ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | চন্দ্রকান্ত সীতারাম চাঁদ পণ্ডিত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৬১ বোম্বে, মহারাষ্ট্র, ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৭৪) | ১৮ জুন ১৯৮৬ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৫ জানুয়ারি ১৯৯২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৫৭) | ১০ এপ্রিল ১৯৮৬ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২০ জানুয়ারি ১৯৯২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৭ জানুয়ারি ২০২০ |
চন্দ্রকান্ত সীতারাম পণ্ডিত (হিন্দি: चन्द्रकांत पण्डित; জন্ম: ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৬১) মহারাষ্ট্রের বোম্বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সময়কালে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে আসাম,[১] মধ্যপ্রদেশ ও মুম্বই দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শী ছিলেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত।
১৯৭৯-৮০ মৌসুম থেকে ২০০০-০১ মৌসুম পর্যন্ত চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দর্শনীয় স্ট্রোক খেলার অধিকারী চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত উইকেট-রক্ষণে ভারতীয় দলে দূর্দান্ত ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৮০-এর দশকে গ্লাভস হাতে নিয়ে উইকেটের পিছনে অবস্থান করার বিষয়ে সৈয়দ কিরমানীর স্থলাভিষিক্ত হবার প্রশ্নে তরুণ খেলোয়াড়দের অন্যতম ছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে তিনি মূলতঃ শুধুমাত্র ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তবে, এ পর্যায়ে তিনি ব্যর্থতার পরিচয় দেন। অংশগ্রহণকৃত পাঁচ টেস্টের তিনটিতে উইকেট-রক্ষক ছিলেন। বাদ-বাকী দুই টেস্টে মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু, ১৯৯১-৯২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে নিয়মিত উইকেট-রক্ষক কিরণ মোরের অনুপস্থিতিতে তাকে গ্লাভস হাতে মাঠে নামতে হয়েছিল। এগারো ক্যাচ হাতে নিয়ে তিনি তার দক্ষতার সবিশেষ পরিচয় দেন। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত তার আকর্ষণীয় ব্যাটিংশৈলীর কারণে বেশকিছু সময়ে ভারতের একদিনের দলের নিয়মিত সদস্যের মর্যাদা লাভ করেছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্ট ও ছত্রিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। ১৯ জুন, ১৯৮৬ তারিখে লিডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৫ জানুয়ারি, ১৯৯২ তারিখে অ্যাডিলেডে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
অভিষেক টেস্ট সিরিজে ইংরেজ উইকেট-রক্ষক ব্রুস ফ্রেঞ্চের টেস্ট ক্রিকেট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল। তবে, ভারতীয় দল ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।
১০ এপ্রিল, ১৯৮৬ তারিখে শারজায় অনুষ্ঠিত অস্ট্রাল-এশিয়া কাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৮৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। নিজ শহর মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দিলীপ বেঙ্গসরকারের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গন থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পর চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত পেশাদারী পর্যায়ে মধ্যপ্রদেশ দলের সাথে যুক্ত হন ও ব্যাট হাতে কয়েক মৌসুম অতিবাহিত করেন। এরপর তিনি সফলতম কোচ ছিলেন। খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পরও ক্রিকেটের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন।
ক্রিকেট কোচ হিসেবে মুম্বই ক্রিকেট দলের সাথে যুক্ত রয়েছেন। ২০০৩ ও ২০০৪ সালে উপর্যুপরি দুইবার মুম্বইয়ের রঞ্জী ট্রফির শিরোপা বিজয়ে ভূমিকায় রাখেন। আগস্ট, ২০০৫ সালে মহারাষ্ট্র দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। বিদর্ভ ক্রিকেট দলকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ২০১৮ ও ২০১৯ সালের রঞ্জী ট্রফিতে উপর্যুপরি দুইবার শিরোপা এনে দেন।
২০১৩ সালে অল ইন্ডিয়া জুনিয়র সিলেকশন কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীতে কনর উইলিয়াম তার স্থলাভিষিক্ত হন।