ঙ্গাগ-দ্বাং-য়ে-শেস-র্গ্যা-ম্ত্শো (ওয়াইলি: ngag dbang ye shes rgya mtsho) (১৬৮৬-?১৭২০) তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের দ্গে-লুগ্স ধর্মসম্প্রদায়ের ষষ্ঠ দলাই লামা হিসেবে অধিষ্ঠিত হলেও তিব্বতীদের দ্বারা স্বীকৃতি লাভ করেননি।
কোশোত মঙ্গোল নেতা ল্হাজাং খান তিব্বত আক্রমণ করে তিব্বতের রাজপ্রতিনিধি সাংস-র্গ্যাস-র্গ্যা-ম্ত্শোকে হত্যা করেন এবং ত্শাংস-দ্ব্যাংস-র্গ্যা-ম্ত্শো নামক ষষ্ঠ দলাই লামাকে গৃহবন্দী করার পর ১৭০৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৮শে জুন নিজের পুত্র মোনপা পেকার দ্জিনপাকে ষষ্ঠ দলাই লামা রূপে অধিষ্ঠিত করেন। পঞ্চম পাঞ্চেন লামা ব্লো-ব্জাং-য়ে-শেস মঙ্গোলদের দাবীমত মোনপা পেকার দ্জিনপাকে ষষ্ঠ দলাই লামা রূপে স্বীকার করে নেন এবং তার নতুন নাম রাখেন ঙ্গাগ-দ্বাং-য়ে-শেস-র্গ্যা-ম্ত্শো। কিন্তু তিব্বতের দ্গে-লুগ্স সম্প্রদায়ের অধিকাংশ ভিক্ষু এই বিতর্কে মঙ্গোল বংশীয় এই নতুন দলাই লামাকে স্বীকৃতি দান করেননি। ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে দ্জুঙ্গার মোঙ্গল সেনাবাহিনী কোশোত মঙ্গোল নেতা ল্হাজাং খানের বিরুদ্ধে তিব্বত আক্রমণ করলে ল্হাজাং খানের মৃত্যু হয় এবং ঙ্গাগ-দ্বাং-য়ে-শেস-র্গ্যা-ম্ত্শোকে পঞ্চম পাঞ্চেন লামা লাসা থেকে সরিয়ে দিতে সক্ষম হন। তিনি চাকপোরি নামক স্থানে একজন সাধারণ ভিক্ষুর বেশে জীবনযাপন করেন এবং ১৭২০ খ্রিষ্টাব্দে চীনারা তাকে বেজিং শহরে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু ঘটে।[১]
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)