চরভদ্রাসন | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে চরভদ্রাসন উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩৩′৩৩″ উত্তর ৯০°৪′৫২″ পূর্ব / ২৩.৫৫৯১৭° উত্তর ৯০.০৮১১১° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | ফরিদপুর জেলা |
সরকার | |
• উপজেলা নির্বাহী অফিসার | মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম[১] |
আয়তন | |
• মোট | ১৫৫ বর্গকিমি (৬০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[২] | |
• মোট | ৬৮,১৫২ |
• জনঘনত্ব | ৪৪০/বর্গকিমি (১,১০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৭৮১০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ২৯ ২১ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
চরভদ্রাসন বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
পদ্মা ও ভুবনেশ্বর নদী বিধৌত চরভদ্রাসন উপজেলা। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে চরসালেপুর নামক স্থানে চরভদ্রাসন থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়।
চরভদ্রাসন নামকরণ নিয়ে একাধিক কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। এলাকা ছিল পদ্মা নদীর চর। চাষাবাদ করে চরকে মনুষ্য বসবাসের করে তােলার জন্য তৎকালীন জমিদার কৃষি পেশা সাথে যুক্ত ভদ্র পদবিধারী কিছু মানুষকে এখানে নিয়ে আসেন। তারা খিল চরটাকে প্রচুর শ্রমে চাষাবাদ করে র করে তােলে। ভদ্র সম্প্রদায়ের লােকজন চাষাবাদের মাধ্যমে চরটিকে শস্য শ্যামল করেছিলাে বলে চরটির নাম হয় চরভদ্রাসন। অনেকে মনে করেন, তাকার বিখ্যাত ভদ্রা নদীর পলি জমে চরটি জেগে উঠেছিলাে। ভদ্রা নদীর চরে। এটি আসন গেড়েছিলাে বলে নাম হয় চরভদ্রাসন
আরেক জনশ্রুতির মতে এ এলাকায় ব্রিটিশদের নিয়োজিত জমিদারের পেয়াদা ছিল মকিম মিয়া। স্বাধীনচেতা মকিম ছিল তিতুমীর এর ভাবস্বাগরেদ। তারই নির্দেশে জমিদারদের খাজনা না দেওয়ার জন্য উদ্ধুদ্ব করেন। ফলে সংশ্লিষ্ট জমিদার মকিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। কয়েকদিনের মধ্যে শুরু হয় বন্দুক যুদ্ধ। মকিম মিয়া নিহত হয়। তার অন্যান্য অনুসারীদের দেশত্যাগ করতে বাধ্য করে। এসময় ব্রিটিশ সরকার এই এলাকায় একজন ব্রিটিশ ভদ্রলোককে দায়িত্ব দেন এলাকার শাসনভারের। পরবর্তীতে তার অনুগতদের চর পত্তন দেয়। কথিত মতে চরের মধ্যে একজন ভদ্রলোক (ঐ ব্রিটিশ নাগরিক) বসবাস করায় তখন এলাকার নাম করন করা হয় চরভদ্রাসন।
ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে পাকিস্তান রাষ্ট্র ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট স্বাধীনতা প্রাপ্ত হয়। তৎপরবর্তীতে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে 'রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০' প্রবৃত্ত হলে জমিদারশ্রেণি বিলুপ্ত হয় এবং প্রজাদের কাছে জমি হস্তান্তর করা হয়। এলাকাটি ফরিদপুর জেলাধীন সদর মহকুমার অন্তর্ভুক্ত থাকে। চরভদ্রাসন উপজেলার গোপালপুর সংলগ্ন খাসের হাটে পুলিশ স্টেশন তথা প্রশাসনিক কেন্দ্র বিন্দু ছিল। ১৯৫৪ সালে উক্ত এলাকা পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে ভেঙ্গে গেলে বর্তমানে স্থাপিত জায়গায় চরভদ্রাসন হাট প্রতিষ্ঠা হয়। তখন পুলিশ স্টেশন চরহাজিগঞ্জ স্থানান্তরিত হয়। এমডি ও জনাব এস,এম জয়নাল আবেদীন ১৯৬৮ সালে ইউটিডিসি চরভদ্রাসন বাজারের উত্তর দক্ষিণে প্রতিষ্ঠা করেন একই বছর চরভদ্রাসন আইয়ুব কলেজ বতমানে অবস্থিত চরভদ্রাসন পাইলট হাই স্কুলের একটি কক্ষে স্থাপন করেন। পরবর্তীতে হেলথ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৬ সালে চরহাজিগঞ্জ থেকে পুলিশ স্টেশন স্থানান্তরিত হয়। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে চরভদ্রাসন থানা উপজেলার মর্যাদায় উন্নীত হয়।
চরভদ্রাসন বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার একটি ছোট উপজেলা। এই উপজেলার উত্তরে মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলা ও ঢাকা জেলার দোহার উপজেলা, দক্ষিণে সদরপুর উপজেলা, পূর্বে ঢাকা জেলার দোহার উপজেলা, পশ্চিমে ফরিদপুর সদর উপজেলা ও নগরকান্দা উপজেলা।
চরভদ্রাসন উপজেলা ৪টি ইউনিয়ন, ৯৭ গ্রাম, ২৭ টি মৌজা নিয়ে গঠিত। ইউনিয়ন গুলো হল:
চরভদ্রাসন উপজেলায় দুটি নদী আছে। সেগুলো হচ্ছে পদ্মা নদী এবং ভুবনেশ্বর নদ।[৩][৪]
জনসংখ্য ৬৮,১৫২ জন (প্রায়) যার মধ্যে পুরুষ ৩৫,০০০ জন (প্রায়) এবং মহিলা ৩৩,১৫২ জন (প্রায়)। এই এলাকায় লোক সংখ্যার ঘনত্ব ১,২৩৯ (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে)।
চরভদ্রাসন উপজেলার শিক্ষার হার ৭৫%।[৫]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |