চন্দ্রপ্রভা অটওয়াল | |
---|---|
জন্ম | ২৪শে ডিসেম্বর ১৯৪১ ধারচুলা, উত্তরাখণ্ড |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | পর্বতারোহী |
চন্দ্রপ্রভা অটওয়াল (জন্ম ২৪শে ডিসেম্বর ১৯৪১) হলেন একজন ভারতীয় পর্বতারোহী এবং ভারতীয় মহিলা পর্বতারোহীদের অন্যতম পথিকৃৎ। তিনি ২০০৯ সালের তেনজিং নোরগে ন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার অ্যাওয়ার্ড ফর লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্টে ভূষিত হন। এই পুরস্কারটি ভারতের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রদান করে।[১] তিনি নন্দা দেবী, কাঞ্চনজঙ্ঘা, ত্রিশূলী এবং জাওনলি পর্বতে আরোহণ করেছেন।[২]
চন্দ্রপ্রভা উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলার ধারচুলায় বড় হয়ে ওঠেন।[২] তাঁর পিতা ছিলেন একজন কৃষক। ১৯৬৩ সালে নৈনিতালের সরকারি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ থেকে তিনি বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ১৯৬৪ সালে আইটিআই আলমোড়া থেকে সেলাইতে ডিপ্লোমা পান। কিছুদিন পর তিনি পিথোরাগড় সরকারি ইন্টার কলেজে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন।[৩]
চন্দ্রপ্রভা ১৯৭২ সালে বেসিক পর্বতারোহণ এবং ১৯৭৫ সালে উত্তরকাশীর নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং (নিম) থেকে অ্যাডভান্স কোর্স করেন। ১৯৮০ সালে, তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্কিইং অ্যান্ড মাউন্টেনিয়ারিং, গুলমার্গ থেকে একটি স্কিইং কোর্স সম্পন্ন করেন। ১৯৭৮ সালে, তিনি 'নিম'-এ কোচ হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত, উত্তরকাশীতে প্রশিক্ষক থাকাকালীন, তিনি হিমালয়ের অনেক চূড়া জয় করেছিলেন।[৩] তার মধ্যে ১৯৮১ সালে তিনি নন্দা দেবী (৭,৮১৬ মি) জয় করেন। তাঁর সামনে ছিলেন রেখা শর্মা ও হর্ষবন্তী বিষ্ট। এই প্রথম মহিলারা ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পা রেখেছিলেন।[৪] তিনি ১৯৮৪ সালে ভারতীয় পর্বতারোহণ ফেডারেশনের স্পনসর করা মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানেরও অংশ ছিলেন।[২] ২০০৯ সালের আগস্ট মাসে, ৬৮ বছর বয়সে, তিনি ভারতীয় পর্বতারোহণ ফেডারেশনের সর্ব-মহিলা অভিযানের অংশ হিসাবে দ্বিতীয়বারের মতো ৬,১৩৩ মিটার উচ্চতায় গাড়ওয়াল হিমালয়ের মাউন্ট শ্রীকান্তের চূড়ায় পৌঁছেছিলেন।[৫][৬]