চরখারি রাজ্য चरखारी | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারত দেশীয় রাজ্য | |||||||
১৭৬৫–১৯৪৭ | |||||||
ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত চরখারি রাজ্যের মানচিত্র | |||||||
আয়তন | |||||||
• ২৯০১ | ২,২৭৯ বর্গকিলোমিটার (৮৮০ বর্গমাইল) | ||||||
জনসংখ্যা | |||||||
• ২৯০১ | ১,২৩,২৫৪ | ||||||
ইতিহাস | |||||||
• প্রতিষ্ঠিত | ১৭৬৫ | ||||||
১৯৪৭ | |||||||
|
চরখারি রাজ্য ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷ মধ্য ভারত এজেন্সির বুন্দেলখণ্ড এজেন্সিতে অবস্থিত রাজ্যগুলির মধ্যে এটি ছিল একটি তোপ সেলামী সম্মানপ্রাপ্ত দেশীয় রাজ্য।[১] ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর এই দেশীয় রাজ্যটি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। রাজ্যটির নাম তার রাজধানীর নাম অনুসারে ছিল, বর্তমান চরখারি শহরটি রয়েছে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মাহোবা জেলায়।
রাজা খুমন সিং ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে সরকারি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।[২] ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে তার উত্তরসূরি রাজা রতন সিং ব্রিটিশদের থেকে বংশ-পরম্পরা ক্রমে ১১ তোপ সেলামীর সম্মান লাভ করেন। সিপাহী বিদ্রোহের সময় ইংরেজ কোম্পানিকে সাহায্য করার জন্য তিনি একটি খেলাৎ এবং বার্ষিক ১৩০০ মূল্যের বিনিময়ে চিরস্থায়ী জায়গীর লাভ করেছিলেন। রাজ্যটি ১৮৮ টি অশ্বারোহী বাহিনী, ১৫৫২ টি পদচালিত সৈন্যবাহিনী ও ৪২টি বন্দুকের সুবিধা ভোগ করতেন৷ রাজ্যটির ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের রাজস্বের পরিমাণ ছিলো বার্ষিক ৬,০০,০০০ভারতীয় মুদ্রা৷ [৩] ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে রাজা মালখান সিং বংশপরম্পরায় মহারাজা উপাধি পান৷
রাজ্যটির শেষ শাসক ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট তারিখে ভারতীয় অধিরাজ্যে যোগদানের সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে রাজা বিক্রমজিৎ সিংয়ের রাজত্বকালে রাজ্যটি ব্রিটিশ করদ রাজ্যে পরিণত হয়।[৪]