চাঁদপুর | |
---|---|
শহর | |
![]() | |
ডাকনাম: ইলিশের শহর | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | চাঁদপুর জেলা |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | চাঁদপুর পৌরসভা |
• মেয়র | জিল্লুর রহমান জুয়েল |
আয়তন[১] | |
• মোট | ২৬.৮২ বর্গকিমি (১০.৩৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ১,৫৯,০২১ |
• জনঘনত্ব | ৫,৯০০/বর্গকিমি (১৫,০০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বাংলাদেশ মান সময় (ইউটিসি+৬) |
চাঁদপুর বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি শহর। এটি চাঁদপুর জেলার প্রশাসনিক সদরদপ্তর এবং সবচেয়ে বড় শহর ও জনবহুল স্থান। শহরটি পদ্মা ও মেঘনা নদীর সংযোগ স্থলের নিকটে মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত। চাঁদপুর শহরের মোট আয়তন ২৬.৮২ বর্গকিলোমিটার এবং এর মোট জনসংখ্যা ১৭১,০৬৫ জন, যা এটিকে বাংলাদেশের ২২তম বৃহত্তম শহরে পরিণত করেছে (জনসংখ্যার ভিত্তিতে)।[২] চাঁদপুরের ইলিশ মাছ সুস্বাদু হিসেবে সারাদেশে বেশ সমাদৃত বলে এ শহরকে ইলিশের শহর নামে ডাকা হয়।
চাঁদপুরের নামকরণ সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না, তবে এ সম্পর্কে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। বার ভূঁইয়াদের আমলে চাঁদপুর অঞ্চল বিক্রমপুরের জমিদার চাঁদরায়ের দখলে ছিল। এ অঞ্চলে তিনি একটি শাসনকেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন। ঐতিহাসিক জে এম সেনগুপ্তের মতে, চাঁদরায়ের নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছে চাঁদপুর। অন্যমতে, চাঁদপুর শহরের (কোড়ালিয়া) পুরিন্দপুর মহল্লার চাঁদ ফকিরের নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম চাঁদপুর। কারো মতে, শাহ আহমেদ চাঁদ নামে একজন প্রশাসক দিল্লী থেকে পঞ্চদশ শতকে এখানে এসে একটি নদী বন্দর স্থাপন করেছিলেন। তার নামানুসারে নাম হয়েছে চাঁদপুর।[৩]
চাঁদপুর মহকুমা ১৮৭৮ সালে গঠিত হয়[৪] এবং পৌরসভা গঠিত হয় ১৮৯৭ সালে।[১]
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী চাঁদপুর শহরের মোট জনসংখ্যা ১,৫৯,০২১ জন।[১]। এ বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যা ৩৫,৮১৩টি খানায় বাস করে। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৬,৩৭৮ জন লোক বসবাস করে। লিঙ্গ অনুপাতে প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে ৯৯৮ জন নারী রয়েছে এবং স্বাক্ষরতার হার ৮০.০৫%।[১]
চাঁদপুর সড়ক, রেল ও নদী পথে রাজধানী ঢাকা, বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ সহ বাংলাদেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশের সাথে যুক্ত।