ঘূর্ণনবীক্ষক বা জাইরোস্কোপ (ইংরেজি: Gyroscope) হচ্ছে একটি বিশেষ ধরনের যন্ত্র। যন্ত্রটি ঝোঁক ও কৌণিক গতিবেগ মাপার জন্য ব্যবহার করা হয়।[১][২]
জাইরোস্কোপের ব্যবহার প্রাচীন রোম, গ্রীস ও চীন সভ্যতায় দেখা যায়। যদিও এগুলোকে সেখানে যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হত না।[৩] জাইরোস্কোপের মত যন্ত্র প্রথম তৈরি করেন জন সার্সন। যন্ত্রটি ’সারসনের স্পেকুলাম' নামে পরিচিত। এটি ১৭৪৩ সালে আবিষ্কার হয়। যন্ত্রটি ঘন কুয়াশার মাঝে দিগন্তের দিক নির্দেশ খুঁজে পেতে ব্যবহার হত। বর্তমানে জাইরোস্কোপ যেমনটা দেখতে হয় ঠিক তার কাছাকাছি দেখতে একটি যন্ত্র তৈরী করেন জার্মান গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী জোহান বোহনেনবার্গার, ১৮১৭ সালে। যন্ত্রটিকে তিনি আখ্যা দেন 'মেশিন' বলে।[৪] ১৮৩২ সালে ওয়াল্টার আর. জনসন নামক একজন আমেরিকান ঘূর্ণায়মান চাকতির উপর ভিত্তি করে একই ধরনের আরেকটি যন্ত্র তৈরি করেন।[৫] [৬] পরে ১৮৫২ সালে ফরাসি ভৌতবিদ লিও ফকাল্ট আজকের আধুনিক জাইরোস্কোপ আবিষ্কার করেন। তিনিই যন্ত্রটির নাম জাইরোস্কোপ রাখেন।[৭]
কনসুমার ইলেক্ট্রনিকস এ জাইরোস্কোপ ব্যবহার হয়। কম্পাস, বিমান, নির্দদেশক যন্ত্র ইত্যাদি জায়গায় জাইরোস্কোপ ব্যবহার হওয়ার পাশাপাশি কনসুমার ইলেক্ট্রনিকসএ ব্যবহার হচ্ছে। কনসুমার ইলেকট্রনিকস এ জাইরোস্কোপ এর ব্যবহার জনপ্রিয় করেন স্টিভ জবস এপল আইফোন এর মাধ্যমে। বরতমানে অনেক ত্বরণমিটারে এই জাইরোস্কোপ ব্যবহার হয় যাতে করে মোশন সেন্স প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নত মানের দিক নির্দেশ ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।বেশ কিছু আধুনিক স্মার্টফোন এ এই জাইরোস্কোপ প্রযুক্তি ব্যবহার হয় যেমন-
অনেক গেমিং কনসোলেে জাইরোস্কপ ব্যবহার হয় যেমন নিনটেনডো বা প্লেস্টেশন। অনেক জাহাজে দিক নির্ণায়ক হিসেবে জাইরোস্কোপ ব্যবহার হয়। আধুনিক স্মার্টফোনেেের অনেক ফিচার জাইরোস্কোপ সেন্সর ছাড়া কাজ করে না।