জৈব রসায়নে, ঘনীভবন বিক্রিয়া হলো দুটি অণুর সংমিশ্রণে একটি অণু তৈরি হওয়া। এ বিক্রিয়ায় পানির মতো একটি ছোট অণুর বিলুপ্তি ঘটে।[১] পানি বিলুপ্ত হয়ে গেলে, বিক্রিয়াটি ডিহাইড্রেশন সংশ্লেষণ হিসাবেও পরিচিত পায়। তবে ঘনীভবন বিক্রিয়ায় পানির পাশাপাশি অ্যামোনিয়া, ইথানল, এসিটিক অ্যাসিড এবং হাইড্রোজেন সালফাইড ইত্যাদি অণুরও বিলুপ্তি ঘটতে পারে। [২]
দুটি অণুর সংযোজন সাধারণত ধাপে ধাপে প্রসারিত হয়। একটি রাসায়নিক সাম্যাবস্থায় পানির অণুগুলোর বিলুপ্তি ঘটতে থাকে (যার ফলে নামটি ঘনীভবন হয়)। [৩] বিক্রিয়াটির সময় কোনো রাসায়নিক সত্তা কোনো অণুর কার্যকরী মূলকে যুক্ত হতে পারে। এটি একটি বহুমুখী বিক্রিয়া যা অ্যাসিড বা ক্ষারের উপস্থিতিতে অথবা অনুঘটকের উপস্থিতিতে ঘটতে পারে। ঘনীভবন শ্রেণীর বিক্রিয়া জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অ্যামিনো অ্যাসিডের মধ্যে পেপটাইড বন্ধন গঠন এবং ফ্যাটি অ্যাসিডের জৈব সংশ্লেষণ ঘনীভবন বিক্রিয়ার মাধ্যমেই ঘটে। [৪]
ঘনীভবন বিক্রিয়ার বিভিন্ন প্রকরণ বিদ্যমান রয়েছে। সাধারণ উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যালডল ঘনীভবন এবং নোভেইনজেল ঘনীভবন, যা উভয়ই উপজাত হিসাবে পানি গঠন করে। এছাড়াও রয়েছে ক্লাইসেন ঘনীভবন এবং ডাইকম্যান ঘনীভবন (ইন্ট্রামোলেকুলার ক্লাইসেন ঘনত্ব), যা উপজাত হিসাবে অ্যালকোহল গঠন করে। [৫]