযায়ী $২ মিলিয়ন) বিনিয়োগ করেন জিনোমিক সল্যুউশন্স (Genomic Solutions Inc) তে, যেটি ২০০৭ সালে ডিজিল্যাব(DigiLab) লাভ করে ।[২৮] সর্বশেষ রবিনসন ২০০৭ সালের জন্য সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও বিনিয়োগদাতা হিসেবে ছিলেন ভেঞ্চারল্যাব স্টার্টআপ(VentureLab Startup), সিটু বায়োফুয়েলস(C2 Biofuels) এর, যেগুলো অতিরিক্ত বিনিয়োগের জন্য শ্যাভরনকে আকৃষ্ট করেছিলো এবং এই কোম্পানিগুলোর মূল লক্ষ্যই ছিলো যুক্তরাষ্ট্রে $১০০ মিলিয়ন সেলুলোজিক ইথানল প্ল্যান্ট গঠন করা । [][২৯][৩০][৩১]

সম্মাননা

[সম্পাদনা]

জর্জিয়া সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি কমিশনের চেয়ারম্যান, জর্জিয়া টেক রিসার্চ কর্পােরেশনের চেয়ারম্যান, জর্জিয়া টেক ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি, এমরি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড পরিদর্শকের সদস্য, আটলান্টা চেম্বার অব কমার্সে, জর্জিয়া বিজনেস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন বোর্ডের বিভিন্ন পদে পদাসীন ছিলেন ।[][৩২]

রবিনসন ১৯৬৫ সালে জর্জিয়ার 'স্মল বিজনেসম্যান অব দ্যা ইয়ার', ১৯৮১ সালে 'দ্যা জর্জিয়া বিজনেস এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনস এন্ট্রিপ্রিনিয়ার অব দ্যা ইয়ার' এবং ১৯৯৩ সালে 'দ্যা জর্জিয়া টেকনোলজি হল অব ফেম' -এ নির্বাচিত হন ।[][][][১৫] ১৯৯৫ সাল ধরে, সায়েন্টিফিক আটলান্টা রবিনসনের নামে এই কোম্পানির কর্মচারীর শিশুদের জন্য স্কলারশীপের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে ।[] ১৯৯৮ সালের মার্চে তিনি দুটি বৃত্তিমূলক নন-লিনিয়ার সায়েন্সে (পদার্থ স্কুলে) ক্ষেত্রে পি. রবিনসন চেয়ার এবং ইলেক্ট্রো-অপটিক্স (জিটিআরআই) ক্ষেত্রে $১.৫ মিলিয়ন গ্লেন পি. রবিনসন চেয়ার তৈরির জন্য অনুদান করেন ।[][৩৩][৩৪][৩৫]

২০০৩ সালে জর্জিয়া টেক তাকে পদার্থে সম্মানসূচক পিএইচডি ডিগ্রীতে ভূষিত করে[][১৩] এবং ২০০৬ সালে তাকে Joseph Mayo Pettit Alumni Distinguished Service Award -এ ভূষিত করা হয় ।[১০][৩৬] ২০০৭ সালে জর্জিয়া টেকস মলিকুলার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন তৈরিতে $৫ মিলিয়ন অর্থ অনুদান করায় তার সম্মানার্থে ভবনের অর্ধাংশ তার নামানুসারে 'দ্যা গ্লেন পি. রবিনসন, জে.আর টাওয়ার' নামে নামকরণ করা হয় । [৩৭][৩৮][৩৯]

পরবর্তী কর্মজীবনে রবিনসন স্টার্টআপস এবং প্রযুক্তি ব্যবসার সাথে কাজ চালিয়ে যান ।[৪০] জীবনের শেষ দিকে তিনি তার স্ত্রী জ্যান মাসগ্রোভ রবিনসন, পাঁচ সন্তান, ১২ নাতি-নাতনী এবং তার সন্তানের ঘরের ৩ নাতি-নাতনী নিয়ে আটলান্টায় বসবাস করেন ।[১০][৪০] ২০১৩ সালের জানুয়ারি ১৬ তারিখ, বুধবার রবিনসন হৃৎক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান । আটলান্টার অ্যানিস এপিস্কোপাল চার্চে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং তাকে দাফন করেন এইচ.এম প্যাটার্সন এবং পুত্র আর্লিংটন চ্যাপেল ।[৪০]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Past to present: a century of honors: the first hundred years of award winners, honorary members, past presidents, and fellows of the InstituteInstitute of Electrical and Electronics Engineers। ১৯৮৪। পৃষ্ঠা 363। আইএসবিএন 0-87942-177-0 
  2. Who's who in commerce and industry14। [Marquis Who's Who। ১৯৬৫। পৃষ্ঠা 1110। 
  3. "Remarks by Georgia Tech President G. Wayne Clough: Molecular Science and Engineering Building Dedication" (পিডিএফ)। Georgia Institute of Technology। ২০০৭-০৪-১৯। ২০১৪-১২-৩০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২০ 
  4. "Scientific-Atlanta Celebrates First Founders Day; Establishes Glen P. Robinson, Jr. Scholarship In Honor of Company's First President" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। Scientific Atlanta via PR Newswire, archived by HighBeam Research। ১৯৯৫-১১-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "Glen P. Robinson Jr."। Georgia Tech Research Institute। ২০১২-০৩-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-১৯ 
  6. "Founders"। C2 Biofuels। ২০০৯-০২-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-১৯ 
  7. "Lidar Research at EOSL"। Georgia Tech Research Institute। ২০০৯-০২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২০ 
  8. Goettling, George (Winter ১৯৯৪)। "Technotes"Georgia Tech Alumni Magazine। Georgia Tech Alumni Association। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২১ 
  9. "Gerald A. Rosselot" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। Georgia Institute of Technology। ২০০৬-০৯-১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২১ 
  10. "2006 Award Recipients" (ইংরেজি ভাষায়)। Georgia Tech Alumni Association। ২০০৭-১০-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-১৯ 
  11. "ANAK Graduates: 1940–1949" (ইংরেজি ভাষায়)। ANAK Society। ২০১১-০৫-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২০ 
  12. "Glen Robinson"Georgia Tech Living History (ইংরেজি ভাষায়)। Georgia Tech Library। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-২০ 
  13. "Two Hundredth And Fifteenth Commencement Exercise" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। Institute of Technology। ২০০৩-০৫-০৩। ২০২৩-০৪-১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২০ 
  14. Combes, Richard (১৯৯৬-০১-২১)। "Radar Research Spawns a New Firm: The Case of Scientific Atlanta" (পিডিএফ)Academic (ইংরেজি ভাষায়)। Stanford University। পৃষ্ঠা 1–2, 16। ২০১২-১০-২৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৪-২০ 
  15. Meek, Gary (Summer ২০০৬)। "Four entrepreneurial alumni receive Distinguished Service Award"Tech Topics (ইংরেজি ভাষায়)। Georgia Tech Alumni Association। পৃষ্ঠা 9–10। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২০ 
  16. "U.S. Business: One Way to Do It"Time (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯৬৩-০৪-২৬। ২০১১-০২-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২০ 
  17. "Researchers form Scientific-Atlanta" (ইংরেজি ভাষায়)। Georgia Tech Research Institute। ২০১১-০৮-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-২৯ 
  18. McMath, Robert C.; Ronald H. Bayor; James E. Brittain; Lawrence Foster; August W. Giebelhaus; Germaine M. Reed (১৯৮৫)। Engineering the New South: Georgia Tech 1885–1985 (ইংরেজি ভাষায়)। University of Georgia Press। পৃষ্ঠা 262–263। আইএসবিএন 0-8203-0784-X 
  19. Coffee, Hoyt (Fall ১৯৯৫)। "High Tech: A new age dawns in the New South"Georgia Tech Alumni Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। Georgia Tech Alumni Association। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২০ 
  20. Dunn, John (Summer ১৯৯০)। "Dream Makers: Saving Energy and Money"Georgia Tech Alumni Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। Georgia Tech Alumni Association। ২০১১-০৮-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৮-০৪ 
  21. Robinson, Glen P (Summer ১৯৯১)। "The Darkness at the End of the Tunnel"Georgia Tech Alumni Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। Georgia Tech Alumni Association। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৮-০৪ 
  22. Mahoney, Ryan (২০০৬-০৯-২৯)। "Cash machines"Atlanta Business Chronicle (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৮-০৪ 
  23. "Smile! You're on LaserCraft Camera!"Gwinnett Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। মার্চ ২০০৫। ২০১০-১২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২০ 
  24. "Public Safety Equipment Acquires LaserCraft" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি) (ইংরেজি ভাষায়)। Public Safety Equipment via PoliceOne.com। ২০০৬-০৯-২১। ২০১২-০৯-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২০ 
  25. "Stirling Square Capital Partners and Affiliates of Diamond Castle Holdings, LLC Acquire Public Safety Equipment" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি) (ইংরেজি ভাষায়)। Diamond Castle Holdings। ২০০৭-০২-২০। ২০০৯-০৪-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-২৮ 
  26. "Eye in the Sky: Designing the Next Generation of LIDAR-Based Ozone-Monitoring Technology" (ইংরেজি ভাষায়)। Georgia Tech Research Institute। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২০ 
  27. "Partnership Agreement Funding MISSION Signed" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি) (ইংরেজি ভাষায়)। MISSION Communications। Winter ১৯৯৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৪-২০ 
  28. Bryant, Julie (২০০১-০৬-১৮)। "'Biochip'-maker scores funding"Atlanta Business Chronicle (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৮-০৪ 
  29. Vogel, Abby (Summer ২০০৭)। "Companies and Georgia Research Alliance Support Biofuel Research at Georgia Tech"Research Horizons (ইংরেজি ভাষায়)। Georgia Institute of Technology। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২০ 
  30. "Alternative Fuel Technology Company Locates in Georgia" (ইংরেজি ভাষায়)। Georgia Centers of Innovation। ২০০৬-০৭-১০। ২০১০-০১-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২০ 
  31. "Tifton lab helps company plan Georgia ethanol plant"Tifton Gazette (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৬-০৫-১২। ২০১২-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২০ 
  32. "Board of Trustees" (ইংরেজি ভাষায়)। Georgia Tech Foundation। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-০৭ 
  33. "Administration and Faculty: Chairs and Professorships"Georgia Tech Fact Book (ইংরেজি ভাষায়)। Georgia Institute of Technology। ২০১১-০৭-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৬-০৩ 
  34. "Minutes of the Meeting of the Board of Regents of the University System of Georgia" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। Board of Regents of the University System of Georgia। ১৯৯৮-০৩-১১। পৃষ্ঠা 21। ২০১১-০৬-১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২০ 
  35. "GTRI Builds on Industry Relationships" (ইংরেজি ভাষায়)। Georgia Tech Research Institute। ২০১১-০৮-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৮-০৪ 
  36. "The J.M. Pettit Distinguished Service Award" (ইংরেজি ভাষায়)। ANAK Society। ২০১১-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০৯ 
  37. Treadaway, Dan (২০০৫-০৮-২২)। "Robinson's lead commitment propels M Building project" (পিডিএফ)The Whistle (ইংরেজি ভাষায়)। Georgia Institute of Technology। ২০১৬-০৩-০৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২০ 
  38. "Actions List" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। Georgia Board of Regents। ২০০৭-০৪-১৮। ২০১১-০৬-১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২০ 
  39. "M Building dedication marks advancement of research agenda" (পিডিএফ)The Whistle (ইংরেজি ভাষায়)। Georgia Institute of Technology। ২০০৭-০৪-২৩। ২০২৩-০৪-১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২০ 
  40. Shaw, Michelle E (২০১৩-০১-২০)। "Glen P. Robinson Jr., 89, Former Scientific-Atlanta chief"The Atlanta Journal-Constitution (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-২১