চন্দ্ৰকুমার আগরওয়ালা | |
---|---|
জন্ম | ২৮ নবেম্বর ১৮৬৭ |
মৃত্যু | ২ মাৰ্চ, ১৯৩৮ |
পেশা | সাহিত্যিক, কবি এবং ব্যবসায়ী |
চন্দ্ৰকুমার আগরওয়ালা (১৮৬৭-১৯৩৮) একজন অসমীয়া কবি এবং লেখক। অসমীয়া সাহিত্যে রোমাণ্টিকতাবাদের সূচনা কারী লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম৷[১] জোনাকীর প্ৰথম সংখ্যায় প্ৰকাশ পাওয়া 'বনকুবঁরী'ই হল প্ৰথম অসমীয়া রোমান্টিক কবিতা৷ আগরওয়ালাকে "প্ৰতিমার খনিকর" বলেও অভিহিত করা হয়।[২] তিনি জোনাকী আলোচনার প্ৰথম সম্পাদক এবং সাহিত্য সংগঠন অসমীয়া ভাষা উন্নতি সাধিনী সভার প্ৰতিষ্ঠাপক সদস্য ছিলেন।[৩][৪] আধুনিক অসমীয়া সাহিত্যে আগবরোয়া বরঙণির মতে আগরওয়ালার সাথে লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া এবং হেমচন্দ্র গোস্বামীকে এক সাথে "অসমীয়া সাহিত্যের ত্ৰিমূৰ্তি" বলা হয়।[৫]বনকুবঁরী, তেজীমলা, মাধুরী, বিণবরাগী, মহাত্মা ইত্যাদি তার অনুপম কবিতা সমূহের অন্যতম কবিতা৷
১৮৬৭ সালের ২৮ নভেম্বর শোণিতপুর জেলার গহপুর এর কলংপুর মৌজার ব্রহ্মজান এ চন্দ্রকুমার আগরওয়ালার জন্ম হয়। তার পিতার নাম হরিবিলাস আগরওয়ালা এবং মাতার নাম মলমা৷ তেজপুর এ শিক্ষাজীবন আরম্ভ করে চন্দ্রকুমার কিছুদিন কলকাতার হিন্দু স্কুলে পড়েছেন। তেজপুর সরকারি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পড়ে এন্ট্ৰান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পড়ালেখা করে এফ এ উত্তীর্ণ হন। তার নামের পিছনে স্নাতক শ্রেণী লিখা যদিও তিনি শিক্ষা সমাপ্ত করেননি।
লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া এবং হেমচন্দ্র গোস্বামীর সাথে আগরওয়ালা দেব কলকাতা অসমীয়া ভাষা উন্নতি সাধিনী সভা প্রতিষ্ঠা করেন এবং একইসাথে জোনাকী নামের আলোচনী প্রকাশ করেন। জোনাকীর প্রথম দুটা সংখ্যার সম্পাদনাও করেছিলেন আগরওয়ালাদেব। তার নামের সাথে আগরওয়ালা দেব ১৯১৮ সালে ডিবরুগড় পরিষদ "অসমীয়া" নামে একটি পত্রিকা বার্তা প্রকাশ করে। ১৯২৪ সালে গুয়াহাটির খারঘুলিতে "নিউ প্রেস" স্থাপন করে তার রচিত "সাদিনীয়া অসম" নিয়মিত প্রকাশ করা হত। পরে এই পত্রিকায় তিনিদিনীয়া প্রকাশ করা হয়েছিল। [৬]
'প্ৰতিমা (১৯১৪), বীণবরাগী (১৯২৩), চন্দ্ৰামৃত (১৯৬৭)৷
জোনাকী৷ এছাড়া ও - অসমীয়া, তিনিদিনীয়া অসমীয়া, সাদিনীয়া অসমীয়া, বাঁহী ইত্যাদি পত্রিকা প্রতিষ্ঠা তথা পরিচালনার সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত ছিলেন।
১৯৩৮ সালের ২ মাৰ্চ গুয়াহাটীর উজানবজারে নিজ ঘরে চন্দ্ৰকুমার আগরওয়ালার মৃত্যু হয়।[৭]