চন্দ্রচুর সিং | |
---|---|
জন্ম | |
অন্যান্য নাম | রকি [১] |
কর্মজীবন | ১৯৯৬ - ২০০৯ ২০১২ - বর্তমান |
চন্দ্রচুর সিং (জন্ম ১১ই অক্টোবর ১৯৬৮ সাল) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেতা, যিনি বলিউডের অনেক ছবিতে অভিনয় করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি মাচিস্ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার সেরা অভিষেক অভিনেতা (পুরুষ) পুরস্কার লাভ করেন।
চন্দ্রচুর সিং উত্তর প্রদেশের আলীগড়ের স্থানীয় অধিবাসী। তিনি জন্ম গ্রহণ করেছিলেন ১১ই অক্টোবর ১৯৬৮ সালে ভারতের নয়া দিল্লীতে। তার পিতা ছিলেন একজন উত্তর প্রদেশের খাইর-এর একজন সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি-মেম্বার অব পার্লামেন্ট) এবং তার মাতা হলেন উড়িষ্যা প্রদেশের বোলাঙ্গি মহারাজার কন্যা। তিনি ওয়েলহ্যাম বয়েস্ স্কুল, দ্য ডুন স্কুল, দেহ্রাদুন এবং নয়া দিল্লী স্টি. স্টিফেনও পড়াশোনা করেন। অভিনয় জীবন ছেড়ে দেয়ার পূর্বে তিনি দুন স্কুলে গানের শিক্ষকতা করতেন।
চন্দ্রচুর সিংয়ের দুই ছোট ভাই আদিত্য সিং এবং অভিমন্যু সিং রয়েছে।[২]
চন্দ্রচুর সিং ১৯৯৬ সালে তেরে মেরে সাপ্নে অমিতাভ বচ্চন কর্পোরেশন লিমিটেড-এর তত্ত্বাবধানে নির্মিত ছবি দ্বারা অভিনয় কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। পরে একই বছর তিনি অভিনেত্রী টাবুর সহিত মাচিস্ ছবির জন্য ফিল্মফেয়ার সেরা অভিষেক অভিনেতা (পুরুষ) পুরস্কার অর্জন করেন। তাকে আরো বিভিন্ন ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গেলেও তেমন একটা সাফল্য আসেনি কিন্তু তারকা বহুল দাগঃ দ্য ফায়ার (১৯৯৯ সাল) ছবিতে সঞ্জয় দত্তের বিপরীতে প্রধান চরিত্র করে সাফল্য অর্জন করেন, এছাড়াও ক্যা কেহ্না (২০০০ সাল) ছবিতে প্রীতি জিন্টা ও সাইফ আলী খানের বিপরীতে এবং জোশ (২০০০ সাল) ছবিতে ঐশ্বরিয়া রাই ও শাহ্রুখ খানের বিপরীতেও অভিনয় করতে দেখা যায়।
প্রাথমিক কর্মজীবনের সাফল্যের পরও কয়েক দফা কাঁধ ও বাহুর সংযোগস্থল বিচ্যুতির বদৌলতে তার কর্মজীবনে ধীমি গতি লক্ষ্য করা যায়, একদা গোঁয়ায় পানিতে স্কি করার সময় সেই পুরনো ব্যথা অনুভব করেন। যার ফলে কাঁধের এই সমস্যার কারণে তিনি কাজ করতে অসক্ষম হন, সাথে সাথে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ায় তার ভূমিকা থেকে দূরে সরে যান। তার কিছু মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি আমদানি আট্টানি খারচা রুপাইয়া (২০০১ সাল), ভারত ভাগ্য বিধাতা (২০০২ সাল) এবং দেরিতে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি সরদ পার, যেটির শুটিং হয় ২০০২ সালে কিন্তু মুক্তি পায় ২০০৬ সালে। ছবিত্রয় বাণিজ্যিকভাবে গড়পরতায় আয়ের মুখ দেখে।
২০১২ সালে তিনি চার দিন কি চাঁদনী ছবি দিয়ে আবারো ফিরে আসেন। ছবিটিতে তুষার কাপুর, কুলরাজ রান্ধাওয়া, অনুপম খের, ওম পুরি এবং ফরিদা জালাল সহ আরো অনেকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। বিশেষকদের কাছ থেকে চার দিন কি চাঁদনী ছবিটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পায় এবং ভারতের কিছু কিছু জায়গায় ছবিটি ব্যবসায়িক সাফল্য পেতে অসমর্থ হয়। ২০১২ থেকে বর্তমান পর্যন্ত সময়ে তিনি নিজেকে বলিউডের অভিনেতা হিসেবে আবারও সংযুক্ত করেন। চলচ্চিত্রে ২য় ছবি ঝিল্লা ঘাজিয়াবাদ দিয়ে ফিরে আসেন একটু দেরিতে। তবে ছবিটি মুক্তির মুখ দেখে আগস্ট ২০১৩ সালে।
সাল | পুরস্কার অনুষ্ঠান | পুরস্কার | ছবি | বিজয়ী |
---|---|---|---|---|
১৯৯৬ | ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | ফিল্মফেয়ার সেরা অভিষেক অভিনেতা পুরস্কার | মাচিস্ | হ্যাঁ |
২০০০ | ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | ফিল্মফেয়ার সেরা সহ-অভিনেতা পুরস্কার | ক্যা কেহ্না | না |
যে ছবিগুলো এখনো মুক্তিপ্রাপ্ত হয়নি। |
নাম [১] | সাল | চরিত্র |
---|---|---|
তেরে মেরে সাপ্না | ১৯৯৬ | রাহুল মেহ্তা |
মাচিস্ | ১৯৯৬ | কৃপাল সিং ‘পালি’ |
বেতাবি | ১৯৯৭ | সমীর |
শাম ঘণ্শাম | ১৯৯৮ | শাম |
দিল ক্যা কারে | ১৯৯৯ | সোম দত্ত |
দাগঃ দ্য ফায়ার | ১৯৯৯ | রভি বার্মা |
সিলসিলা হে পেয়ার কা | ১৯৯৯ | অভেয় সিন্হা (অভয় সিংহ) |
জোশ্ | ২০০০ | রাহুল |
ক্যা কেহ্না | ২০০০ | অজয় |
আমদানি আট্টানি খার্চা রুপাইয়া | ২০০১ | রভি |
জুনুন | ২০০২ | |
ভারত ভাগ্য বিধাতা | ২০০২ | সাব্বির জাহাঙ্গীর খান |
মহাব্বত হো গায়ি তুম্সে | ২০০৫ | |
শারহাদ পার | ২০০৬ | রভি |
মারুতি মেরা দোস্ত | ২০০৯ | |
কেমিতি আয়ে বান্ধানা (উড়িষ্যা চলচ্চিত্র) | ২০১১ | তন্ময় পাটনায়েক |
চার দিন কি চান্দনী | ২০১২ | পৃথবী সিং |
ঝিল্লা গাজিয়াবাদ | ২০১৩ | করমভীর |
দ্য রেলাকটেন্ট ফান্ডামেন্টালিস্ট | ২০১৩ | বান্ডী আংকেল |
হাম তুম অর গোস্ট ২ | ২০১৪ |