গ্ল্যাডিস স্টেইনস | |
---|---|
জন্ম | আনুমানিক ১৯৫১ |
পেশা | সমাজ কর্মী |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | গ্রাহাম স্টেইনস মেমোরিয়াল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠা |
দাম্পত্য সঙ্গী | গ্রাহাম স্টেইনস (মৃত ১৯৯৯ সাল) |
সন্তান | দুই পুত্র (মৃত) এক কন্যা |
পুরস্কার | পদ্মশ্রী, মাদার তেরেসা পুরস্কার |
গ্ল্যাডিস স্টেইনস (জন্ম আনুমানিক ১৯৫১) হলেন অস্ট্রেলিয়ান ধর্মপ্রচারক গ্রাহাম স্টেইনের বিধবা স্ত্রী। ভারতের ওড়িশায় ১৯৯৯ সালের ২২শে জানুয়ারি গ্রাহাম স্টেইনসকে তাঁদের দুই ছেলে ফিলিপ (বয়স ১০) এবং টিমোথি (বয়স ৭) সহ জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। বজরং দলের কর্মী দারা সিংয়ের নেতৃত্বে একটি বিরাট জনতা দল তাঁদের পুড়িয়ে মেরেছিল।[১][২][৩]
খুনিদের সাজা ঘোষণার পরপরই, স্টেইনস একটি বিবৃতি জারি করে বলেন যে তিনি খুনিদের ক্ষমা করেছেন এবং তাদের প্রতি তাঁর কোন তিক্ততা নেই।[৪] তিনি একজন প্রশিক্ষিত নার্স ছিলেন।[৫] মাতৃভূমি অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাওয়ার পরিবর্তে, স্টেইনস "ভারতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এখানে তিনি এবং তাঁর স্বামী বিগত ১৫ বছর ধরে কুষ্ঠরোগীদের সেবা করে গেছেন"। তিনি একমাত্র জীবিত সন্তান কন্যা এস্টারকে নিজের সঙ্গে রেখে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন: "আমি সেই লোকদের ছেড়ে চলে যেতে পারি না যারা আমাদের ভালোবাসে এবং বিশ্বাস করে। আমি ভারতের জনগণ এবং তাদের সহনশীলতার প্রতি উচ্চ শ্রদ্ধাশীল।"[৬] ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ কুষ্ঠ হোমের একজন মহিলা পদ্মা, বলেছেন, গ্রাহাম স্টেইনস তাদের কাছে বাবার মতো ছিলেন এবং গ্ল্যাডিস (যাকে তিনি 'দিদি' বলে ডাকেন) বাড়ির সকলের কাছে মায়ের মতো।[৭]
২০০৪ সালে, ক্রিশ্চিয়ানিটি টুডে এই মহিলাকে "মাদার তেরেসার পরে ভারতের সবচেয়ে পরিচিত খ্রিস্টান" হিসাবে বর্ণনা করেছিল।[৬] ২০০৫ সালে, তিনি ভারত সরকারের কাছ থেকে চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারে পদ্মশ্রীতে ভূষিত হন।[৮][৯]
স্টেইনস যে বাড়িতে কুষ্ঠরোগীদের সেবা করতেন তিনি সেটিকে একটি সম্পূর্ণ হাসপাতালে রূপান্তরিত করেন।[১০] ২০০৪ সালে, গ্রাহামের মৃত্যুর পাঁচ বছর পর, শহরের উপকণ্ঠে ১৫ শয্যা বিশিষ্ট গ্রাহাম স্টেইনস মেমোরিয়াল হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়।[১১] ২০১৫ সালের নভেম্বরে, স্টেইনসকে সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য মাদার তেরেসা মেমোরিয়াল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছিল। পুরস্কার পাওয়ার পর, তিনি বলেছিলেন "আমার স্বামীর মৃত্যুর পরেও কুষ্ঠরোগীদের যত্ন নেওয়ার কাজটি করতে আমাকে সক্ষম করার জন্য আমি ঈশ্বরকে তাঁর সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই।"[১২][১৩]
Thanks to the contributions received for the Padma Shri award, obtained in 2004, the widow managed to transform the house for lepers in a real hospital, where patients can receive all the care they need. Gladys continues: "I thank God for His Grace and the support of the people which enabled the continue to serve with compassion the people. Through my award, I would like to honor the people, who through God’s help continue the work. The hospital is serving the people afflicted with leprosy. Additionally, after my husband was killed, a hostel for children has been built which gives the children an opportunity for education. The Lord Jesus Christ has given me peace in my heart. I greatest wish for Orissa would be the people would become self-reliant and empowered, and live together in harmony and they may have peace in their hearts ."
Last month, Gladys was named the 2015 recipient of the prestigious Mother Teresa Memorial Award for Social Justice by the Harmony Foundation, a Mumbai-based charity that grants the only award endorsed by the famous nun's Missionaries of Charity. “I thank God for his help in enabling me to carry out the work in caring for people with leprosy, even after my husband was killed,” Staines told AsiaNews after being named this year’s winner.