ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | চামানি রোশিনী সেনেভিরত্নে | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | অনুরাধাপুরা, শ্রীলঙ্কা | ১৪ নভেম্বর ১৯৭৮||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডান-হাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডান-হাতি মিডিয়াম | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ৯) | ১৭ এপ্রিল ১৯৯৮ শ্রীলঙ্কা বনাম পাকিস্তান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৯) | ২৫ নভেম্বর ১৯৯৭ শ্রীলঙ্কা বনাম নেদারল্যান্ডস | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ শ্রীলঙ্কা বনাম পাকিস্তান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক | ২১ এপ্রিল ২০১০ শ্রীলঙ্কা বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সংযুক্ত আরব আমিরাত বনাম থাইল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০০–২০০৯ | স্লিমলাইন স্পোর্টস ক্লাব ওমেন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯– | কোল্টস ক্রিকেট ক্লাব ওমেন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএন ক্রিকইনফো, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |
চামানি রোশিনী সেনেভিরত্নে (সিংহলি: චමානි සෙනෙවිරත්න; জন্ম: ১৯৭৮ সালের ১৪ নভেম্বর; অনুরাধাপুরায়) একজন শ্রীলঙ্কান নারী ক্রিকেটার। তিনি একজন অলরাউন্ডার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি শ্রীলঙ্কা জাতীয় মহিলা দলের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাত জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলেরও প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
মহিলাদের আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার পক্ষে একমাত্র সেঞ্চুরিটি এসেছিল চামানি সেনেভিরত্নের হাত ধরে।[১] ১৯৯৮ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে তিনি ১০৫ রান সংগ্রহ করে অপরাজিত ছিলেন। এটিই ছিল আন্তর্জাতিক টেস্টে তার জীবনের প্রথম ম্যাচ। আর এ ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তিনি অষ্টম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক টেস্টে শত রান করা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন।[২][৩] আর শ্রীলঙ্কা তার ক্রিকেট ইতিহাসের পুরুষ ও মহিলা উভয় দলেই অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করা খেলোয়াড়ের দেখা পেল চামানি সেনেভিরাত্নের সেঞ্চুরির মাধ্যমে। কেননা, শ্রীলঙ্কার পুরুষ দলের হয়ে ব্রেন্ডন কুরুপ্পু (২০১ রান) এবং মহিলা দলের হয়ে সেনেভিরাত্নে এ মাইলফলক অর্জন করেন। এই লংকান অলরাউন্ডার শ্রীলঙ্কার হয়ে মাত্র একটি টেস্ট এবং ৪৭ টি এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তবুও, শ্রীলঙ্কার হয়ে অভিষেক টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান করার কৃতীত্ব রয়েছে চামানি সেনেভিরত্নের দখলে (উভয় ইনিংসে ১৪৮ রান)। আর, শ্রীলঙ্কার মহিলা দল ১৯৯৮ সালের পর আর কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ না পাওয়ায় নারী টেস্ট ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কা দলের মধ্যে তিনিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের মালিক।[৪] নারীদের টেস্টে অভিষেক ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে চামানি সেনেভিরত্নের এই ১৪৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসটি।[৫]
মহিলা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ৮ নম্বরে বা তার চেয়ে পরের কোনো অবস্থানে ব্যাটিংয়ে নেমে যে কোনও মহিলা ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ টেস্ট স্কোরের রেকর্ডটিও রয়েছে চামানি সেনেভিরত্নের দখলে (১০৫*)।[৬]
২০১৩ সালের মে মাসে ২০১৮ আইসিসি মহিলা বিশ্ব টুয়েন্টি২০ বাছাইপর্বর জন্য ঘোষিত সংযুক্ত আরব আমিরাত জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের স্কোয়াডে তিনি জায়গা করে নেন।[৭] ২০১৮ সালের ৭ জুলাই এ টুর্নামেন্টের বাছাইপর্বে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের মধ্য দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে মহিলাদের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক (ডব্লিউ টি-২০) ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে।[৮]
২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি কুয়েতের বিপক্ষে ২০১৯ আইসিসি ওম্যানস কোয়ালিফায়ার এশিয়া টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচে সেনেভিরত্নে তার ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী টুয়েন্টি-২০ তে একই ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করেছিলেন।[৯]