গ্লোরিয়া গ্রাহাম | |
---|---|
Gloria Grahame | |
জন্ম | গ্লোরিয়া গ্রাহাম হলওয়ার্ড ২৮ নভেম্বর ১৯২৩ |
মৃত্যু | অক্টোবর ৫, ১৯৮১ নিউ ইয়র্ক সিটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৫৭)
সমাধি | ওকউড মেমোরিয়াল পার্ক সেমেটারি |
শিক্ষা | হলিউড হাই স্কুল |
পেশা | অভিনেত্রী, গায়িকা |
কর্মজীবন | ১৯৪৪-১৯৮১ |
দাম্পত্য সঙ্গী | স্ট্যানলি ক্লেমেন্টস (বি. ১৯৪৫; বিচ্ছেদ. ১৯৪৮) নিকোলাস রে (বি. ১৯৪৮; বিচ্ছেদ. ১৯৫২) সাই হাওয়ার্ড (বি. ১৯৫৪; বিচ্ছেদ. ১৯৫৭) অ্যান্টনি রে (বি. ১৯৬০; বিচ্ছেদ. ১৯৭৪) |
সন্তান | ৪ |
গ্লোরিয়া গ্রাহাম হলওয়ার্ড (২৮ নভেম্বর ১৯২৩ - ৫ অক্টোবর ১৯৮১) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী ও গায়িকা। তিনি মঞ্চে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৪৪ সালে মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের হয়ে প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করেন।
ইট্স আ ওয়ান্ডারফুল লাইফ (১৯৪৬) চলচ্চিত্রে উল্লেখযোগ্য চরিত্রে কাজ করার পরও এমজিএম মনে করে তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই এবং আরকেও স্টুডিওজের কাছে তার চুক্তি বিক্রি করে দেয়। প্রায়ই নোয়া চলচ্চিত্রে কাজ করা গ্রাহাম ক্রসফায়ার (১৯৪৭) ও দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য বিউটিফুল (১৯৫২) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং দ্বিতীয় চলচ্চিত্রটির জন্য একটি অস্কার অর্জন করেন। তিনি সাডেন ফিয়ার (১৯৫২), দ্য বিগ হিট (১৯৫৩), হিউম্যান ডিজায়ার (১৯৫৪), ও ওকলাহোমা! (১৯৫৫) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সর্বোচ্চ সফলতা অর্জন করেন, কিন্তু এর পরপরই তার চলচ্চিত্র কর্মজীবনের ব্যপ্তি ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে।
গ্রাহাম ১৯২৩ সালের ২৮শে নভেম্বর ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পিতা রেজিনাল্ড মাইকেল ব্লোক্সাম হলওয়ার্ড (মাইকেল হলওয়ার্ড নামে পরিচিত; ১৮৮৯-১৯৮২) ছিলেন একজন স্থপতি ও লেখক। তার মাতা জিন ম্যাকডুগাল (মঞ্চনাম জিন গ্রাহাম; ১৮৯০-১৯৮৪) ছিলেন ব্রিটিশ মঞ্চ অভিনেত্রী ও অভিনয়ের শিক্ষক।[২] তার পিতা ইংরেজ ও মাতা স্কটিশ ছিলেন। গ্রাহামের বড় বোন জয় হলওয়ার্ড (১৯১১-২০০৩) একজন অভিনেত্রী ছিলেন, যিনি জন মিচামকে (অভিনেতা রবার্ট মিচামের ছোট ভাই) বিয়ে করেছিলেন। গ্রাহাম মেথডিস্ট ধর্মাবলম্বী হিসেবে বেড়ে ওঠেন।[৩] শৈশব ও কৌশোরে তার মাতা তাকে অভিনয়ের শিক্ষা দিতেন। গ্রাহাম হলিউড হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং অভিনয় পেশাকে বেছে নিতে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।[১]
গ্রাহামের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ১৯৪৪ সালে ব্লন্ডি ফিভার দিয়ে। তিনি ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রার ধ্রুপদী ইট্স আ ওয়ান্ডারফুল লাইফ (১৯৪৬) চলচ্চিত্রে ভায়োলেট বিক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হন। এরপরও এমজিএম মনে করে তার তারকা হিসেবে সফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই এবং ১৯৪৭ সালে আরকেও স্টুডিওজের কাছে তার চুক্তি বিক্রি করে দেয়।
তাকে প্রায়ই নোয়ার চলচ্চিত্রে কাজ করতে দেখা যায়। এই সময়ে তিনি বেশ কয়েকটি হলিউড স্টুডিওর সাথে কাজ করেন। তিনি ক্রসফায়ার (১৯৪৭) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
১৯৫২ সালের শুরুতে তিনি সেসিল বি. ডামিলের অস্কার বিজয়ী দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ চলচ্চিত্রে হস্তী কন্যা অ্যাঞ্জেল চরিত্রে তার নিজের স্টান্ট নিজেই করেন।[৪] তিনি এমজিএমের দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য বিউটিফুল (১৯৫২) চলচ্চিত্রে মাত্র নয় মিনিটের কিছু অধিক সময় পর্দায় অভিনয় দিয়ে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।[৫][৬] ১৯৭৬ সালে বিয়াট্রিস স্ট্রেইট নেটওয়ার্ক (১৯৭৬) চলচ্চিত্রে মাত্র পাঁচ মিনিটের অভিনয়ের জন্য এই পুরস্কার পাওয়া পর্যন্ত তিনি সবচেয়ে কম সময় পর্দায় অভিনয় করে অস্কার পাওয়ার রেকর্ড ধরে রাখেন।
তিনি সাডেন ফিয়ার (১৯৫২) চলচ্চিত্রে আইরিন নিভস চরিত্রে, ফ্রিৎস লাংের দ্য বিগ হিট (১৯৫৩) চলচ্চিত্র মব মল ডেবি মার্শ চরিত্রে, হিউম্যান ডিজায়ার (১৯৫৪) চলচ্চিত্রে যৌন আকর্ষক ভিকি বাকলি চরিত্রে অভিনয় করেন।
১৯৫৫ সালে তিনি স্ট্যানলি ক্র্যামারের নট অ্যাজ আ স্ট্রেঞ্জার চলচ্চিত্রে ধনী কামাত্মক হ্যারিয়েট ল্যাং চরিত্রে অভিনয় করেন। একই বছর তিনি ওকলাহোমা! (১৯৫৫) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সফলতা অর্জন করেন।[৭]