চাবুণ্ডরায় | |
---|---|
![]() কন্নড় কবি চাবুণ্ডরায় ও নেমিচন্দ্র | |
জন্ম | আনুমানিক ৯৪০ খ্রিস্টাব্দ |
মৃত্যু | ৯৮৯ (বয়স ৪৮–৪৯) |
জৈনধর্ম |
---|
![]() |
![]() |
চাবুণ্ডরায় বা চামুণ্ডরায় (৯৪০–৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ) ছিলেন তলকাড়ুর (অধুনা কর্ণাটক, ভারত) পশ্চিম গঙ্গ রাজবংশের এক সেনাধ্যক্ষ, স্থপতি, কবি ও মন্ত্রী। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী চাবুণ্ডরায় জৈন তীর্থস্থান শ্রবণবেলগোলায় বাহুবলীর একশিলা মূর্তিটি নির্মাণ করান। তিনি ছিলেন জৈন আচার্য নেমিচন্দ্র ও অজিতদেন ভট্টারকের ভক্ত এবং রাজা দ্বিতীয় মারসিংহ সত্যবাক্য (৯৬৩-৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ), চতুর্থ রচমল্ল সত্যবাক্য (৯৭৫-৯৮৬ খ্রিস্টাব্দ) ও পঞ্চম রচমল্লের (রক্কসগঙ্গ, ৯৮৬-৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ) রাজত্বকালের এক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।
এক সাহসী সেনাধ্যক্ষ হিসেবে চাবুণ্ডরায় ‘সমর পরশুরাম’ উপাধি অর্জন করেছিলেন। সাহিত্যে তাঁর আগ্রহ ছিল। তিনি কন্নড় ও সংস্কৃত ভাষার এক বিশিষ্ট লেখকও ছিলেন।[১][২] তাঁর লেখা গুরুত্বপূর্ণ ও অধুনা লভ্য দু’টি গ্রন্থ হল কন্নড় ভাষায় রচিত চাবুণ্ডরায় পুরাণ বা ত্রিষষ্ঠী লক্ষণ পুরাণ (৯৭৮ খ্রিস্টাব্দ) এবং সংস্কৃত ভাষায় রচিত চারিত্রসার। চাবুণ্ডরায় বিখ্যাত কন্নড় বৈয়াকরণ গুণবর্মা ও প্রথম নাগবর্মা এবং কবি রন্নের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। রন্নের লেখা পরশুরাম চরিতে গ্রন্থটি তাঁর পৃষ্ঠপোষকের প্রয়াণে রচিত একটি শোকগাথা।[১] বহু দীর্ঘস্থায়ী অবদানের কারণে চাবুণ্ডরায়কে মধ্যযুগীয় কর্ণাটকের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব মনে করা হয়।